img

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে প্রথমবার হোয়াইটওয়াশ করে টাইগারদের ইতিহাস

প্রকাশিত :  ০৬:২৯, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৬:৩৫, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে প্রথমবার হোয়াইটওয়াশ করে টাইগারদের ইতিহাস

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করে নতুন ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশ। ক্যারিবীয়দের মাটিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের পর এবার স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশ করল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল, যা ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অর্জন।

বাংলাদেশ সময় শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৮০ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করে জাকের আলীর দুর্দান্ত ইনিংসে ভর করে ৭ উইকেটে ১৮৯ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে মাত্র ১০৯ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ফলে ৮০ রানের বিশাল জয়ে টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিবীয়দের প্রথমবারের মতো হোয়াইটওয়াশ করল বাংলাদেশ।

১৯০ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ইনিংসের প্রথম ওভারেই তাসকিন আহমেদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ব্রেকথ্রু পায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় বলেই ব্রান্ডন কিংকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন তাসকিন। রিভিউ নিয়েও রক্ষা পাননি তিনি। উল্লেখ্য, সিরিজের সব ম্যাচেই কিংকে শিকার করেছেন তাসকিন।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসের প্রথম ওভারের মাঝেই নামে বৃষ্টি। তবে খেলা বন্ধ থাকে মাত্র ২০ মিনিট। খেলা পুনরায় শুরু হলে দ্বিতীয় ওভারেই আক্রমণে আসেন স্পিনার শেখ মেহেদি হাসান। প্রথম ওভারেই তিনি উইকেট তুলে নেন। জাস্টিন গ্রিভস ছক্কা মারতে গিয়ে লং অনে আফিফ হোসেনের হাতে ধরা পড়তে হয়। এতে ৭ রানের মধ্যেই ২ উইকেট হারায় ক্যারিবিয়ানরা।

নিকোলাস পুরাণ ও জনসন চার্লস জুটি গড়ার চেষ্টা করলেও মেহেদির বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে কুপোকাত হন পুরাণ। অফ স্টাম্পের বাইরে থেকে ভেতরে ঢোকা বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি, করেন ১০ বলে ১৫ রান। এরপর রোস্টন চেইসও ব্যর্থ; হাসান মাহমুদের বলে মেহেদির হাতে ক্যাচ দিয়ে শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন।

অপরপ্রান্তে টিকে থাকা চার্লসের ইনিংস শেষ হয় রান আউটের শিকার হয়ে। ১৮ বলে ২৩ রান করেন তিনি। দলীয় ৫০ রান পূর্ণ হওয়ার আগেই ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে স্বাগতিকরা।

এরপর রোভম্যান পাওয়েল ও গুড়াকেশ মতি ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে। কেবল রোমারিও শেফার্ড লড়াই করার চেষ্টা করেন। তার ২৭ বলে ৩৩ রানের ইনিংস কেবল পরাজয়ের ব্যবধানই কমিয়েছে।

বাংলাদেশের পক্ষে রিশাদ হোসেন ২১ রানে ৩টি উইকেট নিয়ে বোলিংয়ে সেরা পারফরমার। তাসকিন আহমেদ ও মেহেদি হাসান দুটি করে উইকেট পেয়েছেন। এছাড়া তানজিম সাকিব ও হাসান মাহমুদ একটি করে উইকেট নেন।

এর আগে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের শুরুটা ছিল ঝড়ো। ওপেনিংয়ে পারভেজ হোসেন ইমন শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন। লিটন দাসের সঙ্গী হয়ে প্রথম উইকেটে ৪৪ রানের জুটি গড়েন ইমন। তবে লিটন ১৪ রান করে আউট হলে ভাঙে জুটি। ইমনও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি, ২১ বলে ৩৯ রান করে আউট হন।

তিনে নেমে তানজিদ তামিম ৯ রান করেই ফিরে যান। ৬৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে দল ব্যাকফুটে চলে যায়। এরপর মেহেদি হাসান মিরাজ ও জাকের আলী হাল ধরেন। মিরাজ ২৩ বলে ২৯ রান করে আউট হন।

