img

রক্তাক্ত ইয়ামিন!

প্রকাশিত :  ০৯:১৮, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৯:২৪, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

রক্তাক্ত ইয়ামিন!

রেজুয়ান আহম্মেদ

সাভারের অদূরে হাজীপাড়া গ্রাম। এমন একটি গ্রাম, যেখানে জীবনের প্রতিটি ছন্দ মিশে আছে প্রকৃতির মাঝে। ভোরবেলা পাখির কলরব, মাঠে কৃষকের কাঁচা ঘামের গন্ধ, আর সন্ধ্যায় আলো জ্বালিয়ে গল্পে মেতে থাকা মানুষেরা—সব মিলিয়ে গ্রামটি যেন এক কবিতা। এই গ্রামেই জন্ম ইয়ামিনের। বাবা করিম মিয়া ছিলেন একজন সৎ কৃষক। সারাদিন পরিশ্রম করেও তার মুখে ক্লান্তির ছাপ পড়ত না। মা জমিলা খাতুন সংসারের প্রতিটি কাজে দক্ষ, ধৈর্যশীল একজন নারী।

ইয়ামিন ছোট থেকেই আলাদা। তার চোখে ছিল অদ্ভুত এক স্বপ্ন—নিজের গ্রামকে দেশের সেরা গ্রাম বানানোর। সে পড়াশোনায় দারুণ, কিন্তু ততটাই আন্তরিক গ্রামের মানুষের প্রতি। স্কুল ছুটি হলে অন্য ছেলেমেয়েরা খেলায় মত্ত থাকলেও ইয়ামিন বই নিয়ে বসত। তার ইচ্ছা ছিল গ্রামের প্রতিটি শিশুর চোখে শিক্ষার আলো জ্বালানো।

“গ্রামের স্কুলটাকে দেশের সেরা বানাব,”—এটাই ছিল তার প্রতিজ্ঞা। শিক্ষকরা তাকে নিয়ে গর্ব করতেন। তারা বলতেন, “ইয়ামিন একদিন অনেক বড় কিছু করবে। আমাদের গ্রাম তার জন্য গর্বিত।”

কিন্তু ইয়ামিনের এই স্বপ্ন দেখার অধিকার যেন কেউ সহ্য করতে পারল না।

২০২৪ সালের ১৮ জুলাই। দিনটি ছিল অন্য দিনের মতোই সাধারণ। ইয়ামিন সাভারের বাজারে গিয়েছিল। তার হাতে ছিল কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস। কিন্তু ভাগ্য সেদিন তার জন্য নির্মম এক চক্রান্ত তৈরি করেছিল।

বাজারের মাঝখানে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সমাবেশ চলছিল। উত্তেজনা তুঙ্গে। হঠাৎ এক নেতা মাইকে চিৎকার করে বলল, “ওই ছেলেটা গুপ্তচর! ধরো ওকে!” কথাটি শুনে চারদিকের মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়ল ইয়ামিনের ওপর।

“আমি কিছু জানি না। আমি নির্দোষ,”—চিৎকার করেও নিজেকে বাঁচাতে পারল না ইয়ামিন।

পুলিশ এসে তাকে ধরে নিয়ে গেল। সাভারের থানায় শুরু হলো এক নির্মম অধ্যায়।

“কোন দলের হয়ে কাজ করছ? তোর নেতা কে?” পুলিশের এই অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্নের কোনো উত্তরই ইয়ামিনের মুক্তি আনতে পারল না। তার মুখে লাঠির আঘাত, শরীরে বিদ্যুৎ শকের তীব্র যন্ত্রণা। ইয়ামিন কাঁদছিল, কিন্তু তার চোখে ছিল একধরনের দৃঢ়তা।

“আমি নির্দোষ,”—এই কথাটি ছাড়া সে আর কিছু বলল না।

ভোরবেলা তাকে পুলিশের গাড়ির ছাদে উঠিয়ে আনা হলো। যেন জনসম্মুখে এক অপমানজনক শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। হঠাৎ রাস্তার মাঝে ছাদের উপর থেকে একজন পুলিশ সদস্য তাকে টেনে রাস্তায় ফেলে দিল।

এমন বর্বরতার দৃশ্য দেখে রাস্তার মানুষগুলো চুপ হয়ে গেল। কারও সাহস হলো না প্রতিবাদ করার। এক পুলিশ অফিসার পিস্তল বের করে তার পায়ে গুলি করল। ইয়ামিন কাতরানোর চেষ্টা করল, কিন্তু তার শরীর ক্রমশ নিথর হয়ে গেল।

পরদিন সকালে জমিলা খাতুন হাসপাতালে ছুটে যান। সেখানে তার ছেলের নিথর দেহ পড়ে আছে। তার কান্নায় হাসপাতালের পরিবেশ যেন স্তব্ধ হয়ে গেল।

