img

সিরিয়ায় সেনাবাহিনীর ওপর বিদ্রোহীদের হামলা, নিহত ২০০

প্রকাশিত :  ০৬:০৮, ২৯ নভেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৬:১৬, ২৯ নভেম্বর ২০২৪

সিরিয়ায় সেনাবাহিনীর ওপর বিদ্রোহীদের হামলা, নিহত ২০০

সিরিয়ায় বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো দেশটির সরকারি বাহিনীর ওপর বড় ধরনের হামলা শুরু করেছে । কয়েক বছরের মধ্যে এই প্রথম বিদ্রোহীরা সেখানকার কিছু এলাকা দখল করে নিয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দু'পক্ষের সংঘর্ষে ১৮০ জনের বেশি যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। এছাড়া সরকারি বাহিনী ও রাশিয়ার বিমান হামলায় ১৯ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। 

জঙ্গিগোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) ও এর মিত্র গোষ্ঠীগুলো বলেছে, গত বুধবার থেকে লড়াই শুরু হওয়ার পর তারা আলেপ্পো ও ইদলিব প্রদেশের কয়েকটি ছোট শহর ও গ্রামের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।

সিরিয়ার সামরিক বাহিনী বলেছে, তাদের বাহিনীগুলো ‘বড় ধরনের সন্ত্রাসী’ হামলা মোকাবিলা করছে এবং বিদ্রোহীদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটিয়েছে।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি সংস্থা জানিয়েছে, লড়াইয়ে উভয় পক্ষের ১৮০ জনের বেশি যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। সরকারি বাহিনী ও রাশিয়ার বিমান হামলায় বিদ্রোহী–অধ্যুষিত এলাকায় কমপক্ষে ১৯ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।

সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানায়, দুই দিনের লড়াইয়ে ১২১ বিদ্রোহী নিহত হয়েছেন, যাদের বেশির ভাগই এইচটিএসের সদস্য। এ ছাড়া ৪০ জন সরকারি সেনা ও ২১ মিলিশিয়া সদস্য নিহত হয়েছেন।

সংস্থাটি আরও জানায়, বিদ্রোহীরা সরকারি বাহিনীর ৪৬তম রেজিমেন্টের ঘাঁটি এবং আটটি গ্রাম দখল করেছেন। তারা আলেপ্পো ও রাজধানী দামেস্কে যুক্তকারী মহাসড়কের একটি এলাকা ও একটি মোড় দখলে নিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছেন।

দেশটিতে ২০১১ সালে গণতন্ত্রের দাবিতে শুরু হওয়া বিক্ষোভে সরকার দমন–পীড়ন চালালে তা গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়। এর পর থেকে এ লড়াইয়ে পাঁচ লাখের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।

শুধু ইদলিবই এখন বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এখানে ৪০ লাখের বেশি মানুষের বসবাস। তাদের বেশির ভাগই চলমান সংঘাতে বাস্তুচ্যুত হয়ে এখানে আশ্রয় নিয়েছে। এসব মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছে।

২০২০ সালে সরকার আবার ইদলিবের নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইলে তুরস্ক এবং আসাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র রাশিয়ার মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি সমঝোতা হয়। এরপর বড় পরিসরে সহিংসতা কমে এলেও মাঝেমধ্যে সংঘর্ষ, বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণ অব্যাহত থাকে।


img

কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ পর্যটক নিহত

প্রকাশিত :  ১৭:৩৩, ২২ এপ্রিল ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৭:৩৭, ২২ এপ্রিল ২০২৫

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে পর্যটকদের একটি গ্রুপের ওপর বন্দুকধারীদের গুলিতে অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের জনপ্রিয় পর্যটন স্পট পহেলগামে এই ঘটনা ঘটেছে। মনোরম এই এলাকাটিকে ‘ভারতের সুইজারল্যান্ড’ হিসেবে পরিচিত।

পুলিশ জানিয়েছে, বেশ কয়েকজন পর্যটককে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। এলাকাটি ঘিরে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

নিহতদের মধ্যে কর্ণাটকের শিভমগ্গার এক ব্যবসায়ী রয়েছেন। নিহত ব্যক্তির পরিবার জানিয়েছে, তার নাম মুঞ্জুনাথ রাও (৪৭)। তিনি স্ত্রী পল্লবী ও ছেলে অভিজয়কে নিয়ে জম্মু-কাশ্মিরে ঘুরতে গিয়েছিলেন।

স্থানীয় কয়েকটি সূত্রের মতে, নিহতের সংখ্যা অন্তত ২৮। সূত্রের খবর, হামলাকারীরা সংখ্যায় ছিল পাঁচ-ছ’জন।

হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। সেখানকার লেফট্যানেন্ট গভর্নর মনোজ সিনহা বলেছেন, ঘটনাস্থলে আর্মি ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সবুজে ঘেরা বৈসরন উপত্যকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে গিয়ে তাঁরা সন্ত্রাসবাদীদের কবলে পড়েন। সশস্ত্র সন্ত্রাসবাদীরা পর্যটকদের জনে জনে নাম জিজ্ঞাসা করে গুলি করেছে বলে ওই সূত্র জানায়। 

এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশে পহেলগাঁও যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ওই অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ বলেছেন, বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার যেসব ঘটনা সাম্প্রতিক ঘটেছে তার মধ্যেই এটিই সবচেয়ে বড় হামলা।

আব্দুল্লাহ এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। “আমি অবিশ্বাস্য হতবাক। পর্যটকদের ওপর এই হামলা ঘৃণ্য কাজ,” তিনি বলেছেন। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সের ভারত সফরের সময়ই হামলা চালাল জঙ্গিরা। এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গিগোষ্ঠী ঘটনার দায় স্বীকার করেনি।

মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এই এলাকায় ১৯৮৯ সাল থেকেই বিচ্ছিন্নতাবাদী সহিংসতা হয়ে আসছে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তা কমে আসছিল।



আন্তর্জাতিক এর আরও খবর