img

হাইকমিশনে হামলা করা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত: জাতীয় নাগরিক কমিটি

প্রকাশিত :  ১৯:৩১, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪

হাইকমিশনে হামলা করা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত: জাতীয় নাগরিক কমিটি

ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে হামলা দেশের সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী। এ সময় তারা ছয় দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

আজ সোমবার সন্ধ্যায় সংগঠনটির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এই কথা বলেন।

নাসির উদ্দিন বলেন, আমাদের আগরতলার যে হাইকমিশন রয়েছে, সেটি আমাদের অংশ। সেখানে হামলা করা এবং কর্মকর্তাদের উপর নিপীড়ন করা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত। এজন্য আমরা প্রতিবেশী দেশ, উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ও রাজনীতিবিদদের আহ্বান জানাব, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আপনারা অনধিকার চর্চা করবেন না। যদি চর্চা করেন, হয়তোবা দক্ষিণ এশিয়ার শান্তিপূর্ণ ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে।

তিনি বলেন, ১৯৪৭ সালে ভারত উপমহাদেশ একটি বিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে গিয়েছিল, সেরকম একটি বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টির পায়তারা চলছে। আমরা তাদেরকে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান করব। যারা বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপর হুমকি দিচ্ছেন, আমরা তাদের নিবৃত হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

সীমান্ত হত্যার বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সীমান্তে আর একটি হত্যাকাণ্ডও দেখতে চাই না। সেকারণে সরকারি প্রতিষ্ঠান দ্রুত উদ্যোগ নেবেন এবং শান্তিপূর্ণ উপায়ে ন্যায্য সমাধানে আসবেন বলে আহ্বান করছি।

এ সময় জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে মাসব্যাপী ছয় দফা কর্মসূচি দেওয়া হয়।

৬ দফা হলো- ১. ভারতের সাথে সকল চুক্তি উন্মোচন করতে হবে। অসম ও পরিবেশবিরোধী সকল চুক্তি বাতিল করতে হবে; ২. ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বহমান নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার নিশ্চিত করতে হবে; ৩. দ্রব্যমূল্যে জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে; ৪. গত ১৫ বছরে হিন্দু, বৌদ্ধসহ সকল সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ও ভূমি দখলের বিচার নিশ্চিত করতে হবে; ৫. পাচারকৃত অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য স্পষ্ট ভূমিকা নিতে হবে; ৬. অবিলম্বে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে এসে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখপাত্র সামান্তা শারমীন বক্তব্য রাখেন।


শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ গ্রেপ্তার

img

বান্ডিল বান্ডিল টাকা ছেড়ে আমার জামাইকে নিয়ে আসব, বললেন সন্ত্রাসী সাজ্জাদের স্ত্রী

প্রকাশিত :  ১১:০৯, ১৬ মার্চ ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৪:৪৫, ১৬ মার্চ ২০২৫

চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৫ মার্চ) ঢাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সাজ্জাদকে গ্রেপ্তারের পর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তার স্ত্রী তামান্না শারমিনের বক্তব্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে তামান্না শারমিনকে বলতে শোনা যায়, ‘আমরা কাঁড়ি কাঁড়ি, বান্ডিল বান্ডিল টাকা ছেড়ে আমার জামাইকে নিয়ে আসব। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।’

ভিডিওতে ১৭ মামলার আসামি সাজ্জাদ হোসেনকে ১০ থেকে ১২ দিনের মধ্যে জামিনে ছাড়িয়ে আনবেন বলে জানান স্ত্রী তামান্না শারমিন। তিনি বলেন, আমার জামাই গতকাল (শনিবার) রাতে গ্রেপ্তার হয়েছে, এতে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। মামলা যখন আছে, গ্রেপ্তার হবেই। আপনারা যারা ভাবতেছেন, আর কোনো দিন বের হবে না, তাদের জন্য এক বালতি সমবেদনা। 

প্রতিপক্ষকে হুমকি দিয়ে তিনি বলেন, এত দিন আমরা পলাতক ছিলাম, এখন তোমাদের পলাতক থাকার পালা শুরু। খেলা শুরু হবে এখন। 

শনিবার রাত ১০টার দিকে ঢাকার একটি শপিং মলে ঘোরাঘুরি করার সময় সাজ্জাদকে আটক করে তেজগাঁও থানা–পুলিশ। এর আগে তাকে ধরতে গত ৩০ জানুয়ারি পুরস্কার ঘোষণা করেছিলেন চট্টগ্রাম নগর পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ। এর আগের দিন নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি আরিফুর রহমানকে ফেসবুক লাইভে এসে হুমকি দিয়েছিলেন সাজ্জাদ হোসেন।

সাজ্জাদ হোসেনের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী তামান্না শারমিন। ছবি: সংগৃহীতসাজ্জাদ হোসেনের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী তামান্না শারমিন। ছবি: সংগৃহীত

পুলিশ জানায়, গত জানুয়ারিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসিকে বিবস্ত্র করে পেটানোর হুমকি দিয়েছিলেন সাজ্জাদ। এরপর ‘ছোট সাজ্জাদ’ ও ‘বুড়ির নাতি’ হিসেবে পরিচিত সাজ্জাদকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করে পুলিশ। ফেসবুক লাইভে সাজ্জাদ বলেছিলেন, ‘ওসি আরিফ দেশের যে প্রান্তেই থাকেন না কেন, তাকে নগরের অক্সিজেনে ধরে এনে পেটানো হবে। প্রয়োজনে মরে যাব। কিন্তু হার মানব না।’ এ ছাড়া পুলিশ কমিশনারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ওসি আরিফ চাঁদাবাজিসহ আমার সন্তান হত্যায় জড়িত, তাকে যাতে বদলি করা হয়।’ পরে এ ঘটনায় ওসি আরিফুর রহমান থানায় জিডি করেন। পরে তার অবস্থান সংক্রান্ত তথ্য পুলিশকে দিতে পারলে তথ্যদাতাকে উপযুক্ত অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করেন নগর পুলিশের কমিশনার।

জানা গেছে, গত বছরের ১৭ জুলাই চান্দগাঁও থানা-পুলিশ অস্ত্রসহ সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করে। পরের মাসের শুরুতে জামিনে বের হন তিনি। সাজ্জাদ বায়েজিদ বোস্তামী থানাসংলগ্ন হাটহাজারীর শিকারপুরের মো. জামালের ছেলে। ৪ ডিসেম্বর নগরের অক্সিজেন এলাকায় পুলিশ ধরতে গেলে গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালিয়ে যান তিনি। এতে পুলিশসহ পাঁচজন আহত হন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া শাখা থেকে জানানো হয়, সাজ্জাদকে শনিবার (১৫ মার্চ) রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি থেকে তেজগাঁও থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে।


জাতীয় এর আরও খবর