“আমার ছেলে নির্দোষ ছিল। ওর কী দোষ ছিল? কে আমার ছেলেকে মেরেছে?” তার চিৎকার সাভারের প্রতিটি ঘরে পৌঁছে গেল।

ইয়ামিনের মৃত্যু শুধু তার পরিবারের জন্য নয়, পুরো গ্রামের জন্য এক অভিশাপ হয়ে দাঁড়াল।

ইয়ামিনের হত্যাকাণ্ড নিয়ে দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠল। “ইয়ামিনের হত্যাকারীদের বিচার চাই”—এই স্লোগান ছড়িয়ে পড়ল গ্রাম থেকে শহরে।

মানবাধিকার সংস্থাগুলো ঘটনার নিন্দা জানাল। তারা বলল, এটি রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের উদাহরণ। কিন্তু সরকার শুরুতে গুরুত্ব দেয়নি।

জমিলা খাতুন তার ছেলের জন্য সুবিচার চাইলেন। তিনি প্রতিটি ঘরে গিয়ে মানুষকে আন্দোলনের জন্য আহ্বান জানালেন। তার এই লড়াই শুধু তার একার ছিল না, বরং এটি হয়ে উঠল নির্যাতিত মানুষের কণ্ঠস্বর।

সরকার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করল। কিন্তু রিপোর্টে বলা হলো, “ইয়ামিনের মৃত্যু একটি দুর্ঘটনা।”

এই রিপোর্ট মানুষকে আরও ক্ষুব্ধ করে তুলল। প্রতিবাদের ঢেউ এবার আরও জোরালো হলো। সারা দেশে হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমে এলো।

ইয়ামিনের মৃত্যু থামিয়ে দিতে পারেনি একটি জাতির স্বপ্ন। তার মা জমিলা খাতুন আজ একটি প্রতীক। তার সংগ্রাম মানুষকে শিখিয়েছে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সাহস।

ইয়ামিন বেঁচে নেই, কিন্তু তার স্বপ্ন আজও বেঁচে আছে। তার মৃত্যু একটি জাতিকে শিখিয়েছে, “ক্ষমতার অপব্যবহার জীবন কেড়ে নিতে পারে, কিন্তু সত্য এবং ন্যায়ের শক্তি কখনো মরে না।”

রক্তাক্ত ইয়ামিন একটি জীবনের গল্প নয়, এটি একটি জাতির জাগরণের গল্প। তার আত্মত্যাগ মানুষের হৃদয়ে চিরকাল বেঁচে থাকবে।




রেজুয়ান আহম্মেদ: কলামিস্ট, বিশ্লেষক; সম্পাদক অর্থনীতি ডটকম

img

নজরুল-চিন্তা ও আগামীর বাংলাদেশ

প্রকাশিত :  ১৯:০৪, ০৪ জুলাই ২০২৫

জয়দ্বীপ রায়

আমি মাঝে মাঝে ভাবি—আজ যদি কবি নজরুল ইসলাম জীবিত থাকতেন, তবে তিনি কী করতেন? যদিও এই প্রশ্নটি স্থান, কাল ও পাত্রের সূচকগুলোকে বিবেচনায় না নিয়েই করা হচ্ছে, তারপরও কিছু আকাঙ্ক্ষা মনের গভীর থেকে উঠে আসে, যা প্রকৃতি প্রদত্ত কিছু সত্য উপলব্ধির ফসল।

আমার মতে, এটি একটি যুক্তিপূর্ণ বৈজ্ঞানিক মতও বটে যে নজরুল ইসলাম, একজন ধর্মপরায়ণ পরিবারের সন্তান হয়েও ধর্মের মূল উদ্দেশ্য—মানবকল্যাণ—উপলব্ধি করেছেন জ্ঞান, যুক্তি ও ঈশ্বর-চেতনার মাধ্যমে। তাইতো তিনি লিখেছেন:

“খেলিছ এ বিশ্ব লয়ে বিরাট শিশু আনমনে,

প্রলয়-সৃষ্টি তব পুতুল খেলা নিরজনে, প্রভু নিরজনে...”

