img

মহিলা আওয়ামী লীগের ৫ নেত্রী গ্রেপ্তার

প্রকাশিত :  ১৪:১০, ২৯ নভেম্বর ২০২৪

মহিলা আওয়ামী লীগের ৫ নেত্রী গ্রেপ্তার

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় রাজধানীর মিরপুরের পল্লবীতে করা মামলায় মহিলা আওয়ামী লীগের ৫ জন নেত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর)  রাতে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

আজ শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাতে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, পল্লবী এলাকায় অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—পল্লবী থানার ৬ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী বাবলী বেগম (৪৩), সাধারণ সম্পাদক সাবিনা ইয়াসমিন যুথি (৩৮), সাংগঠনিক সম্পাদক রিতা আক্তার (৪০), সহ-সভাপতি নাজমা আক্তার সাথী (৩০) এবং সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খাদিজা বেগম (৩৪)।

পল্লবী থানা সূত্রে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট বিকেলে মিরপুর-১০ নম্বরে অবস্থিত পপুলার-২ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে ছাত্র-জনতার সঙ্গে আন্দোলনে যোগ দেন মো. আবিদ। আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর দেশীয় অস্ত্র, পিস্তলসহ অন্যান্য আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এ সময় আবিদের ডান চোখে গুলি লাগে। পরবর্তীতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আবিদের ভাই জিন্নাত সাঈদীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১২ নভেম্বর পল্লবী থানায় একটি মামলা করা হয়। পরে সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় মহিলা আওয়ামী লীগের এই পাঁচ নেত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জাতীয় এর আরও খবর

img

গাজীপুরে আওয়ামী লীগের ৪০ নেতাকর্মী আটক

প্রকাশিত :  ০৫:০৬, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৫:১১, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ছাত্র-জনতার ওপর আওয়ামী লীগের পরিকল্পিত হামলার ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে গাজীপুর। এ ঘটনায় যৌথ বাহিনীর ঘোষিত অপারেশন ডেভিল হান্ট শুরুর প্রথম রাতেই আওয়ামী লীগের ৪০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

আজ রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাজীপুরের পুলিশ সুপার চৌধুরী যাবের সাদেক।

তিনি বলেন, শনিবার রাত থেকে রোববার ভোর পর্যন্ত গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

এর আগে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে গাজীপুরের ধীরাশ্রম এলাকায় আওয়ামী লীগের সাবেক মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হকের বাসভবনে ভাঙচুর করেন ছাত্র-জনতা।

এসময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ সমর্থকরা মসজিদের মাইকে ডাকাতি প্রবেশের খবর দিয়ে ছাত্রজনতার ওপর হামলা চালায়। এতে ১৫ জন ছাত্র গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় পর শনিবার ( ৮ ফেব্রুয়ারিতে) উত্তাল হয়ে উঠে গাজীপুর। ওইদিন বেলা ১টা ৩০ মিনিটে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয় ছাত্রজনতা। সেখানে উপস্থিত হন সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ। তাদের দেয়া আল্টিমেটামে নড়েচড়ে বসেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পরে যৌথ বাহিনী রাতেই গাজীপুর জেলা প্রশাসকের অফিসের সামনে চেকপোস্ট বসিয়ে মোটরসাইকেলসহ সড়কে বিভিন্ন গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি চালান।

এছাড়াও ওই রাতে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় যৌথবাহিনী অভিযান চলে। রাতভর অভিযানে এ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের ৪০ জন নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়।

জাতীয় এর আরও খবর