img

বেতন ও সুযোগ-সুবিধা বাড়লো নারী ক্রিকেটারদের

প্রকাশিত :  ০৫:৩৯, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৫:৪৩, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

বেতন ও সুযোগ-সুবিধা বাড়লো নারী ক্রিকেটারদের

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড- বিসিবি নারী ক্রিকেটারদের বেতন বৃদ্ধি করেছে । এখন থেকে ম্যাচ ও সিরিজ জয়ের জন্য সুনির্দিষ্ট পরিমাণ বোনাসও পাবেন খেলোয়াড়েরা। 

১৮ জন খেলোয়াড়কে কেন্দ্রীয় চুক্তি এবং ৩০ জনকে জাতীয় চুক্তিতে নেয়া হয়েছে। নারী ক্রিকেটাররা বেতন পাবেন চারটি গ্রেডে।

বিসিবি’র ১৬তম সভায় বেতনবৃদ্ধি ও বোনাস এবং কেন্দ্রীয় চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড় তালিকা অনুমোদন দেয়া হয়। এ ও বি ক্যাটাগরির খেলোয়াড়দের বেতন ২০২৩-২৪ মৌসুমের চেয়ে মাসে ২০ হাজার টাকা বাড়ানো হয়েছে। আর সি ও ডি ক্যাটাগরির খেলোয়াড়দের বেতন বেড়েছে মাসে ১০ হাজার টাকা করে।

২০২৪ সালের ১ অক্টোবর থেকে ২০২৫ সালের ৩০ জুন মেয়াদের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে সর্বোচ্চ এ ক্যাটাগরিতে আছেন নিগার সুলতানা, ফারজানা হক, ঋতু মনি ও নাহিদা আক্তার। তারা মাসে পাবেন ১ লাখ ২০ হাজার টাকা করে। সর্বনিম্ন ডি ক্যাটাগরিতে থাকা স্বর্ণা আক্তার, দিশা বিশ্বাসরা পাবেন মাসে ৬০ হাজার টাকা করে।

কেন্দ্রীয় চুক্তির বাইরে আরও ৩০ জন খেলোয়াড়কে জাতীয় চুক্তিতে নেয়া হয়েছে এটি পুরুষদের ক্রিকেটে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের চুক্তির আদলে তৈরি। জাতীয় দলের আশপাশে থাকা ক্রিকেটাররাই জাতীয় চুক্তিতে অন্তর্ভূক্ত হয়েছেন। 

এর মধ্যে সাবেক অধিনায়ক সালমা খাতুন রুমানা আহমেদরা আছেন। জাতীয় চুক্তির মেয়াদ ২০২৪ সালের ১ নভেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত।

কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা খেলোয়াড়দের বেতন বৃদ্ধির বাইরে ম্যাচ ও সিরিজ জয়ের জন্য বোনাসও অনুমোদন করা হয়েছে এবার। ওয়ানডেতে আইসিসি র‌্যাঙ্কিংয়ের ১ থেকে ৩ এর মধ্যে ধাকা দলের বিপক্ষে প্রতিটি জয়ের জন্য বোনাস ১ লাখ টাকা।   

র‌্যাংকিংয়ে ৪ থেকে ৬ নম্বরে থাকা দলের বিপক্ষে ৭৫ হাজার টাকা এবং ৭ থেকে নয় নম্বরে থাকা দলের বিপক্ষে ম্যাচ জয় ও সিরিজ জয়ের জন্য ৫০ হাজার টাকা বোনাস দেওয়া হবে। 

টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ১ থেকে ৩ নম্বর দলের বিপক্ষে ৫০ হাজার, ৪ থেকে ৬ নম্বরে থাকা দলের বিপক্ষে ৩৫ হাজার এবং ৭ থেকে ৯ নম্বরে থাকা দলের বিপক্ষে জয়ের জন্য ৩০ হাজার টাকা বোনাস দেওয়া হবে। 

প্রথম শ্রেনির পুরুষ ক্রিকেটারদের সাথে জাতীয় দলের নারী ক্রিকেটারদের মিল আছে। নারী ক্রিকেটারদের একটি বড় পুলে আর্থিক অবস্থায় স্থিতিশীলতা আনতেই এটি চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড। 

কেন্দ্রীয় চুক্তির অংশ নন এমন ৩০ জন ক্রিকেটারকে এ বছরের পহেলা নভেম্বর থেকে আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত নারীদের জাতীয় চুক্তিতে রাখা হয়েছে। 