এই উপলব্ধি কোথা থেকে এসেছে? আমার ধারণা, ঈশ্বরের করুণা ব্যতিরেকে এমন চিন্তা সম্ভব নয়। তবে এটাও আমার বিশ্বাস—সারাক্ষণ ঈশ্বরচিন্তা করলেও তাঁর করুণা সবসময় নাও আসতে পারে। এখানে গ্রন্থগুলোতে ঈশ্বর যেখানে মানুষের মানবতাকে মূল্য দিয়েছেন, সেই ধর্মীয় উপলব্ধির গভীরতাই নজরুলকে অনন্য করে তোলে।

নজরুল এক অনন্য মাত্রায় ঈশ্বর ও মানবতার সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। তিনি সব ধর্মের প্রতি সম্মান রেখেছেন এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে নিজের জীবনে ধারণ করেছেন। তাঁর ধর্মনিরপেক্ষতা ধর্মহীনতা নয়, বরং অসীম ঈশ্বরের প্রতি তাঁর বিনীত নিবেদন ও আনুগত্য, যেখানে তিনি সকল ধর্মের ঈশ্বরের মধ্যেই খুঁজে পেয়েছেন। বাংলা সাহিত্যে ইসলামি ধর্মীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে তিনি যেভাবে তুলে ধরেছেন, তা একজন অমুসলিম পাঠকের মনেও ইসলামের প্রতি শ্রদ্ধা ও সংবেদনশীলতা জাগিয়ে তুলতে সক্ষম—যেমনটি দুই বাংলাতেই আমাদের বাঙালি মননে অনেকের মধ্যেই ঘটেছে।

নজরুলের এই সাহিত্য-শক্তির কারণেই তাঁর ধর্ম, নানান সংস্কৃতি ও বিশ্বময় বৈচিত্র্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ সৃষ্টি করে। তিনি এতটাই বৈচিত্র্যে আকৃষ্ট সাহিত্যিক ছিলেন, যিনি সারা পৃথিবীর বৈচিত্র্যকে তাঁর সৃষ্টিতে ও জীবনবোধে এক বৈশ্বিক রূপ দিয়েছেন। যেখানে ছিল না কোনো গণ্ডি ও সংকীর্ণতা। একজন কবি এত দারিদ্র্য ও সীমাবদ্ধতার মাঝেও কোনো অভিযোগ ছাড়াই কী রকম মুক্তমন নিয়ে নিজেকে বিকশিত করেছিলেন, আর বাঙালি মননকে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় শুদ্ধ করেছিলেন।

বাংলা সাহিত্যে নজরুলের মতো করে শ্যামাসঙ্গীত, ভজন বা সনাতন ধর্মীয় গানে মৌলিক অবদান আর কেউ রাখেননি। এই বৈচিত্র্যই তাঁকে তুলনার ঊর্ধ্বে স্থাপন করে। সাহিত্যের প্রতিটি শাখা স্বতন্ত্র—এখানে কারও সাথে কারও তুলনা হয় না, কারণ এই ক্ষেত্রটি বিশাল, যার কোনো কোলকিনারা নেই। এখানে নানান সাহিত্য উপাদান বা কনটেন্ট উপস্থাপনাই গুরুত্বপূর্ণ। শিল্প ও সাহিত্যের বিজ্ঞানের নিয়মের বিচারে একেক জনের সৃষ্টি একেক জনকে অনন্য সাধারণ হিসেবে স্থান করে দিয়েছে।

উপনিবেশিক রাজনীতির সংকীর্ণ প্রয়োজনে যখন হিন্দু-মুসলমান বিভাজন সমাজে প্রকট হয়ে উঠল—যা মুঘল আমলেও কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া প্রায় ছিলই না—তখন নজরুল হয়ে উঠলেন জাতির বিবেক। তিনি শুধু কবিই ছিলেন না, ছিলেন সাম্যবাদী চিন্তাবিদ, রাজনৈতিক ও সমাজকর্মী। বিপ্লবী রাজনীতিবিদদের সাংস্কৃতিক মানের প্রশ্নে তিনি তাদেরকে তাঁর সাহিত্যরস দিয়ে পরিচালিত করেছেন, শক্তি জুগিয়েছেন।

সম্প্রতি নজরুলের জন্মবার্ষিকীতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কিছু সমসাময়িক রাজনৈতিক নেতা তাঁকে স্মরণ করে বাণী দিয়েছেন। এটি প্রশংসনীয়। কিন্তু অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম—সাম্য, বিদ্রোহ, শোষণবিরোধিতা ইত্যাদি—সব শব্দই ব্যবহৃত হয়েছে, শুধু “অসাম্প্রদায়িকতা” শব্দটি নেই। কেন? এই শব্দ ব্যবহার করলে কি বেশিরভাগ সাম্প্রদায়িকতায় আচ্ছন্ন মানুষগুলোর বিশ্বাসে আঘাত আসতে পারে? এই বিশ্বাস কি তার ধর্মীয় চেতনার সাথে সাংঘর্ষিক? না তার অজ্ঞানতা বা না বোঝার ফলে বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে আজ সংক্রামিত হয়েছে? আমার মতে, এইসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে কবি নজরুলকে বোঝা খুবই গুরুত্ব বহন করবে।

অসাম্প্রদায়িকতা কি সাম্যের অংশ নয়? অন্য ধর্ম ও জাতিগোষ্ঠীর প্রতি সম্মান, নারীর সমমর্যাদা, ধর্মভিত্তিক বৈষম্য রোধ—এগুলো কি সাম্যের পরিপূরক নয়? তাহলে নজরুলের সাম্যের দর্শনে এই বিষয়গুলো কি অনুপস্থিত থাকবে, যারা এই শব্দগুলো ব্যবহার করছেন?