শেষদিকে জাকের আলী ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দলকে বড় সংগ্রহ এনে দেন। ৪১ বলে ৭২ রান করে তিনি অপরাজিত থাকেন, মারেন ৩টি চার ও ৬টি ছক্কা। তাকে সঙ্গ দেন তানজিম সাকিব, যিনি ১২ বলে ১৭ রান করেন।

সব মিলিয়ে বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিং এবং জাকেরের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে সহজেই হারিয়ে সিরিজ জয় নিশ্চিত করে টাইগাররা।


খেলাধূলা এর আরও খবর

খুলনাকে হারিয়ে প্রথম জয়ের স্বাদ নিল সিলেট

img

ফিক্সিং কাণ্ডে নারী ক্রিকেটার সোহেলী ৫ বছর নিষিদ্ধ

প্রকাশিত :  ১৪:৫৪, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৫:০৩, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটার সোহেলি আক্তারকে পাঁচ বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। ২০২৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচে দুর্নীতির সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আনা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে।

আইসিসি আজ মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, দুর্নীতিবিরোধী আইনের পাঁচটি ধারা লঙ্ঘন করেছেন সোহেলি। বাংলাদেশের হয়ে দুটি ওয়ানডে ও ১৩টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন তিনি।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোহেলির বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো ২০২৩ উইমেন’স টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সংক্রান্ত। তিনি সেই বিশ্বকাপের স্কোয়াডে ছিলেন না। তবে দেশে থেকেই দলের এক ক্রিকেটারকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেন তিনি। এছাড়াও আরও কয়েকটি অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।

ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পাওয়া ক্রিকেটারের অভিযোগের ভিত্তিতেই সোহেলির বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগ। শুরুতে অস্বীকার করলেও পরে নিজের দায় স্বীকার করে নেন ৩৬ বছর বয়সী স্পিনার। এই বিষয়ে পরবর্তীতে আর শুনানির প্রয়োজন নেই বলে উল্লেখ করা হয়েছে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।

১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ থেকে কার্যকর হয়েছে তার শাস্তি।

যে ধারাগুলো ভঙ্গের দায়ে সোহেলির শাস্তি হয়েছে, এর মধ্যে প্রথমটি হলো, কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচের ফলাফল, অগ্রগতি বা অন্য কোনো দিক অনুচিতভাবে প্রভাবিত করার জন্য বা এ ধরনের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে কোনো চুক্তি বা প্রচেষ্টায় জড়িয়ে যাওয়া বা অন্য কোনো উপায়ে ইচ্ছাকৃতভাবে খারাপ পারফরম্যান্স করার মাধ্যমে ফিক্সিং বা ম্যাচ প্রভাবিত করার চেষ্টা।

এই প্রচেষ্টায় সফল হওয়ার জন্য নিজে বাজি ধরা, অন্য কাউকে দিয়ে ঘটানোর জন্য কোনো উপঢৌকন নেওয়া বা দেওয়ার জন্য সম্মত হওয়ার কথা বলা হয়েছে আরেকটি ধারায়।

কোনো ক্রিকেটার বা ম্যাচ সংশ্লিষ্ট কাউকে নিয়ম ভাঙতে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে প্রলুব্ধ করা বা সহায়তার কথা উল্লেখ আছে আরেকটি অনুচ্ছেদে। ফিক্সিং বা দুর্নীতির প্রস্তাব পাওয়া বা প্রক্রিয়ার ব্যাপারটি আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী বিভাগকে অবহিত করেননি তিনি। এটিই আইনের লঙ্ঘন। এছাড়াও তদন্ত শুরু হওয়ার পর দুর্নীতিবিরোধী বিভাগের কাজে বাধা দেওয়া কিংবা প্রক্রিয়া বিলম্বিত করার অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে।

বাংলাদেশ দলের হয়ে সোহেলি সবশেষ ম্যাচ খেলেছেন ২০২২ সালে। সব মিলিয়ে দুটি টি-টোয়েন্টি ও ১৩টি ওয়ানডে খেলেছেন। উইকেট নিয়েছেন সব মিলিয়ে ১১ টি, রান করেছেন ৬।