img

মিয়ানমারের জান্তাপ্রধানের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদনকে স্বাগত বাংলাদেশের

প্রকাশিত :  ১০:১০, ২৯ নভেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১১:০৪, ২৯ নভেম্বর ২০২৪

মিয়ানমারের জান্তাপ্রধানের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদনকে স্বাগত বাংলাদেশের

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) মিয়ানমারের সামরিক প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইংয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানিয়েছে । তার বিরুদ্ধে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের ওপর সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার জান্তাপ্রধানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদনকে স্বাগত জানিয়েছে।

এনিয়ে বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের রোহিঙ্গা অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক মুখপাত্র খলিলুর রহমান তুরস্কের রাষ্টায়ত্ত সংবাদসংস্থা আনাদোলু এজেন্সিকে বলেছেন, এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বুধবার মিন অং হ্লাইং বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানান আইসিসির প্রধান প্রসিকিউটর করিম খান।

তিনি অভিযোগ করেছেন, হ্লাইং ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে মিয়ানমার ও বাংলাদেশের কিছু অঞ্চলে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্বাসন ও নিপীড়নের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের জন্য দায়ী।

আইসিসির হিসাব অনুযায়ী, ওই সহিংসতার ফলে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা জোরপূর্বক মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়। আর বিতাড়িত অধিকাংশ রোহিঙ্গা আশ্রয় নেয় বাংলাদেশে। 

এনিয়ে বাংলাদেশের সরকারের অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. শামসুদ দৌজা বলেছেন, এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রোহিঙ্গা সংকটকে আবার বিশ্বব্যাপী আলোচনায় এনেছে।

এ ছাড়া এক বিবৃতিতে করিম খান জানান, মিয়ানমারের সহিংসতায় ২০১৯ সাল থেকে চলমান তদন্তে দেশটির সশস্ত্র বাহিনী তাতমাদাও, পুলিশ, সীমান্তরক্ষী বাহিনী এবং কিছু বেসামরিক নাগরিকদের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

তবে বরাবরই গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে মিয়ানমার জান্তাপ্রধান।

আনাদোলুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমার শাসন করছেন দেশটির শক্তিশালী সেনাবাহিনীর প্রধান অং হ্লাইং।

img

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ইইউ’র ২৭ রাষ্ট্রদূতের বৈঠক চলছে

প্রকাশিত :  ০৮:৩৮, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৯:০৫, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ২৭টি দেশের রাষ্ট্রদূতের বৈঠক শুরু হয়েছে। এতে ২৭টি দেশের পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেড অব ডেলিগেশন মাইকেল মিলার।

আজ সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার তেজগাঁও কার্যালয়ে এই বৈঠক শুরু হয়।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) জনকূটনীতি বিভাগের মহাপরিচালক রফিকুল ইসলাম এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ৯ ডিসেম্বর ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭ দেশ ছাড়াও আরও একটি দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

রফিকুল আলম বলেন, আলোচনায় জলবায়ু পরিবর্তন চ্যালেঞ্জ, রোহিঙ্গা ইস্যু প্রধান্য পাবে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হবে।

জনকূটনীতি বিভাগের মহাপরিচালক বলেন, ভারতের ভিসা না পাওয়ায় ইউরোপের কয়েকটি দেশ ফিনল্যান্ড, রোমানিয়ার মতো দেশে সশরীরে উপস্থিত না হয়ে বিকল্প পথে ভিসা দেওয়া যায় কি না, সে বিষয়ে অনুরোধ জানানো হয়েছিল, কিন্তু নিজস্ব নীতির কারণে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ভিসা পাওয়ার জন্য সশরীরে নয়াদিল্লি যাওয়ার বিকল্পে রাজি হয়নি।

রফিকুল আলম আরও বলেন, ৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ-ভারত পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক হবে। দিল্লিতে অবস্থান করে শেখ হাসিনা যেন উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকে, ভারতে এ বিষয়টি নিশ্চিতে আহ্বান জানালেও এর কোনো উত্তর দেয়নি দেশটি।