img

ঘুরতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরলেন অভিনেত্রী

প্রকাশিত :  ০৮:০১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪

ঘুরতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরলেন অভিনেত্রী

রাশিয়ার তরুণ অভিনেত্রী কামিলা বেলিয়াতস্কায়া থাইল্যান্ডে ছুটি কাটাতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরলেন। গত ২৯ নভেম্বর পর্যটন স্পটে যোগাব্যায়াম করার সময় ঢেউয়ের কবলে পড়ে মৃত্যু হয় ২৪ বছর বয়সী এ অভিনেত্রীর। একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে উঠে এসেছে বিষয়টি।

থাইল্যান্ডের দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপ কো সামুই এলাকায় একটি মাদুর নিয়ে ভিউপয়েন্টের নিচে পাথুরে এলাকায় গিয়েছিলেন কামিলা। পরে একটি শক্তিশালী ঢেউ সেখান থেকে তাকে ভাসিয়ে নেয়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিনেত্রীর মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা গেছে, ঢেউয়ে ভেসে যাওয়ার সময় এক পথচারী তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এর মিনিট পনেরো পর উদ্ধারকারী দল সেখানে পৌছায়। কিন্তু  ৯ ফুটের দীর্ঘ ঢেউয়ের কারণে অভিনেত্রীর কাছে যেতে ব্যর্থ হন তারা। পরে ঘটনাস্থলের দুই-তৃতীয়াংশ দূর থেকে মরদেহ উদ্ধার হয় তার।

সামুই রেসকিউ সেন্টারের প্রধান চাইয়াপোর্ন সাবপ্রেসাদ বলেছেন, দ্বীপের সমুদ্র সৈকত এলাকায় সতর্কতা ব্যবস্থা জারি রয়েছে। পর্যটকদের খারাপ এলাকা, সাঁতার জানা এবং উপকূলরেখার পরিবেশ সম্পর্কে জানানো হয়েছে।

তিনি বলেন, বর্ষা মৌসুমে পর্যটকদের সতর্ক করে থাকি আমরা। বিশেষ করে চাওয়েং ও লামাই সৈকতের মতো ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় সাঁতার না কাটার জন্য বলা হয়। একইসঙ্গে লাল পতাকা থাকা এলাকাও ঝুঁকিপূর্ণ।


বিনোদন এর আরও খবর

img

ক্যারিয়ারের চিন্তায় মা হতে পারেননি ইন্দ্রাণী

প্রকাশিত :  ০৮:১৯, ১২ মে ২০২৫

ইন্দ্রাণী হালদার টলিউডের খ্যাতিমান অভিনেত্রী । ছোট-বড় দুই পর্দাতেই যার উজ্জ্বল উপস্থিতি। বলা বাহুল্য, টালিগঞ্জের অন্যতম সফল অভিনেত্রী তিনি। তবে তার জীবনে রয়েছে এক বড় আফসোস। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানালেন সে কথাই। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী ইন্দ্রাণী হালদার জানান, ক্যারিয়ারের চিন্তায় মা হতে পারেননি তিনি। স্বামীকেও দিতে পারেনি একজন বাবা হওয়ার অভিজ্ঞতা। শুধু তাই নয়, সেই সাক্ষাৎকারে একজন স্ত্রী হিসেবে নিজেকে তুচ্ছ কিংবা ব্যর্থ হিসেবে তুলে ধরেন অভিনেত্রী।

ইন্দ্রাণীর কথায়, ‘স্ত্রী হিসেবে নিজেকে শূন্য মার্ক দিতে চাই। আমি বাজে বউ একদম। বরকে রান্না করে ভাত বেড়ে দেই না। বর কলকাতার বাইরে থাকে, এখানে এলে আমি বলতে থাকি, এই আমি ভাত রেখে গেলাম, খেয়ে নিও। আমার দেরি হচ্ছে, আমি গেলাম গেলাম… আসলে আমি যৌথ পরিবারের মেয়ে, ওই ইচ্ছেটা তো আছে। কিন্তু শ্যুটিংয়ের চাপে করে উঠতে পারি না।’

এরপর ইন্দ্রাণী মনে জমে থাকা কষ্ট তুলে ধরেন। বলেন, ‘আরেকটা জিনিস যেটা আমি করতে পারিনি। যেটা বলতে আমার কোনো আপত্তি নেই। এখনও ভাবলে আফসোস হয়। ক্যারিয়ার, কাজ, দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সন্তানের জন্ম দেওয়া হয়নি আমার। সেটা আমাদের দুজনের মধ্যেই (অভিনেত্রীর স্বামী) একটা আফসোস।’

অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘ভাস্কর (ইন্দ্রাণীর স্বামী) মাঝেমাঝেই বলে, শুধু সংসারের জন্য দায়িত্বই পালন করে গেলে… একটা সময় আমরা চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু হলো না। তারপর আমরা হাল ছেড়ে দিলাম। তোমারও ৪০-এর বেশি বয়স, আমারও। আর দরকার নেই থাক। আমি একটা দত্তক নিতে চেয়েছিলাম, ভাস্কর রাজি হয়নি। আমার মনে হয়, স্ত্রী হিসেবে আমি ভাস্করকে বাবা হওয়ার সুখটা দিতে পারতাম, কিন্তু সেই ব্যাপার আমি অক্ষম।’

যদিও অভিনেত্রী স্পষ্ট করেছিলেন যে, সন্তান না থাকলেও তার ও তার স্বামী ভাস্কর রায়ের মধ্যে কোনো ভুল বোঝাবুঝি নেই।