img

‘সমন্বয়কদের ওপর হামলা হালকাভাবে দেখছে না সরকার’

প্রকাশিত :  ১৫:৪৬, ২৮ নভেম্বর ২০২৪

‘সমন্বয়কদের ওপর হামলা হালকাভাবে দেখছে না সরকার’

পরিবেশবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের ওপর হামলার বিষয়টি সরকার হালকাভাবে দেখছে না।

আজ বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) রাতে ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমির মিলনায়তনে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, সমন্বয়কদের ওপর হামলার বিষয়টিকে হালকাভাবে দেখার কোনো সুযোগ নেই। সমন্বয়করা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জাতিকে যেভাবে ঐক্যবদ্ধ করার প্রয়াস চালাচ্ছেন, তাদের বিবেককে যেভাবে জাগ্রত করছেন, এটা নিশ্চয়ই অনেকের স্বার্থে লাগবে। তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি কেবিনেটে আলোচনা হয়েছে। তাদের যে নিরাপত্তা প্রয়োজন, এটা আলোচিত হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

তিনি আরও বলেন, সারা দেশের কোর্টের নিরাপত্তা নিয়ে কথা হয়েছে। সবাইকে সংযত থাকতে হবে, ধৈর্য ধরতে হবে। হয়ত আপনার দাবি যৌক্তিক, কিন্তু আপনার দাবি আদায়ের পদ্ধতি যদি বেআইনি, ধ্বংসাত্মক হয়ে যায় সেই ক্ষেত্রে ন্যায্য দাবিও পূরণ করতে পারবেন না। আজকে প্রধান বিচারপতিও উদ্বেগ জানিয়েছেন। আমরা সবাইকে বলবো, এই জাতীয় ধ্বংসাত্মক ও অবমাননামূলক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকুন। কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে অভিযোগ দায়ের করার প্ল্যাটফর্মে আছে। কিন্তু ধংসাত্মক প্রক্রিয়া বেচে নিলে কারও কোনো লাভ হবে না।

এসময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মো. শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন। 

img

হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ

প্রকাশিত :  ১৮:৫৪, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় (ওএইচসিএইচআর)। 

আজ সোমবার (১৭ নভেম্বর) জেনেভা থেকে এক বিবৃতিতে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানান সংস্থাটির মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি।

তিনি বলেন, ‘ঢাকায় আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় দিয়েছেন। এটি গত বছরের বিক্ষোভ দমনের সময় সংঘটিত গুরুতর অধিকার লঙ্ঘনের শিকারদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত।’

তিনি আরও বলেন, ‘২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে আমাদের অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকে আমরা বারবার দাবি জানিয়ে এসেছি যে— নির্দেশনা ও নেতৃত্বের অবস্থানে থাকা ব্যক্তিসহ সব দোষীর আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী জবাবদিহির মুখোমুখি করা হোক। পাশাপাশি আমরা দাবি করেছি, ভুক্তভোগীদের যেন কার্যকর প্রতিকার ও ক্ষতিপূরণ পাওয়ার সুযোগ নিশ্চিত করা হয়।’

শামদাসানি বলেন, ‘আমরা এই মামলার বিচারকার্য সরাসরি পর্যবেক্ষণ করিনি, তবে আন্তর্জাতিক অপরাধের অভিযোগে পরিচালিত যেকোনো জবাবদিহি প্রক্রিয়ায় পর্যাপ্ত ন্যায়বিচার ও আন্তর্জাতিক মান অনুসরণের প্রয়োজনীয়তার কথা আমরা নিয়মিতভাবে বলে আসছি। বিশেষত এ ক্ষেত্রে বিচার দোষীর অনুপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে—এ পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিষয়টিও দুঃখের সঙ্গে উল্লেখ করছি, আমরা সব পরিস্থিতিতেই মৃত্যুদণ্ডের বিরোধিতা করি।’

রায়ের পর সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে সংযত আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে শামদাসানি বলেন, ‘জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টুর্ক আশা প্রকাশ করেছেন যে বাংলাদেশ সত্য উদ্ঘাটন, ক্ষতিপূরণ এবং ন্যায়বিচারের একটি সমন্বিত প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাবে। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডসম্মত, অর্থবহ ও রূপান্তরমূলক নিরাপত্তা খাত সংস্কার থাকা উচিত, যাতে এসব লঙ্ঘন ও নির্যাতন পুনরায় না ঘটে। এ কাজে বাংলাদেশ সরকার ও জনগণকে সহযোগিতা করতে হাইকমিশনারের কার্যালয় সদা প্রস্তুত।’