img

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ

প্রকাশিত :  ০৭:৩৪, ২৮ নভেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৭:৩৫, ২৮ নভেম্বর ২০২৪

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ

গাজীপুর কালিয়াকৈরের চন্দ্রা এলাকায় বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন পোশাক শ্রমিকরা। জানা গেছে,  মাহমুদ জিন্স লিমিটেড নামে একটি কারখানার শ্রমিকরা তাদের বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে সকাল থেকে মহাসড়কে অবস্থান নেন। এতে ওই মহাসড়কের উভয়পাশে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে মাহমুদ জিন্স লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা কাজে যোগ না দিয়ে বকেয়া বেতনের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা চন্দ্রা ফ্লাইওভারের সংযোগ সড়কের উভয়পাশে অবরোধ করেন। এতে ওই সড়কে কয়েক কিলোমিটার এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন।

কারখানাটির শ্রমিকরা জানান, গত মাসের বকেয়া বেতন এ মাসের ৭ তারিখের মধ্যে পরিশোধ করার কথা থাকলেও এখনো তা পরিশোধ করেনি কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে বারবার শ্রমিকরা আবেদন করলেও তা প্রত্যাখ্যান করে কর্তৃপক্ষ।

তবে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলেও কারখানা কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

নাওজোড় হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রইছ উদ্দিন জানান, চন্দ্রা এলাকায় একটি কারখানার শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে রাখার কারণে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে সড়কের উভয়পাশে যানজট তৈরি হয়েছে।

জাতীয় এর আরও খবর

বিতর্কিত ৩ নির্বাচন

img

জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

প্রকাশিত :  ১৬:২৮, ১৬ জুন ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৮:৩৩, ১৬ জুন ২০২৫

আওয়ামী লীগ আমলে অনুষ্ঠিত বিতর্কিত তিন জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে জড়িত সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনারগণ ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিবদের ভূমিকা তদন্তে অবিলম্বে একটি কমিটি গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

সোমবার (১৬ জুন) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক বৈঠকে এ সংক্রান্ত আলোচনা শেষে এ নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন—জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

বৈঠকে কমিশন সদস্যগণ জুলাই সনদ তৈরির কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন।

কমিশনের সহ-সভাপতি প্রফেসর আলী রীয়াজ বলেন, ‘বেশকিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। খুব শিগগিরই সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সনদ চূড়ান্ত করে ফেলা সম্ভব হবে।’

 প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সবাই জুলাই সনদের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। আমি আশা করি আগামী জুলাই মাসের মধ্যে আমরা এটি জাতির সামনে উপস্থাপন করতে পারব।’

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা তার লন্ডন সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বলেন, ‘লন্ডনে বাংলাদেশি কমিউনিটির যাদের সঙ্গেই দেখা হয়েছে তারা সংস্কার নিয়ে জানতে চেয়েছে। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা খুব আগ্রহী। তারা বিস্তারিতভাবে ঐকমত্য কমিশনের কাজ নিয়ে আমার সঙ্গে আলোচনা করেছে, মতামত দিয়েছে। যেখানেই গেছি সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমাকে জিজ্ঞেস করছেন, ‘আমরা আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারব তো?’ আমাদের প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। পোস্টাল ব্যালট এবং আর কী কী অপশন আছে সেগুলো নিয়ে ভাবতে হবে, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে।’

বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশন প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘সব রাজনৈতিক একমত হয়েছে যে, অতীতের তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজনে কর্মকর্তাদের ভূমিকা তদন্ত ও জবাবদিহিতার আওতায় আনা প্রয়োজন।’