img

মৌলভীবাজার ডিস্ট্রিক্ট এসোসিয়েশন পোর্টসমাউথের নতুন কমিটি গঠিত

প্রকাশিত :  ১৯:৩৫, ২৮ নভেম্বর ২০২৪

মৌলভীবাজার ডিস্ট্রিক্ট এসোসিয়েশন পোর্টসমাউথের নতুন কমিটি গঠিত

বিগত ২৫ বছর ধরে একতা, ভাতৃত্ত্ব ও সৌহার্দ্যপূর্ণতার এক অনন্য উদাহরণ সৃষ্টিকারী, ঐতিহ্যবাহী সংগঠন মৌলভীবাজার ডিস্ট্রিক্ট এসোসিয়েশন পোর্টসমাউথ এর সাধারণ সভা ও নতুন কমিটি গঠন করা হয়।

রবিবার (২৪শে নভেম্বর) পোর্টসমাউথ এর স্থানীয় ইন্ডিয়া গেইট রেস্টুরেন্টে ইকবাল মিয়াকে সভাপতি ও সৈয়দ এলাহী পাপ্পুকে সাধারণ সম্পাদক, মুজাহিদ হোসেন রিপনকে অর্থ সম্পাদক ও ফয়সল আহমদ জুয়েলকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে  ১০ সদস্য বিশিষ্ট অফিস বেয়ারার ও ৩১ সদস্যের কার্য নির্বাহি কমিটি গঠিত হয়। পোর্টসমাউথের প্রবীণ মুরুব্বি বীর মুক্তিযুদ্ধা, সাবেক চেয়ারম্যান শেখ ফরমুজ আলী, আব্দুল জলিল, ফজলুল মিয়া ও এনাম খাঁনের তত্বাবধানে মৌলভীবাজার ডিস্ট্রিক্ট এসোসিয়েশন পোর্টসমাউথ এর সকল সদস্যের সর্বসম্মতিক্রমে এই কমিটি গঠন করা হয় ।

পোর্টসমাউথ এর বিশিষ্ট কমিউনিটি নেতা ও সাবেক মৌলভীবাজার ডিস্ট্রিক্ট এসোসিয়েশন প্রসিডেন্ট মসুদ আহমদ নতুন কমিটিকে স্বাগত জানান এবং সংগঠনের সকল সদস্যদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

নবগঠিত কমিটিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন পোর্টসমাউথের প্রসিডেন্ট সালিকুর রহমান, আবু শুয়েব তানজান, মুজিব খান, রেদওয়ান আহমদ, সাচ্চু মিয়া, ও বিগত কমিটির সেক্রেটারী দেলোয়ার হুসেন আহাদসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

নবনিযুক্ত সভাপতি ইকবাল মিয়া উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ দেন এবং আগামীতে সংগঠনকে আরও গতিশীল করতে সকলের সহযোগীতা কামনা করেন। 

নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ এলাহি পাপ্পু বলেন, আমাদের প্রধান লক্ষ্য পোর্টসমাউথে বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মৌলভীবাজারীদের এক ছাতার নিচে নিয়ে এসে আমাদের মাঝে ভাতৃত‍্যের বন্ধনকে আরও শক্তিশালী করা এবং আমাদের নতুন প্রজন্মের সাথে আমাদের বাংলাদেশের গৌরবময়  সাহিত্য ও সাংস্কৃতিকে পরিচিত করিয়ে তোলা এবং যুব সমাজকে খেলাধুলায় উৎসাহিত করে তাদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ সৃষ্টি করা। 

সভায় উপস্থিত বক্তারা নবগঠিত কমিটিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেন এবং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে সংগঠনকে আরও গতিশীল করার আহবান জানান ।

উল্লেখ্য, ষাটের দশক থেকে পোর্টসমাউথে বসবাসরত বাংগালিদের সামাজিক প্রয়োজনে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন। তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সফল সংগঠন হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে মৌলভীবাজার ডিস্ট্রিক্ট এসোসিয়েশন পোর্টসমাউথ । বিভিন্ন প্রতিকুলতা মুকাবিলা করে এই সামাজিক সংগঠন  ব্রিটেনের পোর্টসমাউথ এলাকায় বাংগালীদের জন্য একটা শক্ত অবস্থান তৈরী করেতে সাহায্য করেছে । এই সংগঠনটি বিগত ২৫ বছর ধরে নিরলস ভাবে বিভন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ড ও আর্তমানবতার সেবায় কাজে নিয়োজিত রয়েছে ।

কমিউনিটি এর আরও খবর

img

লন্ডনে শেখ হাসিনার ভার্চ্যুয়াল সমাবেশে সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-সংসদ সদস্যরা

প্রকাশিত :  ০৭:০২, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৭:১৮, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪

ব্রিটেনের রাজধানী লন্ডনে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভার্চ্যুয়াল সমাবেশের দর্শকসারিতে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের কয়েকজন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্যকে দেখা গেছে। সেখানে সাবেক এক মন্ত্রিপরিষদ সচিবকেও দেখা গেছে।

সমাবেশের দর্শকসারিতে যাঁদের বসে থাকতে দেখা গেছে, তাঁদের মধ্যে আছেন সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান, সাবেক প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার।

ইস্ট লন্ডনের ইম্প্রেসন ভেন্যু হলে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের আয়োজনে শেখ হাসিনার ভার্চ্যুয়াল সমাবেশ হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর লন্ডনের এই সমাবেশে প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে দেখা গেল আব্দুর রহমান, শফিকুর রহমান চৌধুরী, হাবিবুর রহমান হাবিব ও কবির বিন আনোয়ারকে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান ফরিদপুর ১ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। শফিকুর রহমান চৌধুরী সিলেট ২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। হাবিবুর রহমান হাবিব সিলেট ৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।

জনপ্রশাসনের প্রভাবশালী কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত ছিলেন কবির বিন আনোয়ার। গত বছরের জানুয়ারিতে তিনি মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পদ থেকে অবসরে যান। চলতি বছরের জানুয়ারিতে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগে যোগ দেন।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান। তিনি ভারতে অবস্থান করছেন।

সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের বেশির ভাগ মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, নেতা-কর্মী আত্মগোপনে চলে যান। অনেকে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন বলে ধারণা করা হয়। এর মধ্যে গতকাল লন্ডনে শেখ হাসিনার ভার্চ্যুয়াল সমাবেশে আব্দুর রহমান, শফিকুর রহমান চৌধুরী, হাবিবুর রহমান হাবিব ও কবির বিন আনোয়ারকে দেখা গেল। দেশে তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।


কমিউনিটি এর আরও খবর