img

নারীকে ১৮ মাস ধরে ধর্ষণ-মারধর: ব্রিটিশ বাংলাদেশি ফারাবির ১৯ বছরের কারাদণ্ড

প্রকাশিত :  ১৮:২৭, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪

নারীকে ১৮ মাস ধরে ধর্ষণ-মারধর: ব্রিটিশ বাংলাদেশি ফারাবির ১৯ বছরের কারাদণ্ড

ব্রিটিশ বাংলাদেশি এক যুবককে ১৯ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের একটি আদালত। যুবককের নাম ফারনাজ ফারাবি (২৮)। দীর্ঘ দেড় বছর ধরে নারীকে ধর্ষণ, হাতুড়ি দিয়ে মারধর এবং হত্যার হুমকির অভিযোগে তাকে এই সাজা দেওয়া হয়েছে। এমনকি নির্যাতনের সময় কখনও কখনও তিনি ওই নারীর শরীরে গরম পানি ঢেলে দিতেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

গতকাল রোববার (১৫ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ইয়াহু নিউজ। এছাড়া যুক্তরাজ্যের ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস পুলিশের ওয়েবসাইটেও ওই যুবকের অপরাধ ও সাজার তথ্য জানানো হয়েছে।

পুলিশের ওই ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, প্রায় ১৮ মাস ধরে নির্যাতন চালানোর সময় ফারনাজ ফারাবি ওই নারীকে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করার পাশাপাশি তাকে ধর্ষণ করে, তার গলায় ছুরি ধরে হত্যার হুমকি দেয় এবং তার শরীরে ফুটন্ত গরম পানি ঢেলে দেয়।

এই বছরের মার্চ মাসে নির্যাতিত ওই নারীর সহকর্মীরা তার মুখে আঘাতের চিহ্ন দেখলে তারা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে এবং এরপরই বিষয়টি আমাদের (পুলিশকে) প্রথম জানানো হয়। এরপর আমাদের পাবলিক প্রোটেকশন ইউনিট তদন্ত শুরু করে এবং দেখা যায়— নির্যাতনের শিকার ওই নারীর একটি ভাঙা হাত এবং তার গোড়ালি, নাকে ক্ষত এবং শরীরে বিভিন্ন পর্যায়ে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

অভিযুক্ত ফারাবি প্রাথমিকভাবে কোনও অপরাধ করার কথা অস্বীকার করলেও শেষ পর্যন্ত ওয়ারউইক ক্রাউন কোর্টে বিচারের সময় নারীকে ধর্ষণ ও নির্যাতনের মাধ্যমে আহত করার কথা স্বীকার করেন এবং ওই অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হন। পরে বিচার শেষে কভেন্ট্রি শহরের জেসমিন গ্রোভের বাসিন্দা ২৮ বছর বয়সী এই যুবককে গত বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ১৯ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

ফারনাজ ফারাবির এই অপরাধের বিরুদ্ধে তদন্তের নেতৃত্ব দিয়েছেন এলিস বারবিজ। তিনি বলেছেন: “দীর্ঘ সময় ধরে দুর্বল ওই নারীর ওপর ভয়াবহ শারীরিক ও যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছে। ওই নারীকে যে অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে, তা ভয়ঙ্কর। তিনি তার শরীরজুড়ে ব্যাপক এবং স্থায়ী ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছেন এবং বর্তমানে নিরাপদ পরিবেশে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।”

তিনি আরও বলেন, “এই ধরনের অপরাধ আতঙ্কজনক ও অমার্জনীয় এবং অভিযুক্ত ফারাবি উল্লেখযোগ্য সময়ের জন্য কারাগারে বন্দি থাকবেন।”

যুক্তরাজ্য এর আরও খবর

ইংলিশ চ্যানেলে নৌকা ডুবে শিশুসহ নিহত ৫ | JANOMOT | জনমত

img

পশ্চিম লন্ডনে ১০ দিনেরও বেশি সময় বাথটাবে পড়ে থাকা মৃতদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত :  ১৪:১২, ১৫ মার্চ ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৪:২৫, ১৫ মার্চ ২০২৫

পশ্চিম লন্ডনের ব্রেন্টফোর্ডে এক ব্যক্তি ১০ দিনেরও বেশি সময় ধরে বাথটাবে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে পারেন বলে তদন্তে উঠে এসেছে। ৪৬ বছর বয়সী জেসন লায়ন্সের মরদেহ ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পশ্চিম লন্ডনের একটি বাড়ির বাথরুম থেকে উদ্ধার করা হয়। তিনি মৃত্যুর মাত্র ১১ দিন আগে ব্রিক্সটন কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন।

পুলিশের তদন্তে দেখা গেছে, তার শরীরের নিচে একটি আয়না ও রূপালি ফয়েলের মধ্যে ‘পোড়া ছাইয়ের মতো’ একটি অজানা পদার্থ পাওয়া যায়। যুক্তরাজ্যের কারাগার ও প্রবেশন ওম্বুডসম্যান (PPO) এই ঘটনা তদন্ত করে, যারা ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের বর্তমান ও সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিদের মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখে।

জেসন লায়ন্স ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ সালে এইচএমপি ব্রিক্সটন থেকে মুক্তি পান এবং ২৬ সেপ্টেম্বর তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

তবে তার মরদেহ গুরুতরভাবে পচে যাওয়ায় ময়নাতদন্তে মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। ২০২৪ সালের এপ্রিলে এক করোনার (ময়নাতদন্তকারী) জানান, তার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে পর্যাপ্ত প্রমাণ নেই।

PPO-এর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, লায়ন্স অতীতে মাদক সেবনের ইতিহাস থাকলেও তিনি কারা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন যে, তিনি মাদকমুক্ত এবং কোনো সহায়তা প্রয়োজন নেই।

এছাড়া, তিনি উদ্বেগ ও হতাশায় ভুগছিলেন, তবে তার কারাগার থেকে মুক্তির আগে তার আত্মহত্যার ঝুঁকি বা উচ্চতর বিপদের কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি বলে PPO জানায়।

কর্তৃপক্ষের কোনো গাফিলতি ছিল না

PPO প্রধান অ্যাড্রিয়ান উশার জানান, এই ঘটনায় কারাগার বা প্রবেশন কর্মকর্তাদের কোনো দোষ খুঁজে পাওয়া যায়নি, তবে মৃত্যুর পরিস্থিতি ‘উদ্বেগজনক’।

তিনি আরও বলেন, “সম্ভবত, তিনি ১০ দিনেরও বেশি সময় আগে মারা গিয়েছিলেন, তারপর তার মরদেহ পাওয়া যায়। এই ঘটনা কারাগার ও প্রবেশন বিভাগের কর্মীদের জন্য একটি সতর্কবার্তা যে, যারা মুক্তির পর সহায়তা নিতে অস্বীকার করেন বা পুনর্বাসন সেবায় অংশ নেন না, তারা আরও বেশি ঝুঁকির মধ্যে থাকেন।”

যুক্তরাজ্য এর আরও খবর