জামিনে-মুক্ত ছেলে বললেন, ‘র্যাবের কাছে স্বীকারোক্তি দেইনি’
বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় মাকে হত্যার পর লাশ ফ্রিজে রাখার অভিযোগে গ্রেপ্তার তার ছোট ছেলে সাদ বিন আজিজুর (১৯) জামিনে গতকাল বুধবার মুক্ত হয়েছেন। কারাগার থেকে বের হয়ে তিনি দাবি করেন, ‘র্যাবের কাছে স্বীকারোক্তি দেইনি। মাকে হত্যার বিষয়ে কোনো কথাও বলিনি।’
বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে বগুড়ার জ্যেষ্ঠ জেলা জজ মো. শাহজাহান কবির জামিন আবেদন মঞ্জুর করলে সন্ধ্যার পর বগুড়া জেলা কারাগার থেকে বের হন সাদ বিন আজিজুর। এ সময় কারাগারের সামনে উপস্থিত ছিলেন তার বাবা আজিজুর রহমান ও বড় ভাই নাজমুস সাকিব।
বুধবার রাতে সাদ বলেন, ‘আমি হত্যার কথা স্বীকার করেছি, গণমাধ্যমের কাছে এমন কথা র্যাব কেন বলেছে, সেটা তারাই ভালো বলতে পারবে।’
সাদের বাবা আজিজুর রহমান বলেন, ‘স্ত্রী হত্যার ঘটনায় আমার ভেতরে যে রক্তক্ষরণ হচ্ছে, সেটা কাউকে বুঝাতে পারব না। এই শোকের মাঝেই হত্যায় জড়িত সন্দেহে আমার ছোট ছেলেকে আটক করে র্যাব। তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করে। বিষয়টি নিয়ে আমরা মর্মাহত।’
১০ নভেম্বর দুপুরে দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদরের একটি চারতলা বাড়ির তিনতলার একটি ফ্ল্যাটের ফ্রিজ থেকে সালমার লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি দুপচাঁচিয়া ডিএস ফাজিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ আজিজুর রহমানের স্ত্রী। তারা ভবনটির মালিক। সালমাকে হত্যায় জড়িত সন্দেহে ঘটনার পরের দিন তাদের ছোট ছেলে সাদকে আটক করে র্যাব।
ওই দিন দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে র্যাব-১২-এর বগুড়া ক্যাম্পের তৎকালীন অধিনায়ক মেজর মো. এহতেশামুল হক খান দাবি করেন, হত্যার কথা স্বীকার করেছেন সাদ। পরে পুলিশ তদন্তে ভিন্ন তথ্য পেয়ে সালমাদের বাসার ভাড়াটে মাবিয়া সুলতানা, সুমন রবিদাস ও মোসলেম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে।