img

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ছাড়াল ৯০ হাজার, এক দিনে ৭ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত :  ১৩:৫৮, ২৮ নভেম্বর ২০২৪

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ছাড়াল ৯০ হাজার, এক দিনে ৭ জনের মৃত্যু

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে আরও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময় সারাদেশে ৮৩৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ৪৮২ জন। তাদের মধ্যে ২৩৪ জন পুরুষ ও ২৪৮ জন নারী। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৯০ হাজার ৪৪০ জন।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।  

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৮৫ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২২১ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১৭১ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১১৫ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১০৯ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৮ জন, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩২ জন, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১০ জন ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) চারজন রয়েছেন।  

গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৯০ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছরে ৮৬ হাজার ৬৯৩ জন ডেঙ্গুরোগী ছাড়পত্র পেয়েছেন।   

চলতি বছরের ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৯০ হাজার ৪৪০ জন। এর মধ্যে ৬৩ দশমিক দুই শতাংশ পুরুষ ও ৩৬ দশমিক আট শতাংশ নারী রয়েছেন।           

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি বছরের এ যাবত ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ৪৮২ জন।  

২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়। পাশাপাশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।

img

ঘনকুয়াশার সঙ্গে বেড়েছে শীতের তীব্রতা

প্রকাশিত :  ০৬:২২, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪

ঘনকুয়াশা ও শীতল বাতাসে দেশের উত্তরাঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে বেড়েই চলেছে শীতের তীব্রতা। ঠাণ্ডা বাতাসের সাথে ঘন কুয়াশায় জবুথুবু জনজীবন। নিম্নআয়ের মানুষ রয়েছে চরম দুর্ভোগে। ক্ষতি হচ্ছে ফসলের। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত রোগবালাই। 

ঘনকুয়াশা আর হিমেল বাতাসে দুর্ভোগে পড়েছেন পঞ্চগড়রে সাধারণ মানুষ। বিশেস করে বেকায়দায় পড়ছেন খেটে খাওয়া নিম্নআয়ের লোকজন। তীব্র ঠান্ডা আর র্পযাপ্ত গরম কাপড়ের অভাবে কাজে বরে হতে পারছেনা অনেকেই।

গত কয়েকদিন ধরে এ জেলার তাপমাত্রার পারদ ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠানামা করছে। 

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র জানায়, আজ সোমবার সকাল ৬টায় ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে

ঘনকুয়াশা আর হিমেল বাতাসের কারণে শহর ও হাট-বাজারে লোকজনের উপস্থিতি কমে আসায় প্রয়োজনীয় যাত্রী না পেয়ে অর্থ কষ্টে পড়েছে রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটোচালকেরা। তীব্র ঠান্ডার কারণে আজও পঞ্চগড় সদর আধুনিক হাসপাতালের বর্হিবিভাগে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত লোকজনের ভীড় বেড়েছে।

রংপুরে অব্যাহত রয়েছে শীতের তীব্রতা। ঠাণ্ডা বাতাসের সাথে ঘন কুয়াশায় জবুথুবু জনজীবন। শীত ও কুয়াশার কারনে শ্রমজীবী আর কর্মজীবী মানুষ শীত বস্ত্রের অভাবে বিপাকে পড়েছে।  ক্ষতি হচ্ছে ফসলের। এদিকে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাবার সাথে সাথে নিউমোনিয়া, কোল্ড ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট সহ বিভিন্ন রোগ বালাই বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে শিশুরা ভাইরাস জ্বর আর নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভীড় করছে। 

চুয়াডাঙ্গায় প্রতদিনিই তাপমাত্রা কমছে, বাড়ছে শীতরে তীব্রতা । দুর্ভোগে পড়েছেন খাওয়া মানুষ। শীতবস্ত্ররে অভাবে অসহায় মানুষ  কষ্টে রয়ছে। সরকারি ও বেসরকারি র্পযায়ে শীতবস্ত্র বিতরণের আহবান জানিয়েছে দরিদ্র মানুষরো। বাড়ছে শীতজনিত রোগবালাই।