জাতীয় চুক্তির নারী ক্রিকেটাররা হলেন-

সালমা খাতুন, রুমানা আহমেদ, ইশমা তানজিম, ফারিহা ইসলাম তৃষ্ণা, সুমাইয়া আকতার, শারমিন সুলতানা, রুবাইয়া হায়দার ঝিলিক, ফারজানা আকতার লিসা, সুরাইয়া আজমিম, পূজা চক্রবর্তী, নিশিতা আকতার নিশি, সম্পা বিশ্বাস, জান্নাতুল ফেরদৌস সুমনা, সাবিকুন নাহার জেসমিন, সানজিদা আকতার মেঘলা, ফাতেমা জাহান সোনিয়া, রিয়া আকতার শিখা, মিষ্টি রানী সাহা, জান্নাতুল ফেরদৌস তিথি, আয়শা আকতার (জুনিয়র), ফুয়ারা বেগম, মোসাম্মত ইভা, সুমাইয়া আকতার সুর্বনা, জান্নাতুল মাওয়া, দিপা খাতুন, আফিয়া আসিমা ইরা, উন্নতি আকতার, তাজ নেহার, শরিফা খাতুন। 


কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকা

গ্রেড ‘এ’ (১ লাখ ২০ হাজার টাকা) : নিগার সুলতানা জ্যোতি, ফারজানা হক পিংকি, রিতু মনি, নাহিদা আক্তার। 

গ্রেড ‘বি’ (১ লাখ টাকা) : ফাহিমা খাতুন, শামীমা সুলতানা, শারমিন আক্তার সুপ্তা, মুর্শিদা খাতুন, মারুফা আকতার, রাবেয়া।

গ্রেড ‘সি’ (৭০ হাজার টাকা) : সোবহানা মোস্তারি, লতা মন্ডল, জাহানারা আলম, সোমা আক্তার।

গ্রেড ‘ডি’ (৬০ হাজার টাকা) : দিশা বিশ্বাস, সুলতানা খাতুন, দিলারা আক্তার, সাথী রানী

খেলাধূলা এর আরও খবর

খুলনাকে হারিয়ে প্রথম জয়ের স্বাদ নিল সিলেট

img

ফিক্সিং কাণ্ডে নারী ক্রিকেটার সোহেলী ৫ বছর নিষিদ্ধ

প্রকাশিত :  ১৪:৫৪, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৫:০৩, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটার সোহেলি আক্তারকে পাঁচ বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। ২০২৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচে দুর্নীতির সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আনা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে।

আইসিসি আজ মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, দুর্নীতিবিরোধী আইনের পাঁচটি ধারা লঙ্ঘন করেছেন সোহেলি। বাংলাদেশের হয়ে দুটি ওয়ানডে ও ১৩টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন তিনি।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোহেলির বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো ২০২৩ উইমেন’স টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সংক্রান্ত। তিনি সেই বিশ্বকাপের স্কোয়াডে ছিলেন না। তবে দেশে থেকেই দলের এক ক্রিকেটারকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেন তিনি। এছাড়াও আরও কয়েকটি অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।

ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পাওয়া ক্রিকেটারের অভিযোগের ভিত্তিতেই সোহেলির বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগ। শুরুতে অস্বীকার করলেও পরে নিজের দায় স্বীকার করে নেন ৩৬ বছর বয়সী স্পিনার। এই বিষয়ে পরবর্তীতে আর শুনানির প্রয়োজন নেই বলে উল্লেখ করা হয়েছে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।

১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ থেকে কার্যকর হয়েছে তার শাস্তি।

যে ধারাগুলো ভঙ্গের দায়ে সোহেলির শাস্তি হয়েছে, এর মধ্যে প্রথমটি হলো, কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচের ফলাফল, অগ্রগতি বা অন্য কোনো দিক অনুচিতভাবে প্রভাবিত করার জন্য বা এ ধরনের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে কোনো চুক্তি বা প্রচেষ্টায় জড়িয়ে যাওয়া বা অন্য কোনো উপায়ে ইচ্ছাকৃতভাবে খারাপ পারফরম্যান্স করার মাধ্যমে ফিক্সিং বা ম্যাচ প্রভাবিত করার চেষ্টা।

এই প্রচেষ্টায় সফল হওয়ার জন্য নিজে বাজি ধরা, অন্য কাউকে দিয়ে ঘটানোর জন্য কোনো উপঢৌকন নেওয়া বা দেওয়ার জন্য সম্মত হওয়ার কথা বলা হয়েছে আরেকটি ধারায়।

কোনো ক্রিকেটার বা ম্যাচ সংশ্লিষ্ট কাউকে নিয়ম ভাঙতে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে প্রলুব্ধ করা বা সহায়তার কথা উল্লেখ আছে আরেকটি অনুচ্ছেদে। ফিক্সিং বা দুর্নীতির প্রস্তাব পাওয়া বা প্রক্রিয়ার ব্যাপারটি আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী বিভাগকে অবহিত করেননি তিনি। এটিই আইনের লঙ্ঘন। এছাড়াও তদন্ত শুরু হওয়ার পর দুর্নীতিবিরোধী বিভাগের কাজে বাধা দেওয়া কিংবা প্রক্রিয়া বিলম্বিত করার অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে।

বাংলাদেশ দলের হয়ে সোহেলি সবশেষ ম্যাচ খেলেছেন ২০২২ সালে। সব মিলিয়ে দুটি টি-টোয়েন্টি ও ১৩টি ওয়ানডে খেলেছেন। উইকেট নিয়েছেন সব মিলিয়ে ১১ টি, রান করেছেন ৬।