আমরা সবাই জানি, নজরুল ভারতের কবি হলেও বাংলাদেশ তাঁর শ্রেষ্ঠ উত্তরাধিকার পেয়েছে। এই পাওয়া আমাদের জন্য বাড়তি পাওয়া, কিন্তু ভারতের অসাম্প্রদায়িক বুদ্ধিবৃত্তিসম্পন্ন মানুষদের ক্ষোভ আছে এই বিষয়ে। এই অমূল্য রত্নকে যদি শুধু রাজনৈতিক প্রয়োজনে ব্যবহার করি—সার্বজনীন দৃষ্টিভঙ্গি বাদ দিয়ে কেবল দলীয় ব্যাখ্যায় ব্যাখ্যাত করি—তাহলে আমরা আসলে কী শিখছি? ভবিষ্যৎ নেতৃত্বকেও কি এমনটাই শেখাব?

এই প্রশ্নগুলোর সাথে ভবিষ্যতের গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক ও জাতিসত্তাভিত্তিক বাংলাদেশের ভাগ্য জড়িত। তথাকথিত \"বহুত্ববাদ\"ও এই প্রশ্নগুলোর সাথেই সম্পর্কিত।

বহুত্ববাদ মানে শুধু কারও ওপর ঘটে যাওয়া অন্যায় শুধরে দেওয়া নয়—বরং সকল মত, জাতি ও ধর্মের সহাবস্থান নিশ্চিত করা। নিজের বিশ্বাসকে অন্যের ওপর চাপিয়ে না দেওয়ার সহিষ্ণুতা। এই বহুত্ববাদই বাংলার হাজার বছরের ঐতিহ্য। এই ভূখণ্ডে হিন্দু, বৌদ্ধ, মুসলিম, খ্রিস্টান—সবাই যুগে যুগে ধর্ম প্রচার করেছেন, আবার সহঅবস্থানেরও দৃষ্টান্ত রেখেছেন।

সভ্যতা এগিয়ে যাওয়ার কথা বলে, পেছনে ফিরে যাওয়াকে কখনো উৎসাহ দেয় না। তাই বাঙালির প্রকৃত পরিচয়—বৈচিত্র্য-বিশ্বাসী ও পরমত সহিষ্ণু জাতি—যদি জোর করে চেপে ধরা হয়, তবে প্রকৃতি একদিন এর প্রতিক্রিয়া দেবে—যা আমাদের জন্য কল্যাণকর হবে না।

এটাই সামাজিক বাস্তবতা।

গণতন্ত্রে বিশ্বাস যদি সত্যিই কেউ করে, তাহলে তা কখনোই সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠী বা ধর্মীয় সহিষ্ণুতাকে অবজ্ঞা করে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, সুইজারল্যান্ড মাত্র কয়েক হাজার ইতালিয়ান ভাষাভাষীর জন্য রোমানশ ভাষাকে জাতীয় ভাষার মর্যাদা দিয়েছে। আমরা ইউরোপে থাকি, কিন্তু ইউরোপ থেকে কী শিখছি? দেশে কী ফিরিয়ে নিচ্ছি? নজরুলের কথা বলছি, কিন্তু তাঁকে বুঝে? না না বুঝে?

যুক্তরাজ্য থেকে আইনে ডিগ্রি নিয়ে ব্যারিস্টার হয়ে অনেকেই দেশে রাজনীতি করছেন বা করবেন, কিন্তু দেশে গিয়ে বিদেশের সোনা লোহা হয়ে যায় কেন? এটা সামাজিক বাস্তবতার কাছে আত্মসমর্পণ করে অস্বীকার করা নয়, যুক্তির কষ্ঠিপাথরে থেকেও নিজের সাথে প্রতারণা করে অবিশ্বাস করা।

আগামী দিনে যারা রাজনীতি করবেন, তাদের নৈতিকতাবোধ কি বিবেচনায় আসবে না? যদি না আসে, তাহলে কি আমরা একই বৃত্তে ঘোরপাক খাবো? আগাবো না?

এই প্রশ্নগুলো আজকের বিশ্বায়িত রাজনীতি, অর্থনীতি ও সংস্কৃতির যুগে বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।


জয়দ্বীপ রায়: রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সংস্কৃতি কর্মী, লন্ডন।