img

রাজধানীর রাস্তায় জনতার ঢল: ভারতের অন্যায় আচরণের বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদ!

প্রকাশিত :  ০৭:৩৩, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৭:৪০, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪

রাজধানীর রাস্তায় জনতার ঢল: ভারতের অন্যায় আচরণের বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদ!

রেজুয়ান আহম্মেদ: আজ রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকাগুলোতে এক অভূতপূর্ব দৃশ্যের সৃষ্টি হয়, যখন হাজারো মানুষ ভারতের বিরুদ্ধে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করতে রাস্তায় নেমে আসে। আন্দোলনকারীদের হাতে ছিল বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড, যাতে লেখা ছিল "অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াও", "বাংলাদেশের স্বার্থে অন্যায় মেনে নেব না", এবং "ন্যায়ের পক্ষে সোচ্চার হও"।

সমাবেশে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ীসহ সাধারণ জনগণ একসাথে তাদের অসন্তোষ প্রকাশ করে। তাদের অভিযোগ, ভারতের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড বারবার বাংলাদেশের স্বার্থকে অবজ্ঞা করেছে, যা আর সহ্য করা যায় না।

আন্দোলনকারীদের দাবি, "এটি কোনো রাজনৈতিক দলের এজেন্ডা নয়; এটি দেশের জনগণের সম্মিলিত স্বার্থ রক্ষার লড়াই। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের অন্যায় আচরণ আমাদের অর্থনীতি, কূটনীতি এবং জাতীয় স্বার্থে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। সময় এসেছে এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার।"

আন্দোলনের কারণে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে যানজটের সৃষ্টি হয়। শহরের ব্যস্ততম এলাকাগুলো কার্যত স্থবির হয়ে পড়ে। তবে এই সমাবেশের চিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। দেশব্যাপী মানুষ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই সমাবেশ কোনো সাধারণ প্রতিবাদ নয়। এটি দেশের পররাষ্ট্রনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের ইঙ্গিত হতে পারে। জনতার এই ঐক্য প্রমাণ করে, জনগণ আর অন্যায় আচরণ মেনে নিতে প্রস্তুত নয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি, তবে এই প্রতিবাদ দেশের নীতি নির্ধারণে শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে, অনেকেই মনে করছেন, জনগণের এই সংহতি কেবল প্রতিবাদ নয়, বরং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার ক্ষেত্রে একটি শক্তিশালী বার্তা। এটি জাতীয় স্বার্থের পক্ষে জনগণের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ঐক্যের বহিঃপ্রকাশ।

img

কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

প্রকাশিত :  ১১:৩০, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ৩৭ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগের একদফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশনের মধ্যে বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বহিরাগতদের সংঘর্ষের ঘটনার পর ৬ দফা আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট ক্যাম্পাস ও হল বন্ধ ঘোষণা করে। হামলার ঘটনায় কুয়েট প্রশাসনের পক্ষ থেকে করা হয়েছে পাশাপাশি ঘটনা সঙ্গে জড়িত সন্দেহের ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। অন্যদিকে কুয়েট ক্যাম্পাসের বাইরের একজন বহিরাগত ২২ জন শিক্ষার্থীকে নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করে।

গত ১৩ এপ্রিল সাধারণ শিক্ষার্থীরা হল খুলে দেওয়ার দাবিতে পুনরায় আন্দোলন শুরু করে। কিন্তু কোনো সাড়া না উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে সোমবার বিকাল থেকে শিক্ষার্থীরা অনশন শুরু করেন। সেদিন ৩২ জন শিক্ষার্থী অনশন শুরু করলে ইতোমধ্যে পাঁচজন অসুস্থ হয়ে মেডিকেলে ভর্তি হয়েছেন।

এদিকে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) তদন্ত শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তিন সদস্যের কমিটি। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে তারা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেন।