img

চিন্ময়-ইসকন ও সংখ্যালঘুদের নিয়ে নতুন করে যা বলল ভারত

প্রকাশিত :  ১১:২১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪

চিন্ময়-ইসকন ও সংখ্যালঘুদের নিয়ে নতুন করে যা বলল ভারত

ভারতে গত কয়েকদিন ধরে বিতর্কিত হিন্দু পণ্ডিত চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার নিয়ে মাতামাতি চলছে । এছাড়া বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন বেড়ে গেছে বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে ঢালাওভাবে প্রচার করা হচ্ছে। ভারতের বিভিন্ন জায়গায় এ নিয়ে বিক্ষোভও হয়েছে।

এসবের মধ্যে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল আজ শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) নিয়মিত ব্রিফিংয়ে কথা বলেন। সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের বেশিরভাগই বাংলাদেশ নিয়ে প্রশ্ন করেন। তারা জিজ্ঞেস করেন হিন্দুসহ সংখ্যালঘুদের ওপর কথিত নির্যাতন বেড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভারত কী করছে।

জবাবে রণধীর বলেন, “হিন্দুদের ওপর হামলা নিয়ে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। হিন্দুসহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর হুমকি এবং হামলার বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারের কাছে শক্তভাবে সার্বক্ষণিক উত্থাপন করছে ভারত। এ ব্যাপারে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। সব সংখ্যালঘুর নিরাপত্তা নিশ্চিতের যে দায়িত্ব বাংলাদেশ সরকারের রয়েছে সেটি তারা পালন করবে।”

চিন্ময় দাসকে গ্রেপ্তারের পর চট্টগ্রামে আইনজীবীকে হত্যা করে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা। এরপর বাংলাদেশে ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবি ওঠে। বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে ইসকনকে একটি ‘উগ্রবাদী সংগঠন’ হিসেবে মনে করা হয়।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রকে এক সাংবাদিক ইসকন নিয়ে প্রশ্ন করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার ইসকনকে ‘উগ্রবাদী সংগঠন’ আখ্যা দিয়েছে। এ ব্যাপারে আপনার মত কী। জবাবে রণধীর জসওয়াল বলেন, “ইসকন বৈশ্বিকভাবে প্রখ্যাত সংগঠন হিসেবে স্বীকৃত। তাদের সামাজিক ক্ষেত্রে অবদান রাখার ভালো রেকর্ড রয়েছে। আমরা বাংলাদেশ সরকারকে আবারও বলব সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।”

তিনি বলেছেন, “আমরা চিন্ময় দাসের গ্রেপ্তার নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছি। আমরা দেখেছি আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। আমরা আশা করি তার বিরুদ্ধে যে আইনি প্রক্রিয়া চলছে সেটি স্বচ্ছ ও ন্যায় বিচারের ভিত্তিতে হবে এবং তার যে আইনি অধিকার রয়েছে সেটি পুরোপুরিভাবে তিনি পাবেন।”

বিস্তারিত আসছে...

img

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ইইউ’র ২৭ রাষ্ট্রদূতের বৈঠক চলছে

প্রকাশিত :  ০৮:৩৮, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৯:০৫, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ২৭টি দেশের রাষ্ট্রদূতের বৈঠক শুরু হয়েছে। এতে ২৭টি দেশের পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেড অব ডেলিগেশন মাইকেল মিলার।

আজ সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার তেজগাঁও কার্যালয়ে এই বৈঠক শুরু হয়।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) জনকূটনীতি বিভাগের মহাপরিচালক রফিকুল ইসলাম এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ৯ ডিসেম্বর ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭ দেশ ছাড়াও আরও একটি দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

রফিকুল আলম বলেন, আলোচনায় জলবায়ু পরিবর্তন চ্যালেঞ্জ, রোহিঙ্গা ইস্যু প্রধান্য পাবে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হবে।

জনকূটনীতি বিভাগের মহাপরিচালক বলেন, ভারতের ভিসা না পাওয়ায় ইউরোপের কয়েকটি দেশ ফিনল্যান্ড, রোমানিয়ার মতো দেশে সশরীরে উপস্থিত না হয়ে বিকল্প পথে ভিসা দেওয়া যায় কি না, সে বিষয়ে অনুরোধ জানানো হয়েছিল, কিন্তু নিজস্ব নীতির কারণে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ভিসা পাওয়ার জন্য সশরীরে নয়াদিল্লি যাওয়ার বিকল্পে রাজি হয়নি।

রফিকুল আলম আরও বলেন, ৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ-ভারত পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক হবে। দিল্লিতে অবস্থান করে শেখ হাসিনা যেন উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকে, ভারতে এ বিষয়টি নিশ্চিতে আহ্বান জানালেও এর কোনো উত্তর দেয়নি দেশটি।