ফ্রিজে মায়ের লাশ

img

জামিনে-মুক্ত ছেলে বললেন, ‘র‍্যাবের কাছে স্বীকারোক্তি দেইনি’

প্রকাশিত :  ১৩:৪৫, ২৮ নভেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৩:৫৭, ২৮ নভেম্বর ২০২৪

জামিনে-মুক্ত ছেলে বললেন, ‘র‍্যাবের কাছে স্বীকারোক্তি দেইনি’

বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় মাকে হত্যার পর লাশ ফ্রিজে রাখার অভিযোগে গ্রেপ্তার তার ছোট ছেলে সাদ বিন আজিজুর (১৯) জামিনে গতকাল বুধবার মুক্ত হয়েছেন। কারাগার থেকে বের হয়ে তিনি দাবি করেন, ‘র‍্যাবের কাছে স্বীকারোক্তি দেইনি। মাকে হত্যার বিষয়ে কোনো কথাও বলিনি।’

বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে বগুড়ার জ্যেষ্ঠ জেলা জজ মো. শাহজাহান কবির জামিন আবেদন মঞ্জুর করলে সন্ধ্যার পর বগুড়া জেলা কারাগার থেকে বের হন সাদ বিন আজিজুর। এ সময় কারাগারের সামনে উপস্থিত ছিলেন তার বাবা আজিজুর রহমান ও বড় ভাই নাজমুস সাকিব।

বুধবার রাতে সাদ বলেন, ‘আমি হত্যার কথা স্বীকার করেছি, গণমাধ্যমের কাছে এমন কথা র‍্যাব কেন বলেছে, সেটা তারাই ভালো বলতে পারবে।’

সাদের বাবা আজিজুর রহমান বলেন, ‘স্ত্রী হত্যার ঘটনায় আমার ভেতরে যে রক্তক্ষরণ হচ্ছে, সেটা কাউকে বুঝাতে পারব না। এই শোকের মাঝেই হত্যায় জড়িত সন্দেহে আমার ছোট ছেলেকে আটক করে র‌্যাব। তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করে। বিষয়টি নিয়ে আমরা মর্মাহত।’

১০ নভেম্বর দুপুরে দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদরের একটি চারতলা বাড়ির তিনতলার একটি ফ্ল্যাটের ফ্রিজ থেকে সালমার লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি দুপচাঁচিয়া ডিএস ফাজিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ আজিজুর রহমানের স্ত্রী। তারা ভবনটির মালিক। সালমাকে হত্যায় জড়িত সন্দেহে ঘটনার পরের দিন তাদের ছোট ছেলে সাদকে আটক করে র‍্যাব।

ওই দিন দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে র‍্যাব-১২-এর বগুড়া ক্যাম্পের তৎকালীন অধিনায়ক মেজর মো. এহতেশামুল হক খান দাবি করেন, হত্যার কথা স্বীকার করেছেন সাদ। পরে পুলিশ তদন্তে ভিন্ন তথ্য পেয়ে সালমাদের বাসার ভাড়াটে মাবিয়া সুলতানা, সুমন রবিদাস ও মোসলেম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে।


img

ঘনকুয়াশার সঙ্গে বেড়েছে শীতের তীব্রতা

প্রকাশিত :  ০৬:২২, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪

ঘনকুয়াশা ও শীতল বাতাসে দেশের উত্তরাঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে বেড়েই চলেছে শীতের তীব্রতা। ঠাণ্ডা বাতাসের সাথে ঘন কুয়াশায় জবুথুবু জনজীবন। নিম্নআয়ের মানুষ রয়েছে চরম দুর্ভোগে। ক্ষতি হচ্ছে ফসলের। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত রোগবালাই। 

ঘনকুয়াশা আর হিমেল বাতাসে দুর্ভোগে পড়েছেন পঞ্চগড়রে সাধারণ মানুষ। বিশেস করে বেকায়দায় পড়ছেন খেটে খাওয়া নিম্নআয়ের লোকজন। তীব্র ঠান্ডা আর র্পযাপ্ত গরম কাপড়ের অভাবে কাজে বরে হতে পারছেনা অনেকেই।

গত কয়েকদিন ধরে এ জেলার তাপমাত্রার পারদ ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠানামা করছে। 

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র জানায়, আজ সোমবার সকাল ৬টায় ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে

ঘনকুয়াশা আর হিমেল বাতাসের কারণে শহর ও হাট-বাজারে লোকজনের উপস্থিতি কমে আসায় প্রয়োজনীয় যাত্রী না পেয়ে অর্থ কষ্টে পড়েছে রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটোচালকেরা। তীব্র ঠান্ডার কারণে আজও পঞ্চগড় সদর আধুনিক হাসপাতালের বর্হিবিভাগে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত লোকজনের ভীড় বেড়েছে।

রংপুরে অব্যাহত রয়েছে শীতের তীব্রতা। ঠাণ্ডা বাতাসের সাথে ঘন কুয়াশায় জবুথুবু জনজীবন। শীত ও কুয়াশার কারনে শ্রমজীবী আর কর্মজীবী মানুষ শীত বস্ত্রের অভাবে বিপাকে পড়েছে।  ক্ষতি হচ্ছে ফসলের। এদিকে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাবার সাথে সাথে নিউমোনিয়া, কোল্ড ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট সহ বিভিন্ন রোগ বালাই বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে শিশুরা ভাইরাস জ্বর আর নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভীড় করছে। 

চুয়াডাঙ্গায় প্রতদিনিই তাপমাত্রা কমছে, বাড়ছে শীতরে তীব্রতা । দুর্ভোগে পড়েছেন খাওয়া মানুষ। শীতবস্ত্ররে অভাবে অসহায় মানুষ  কষ্টে রয়ছে। সরকারি ও বেসরকারি র্পযায়ে শীতবস্ত্র বিতরণের আহবান জানিয়েছে দরিদ্র মানুষরো। বাড়ছে শীতজনিত রোগবালাই।