img

মোমোর পর এবার ভয়ঙ্কর মারণ গেম গ্র্যানি

প্রকাশিত :  ১১:৫৫, ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৮

মোমোর পর এবার ভয়ঙ্কর মারণ গেম গ্র্যানি

 জনমত ডেস্ক ।।  অনেক দিন ধরেই ব্লু হোয়েল আতঙ্কে ছিল মানুষ। এরপর হঠাৎ মোমো নামের গেইমের কথা শুনা যায়। এর রেশ কাটতে না কাটতেই নতুন আরেকটি ভয়ঙ্কর গেইমের কথা শুনা যাচ্ছে। 

 

গ্র্যানি নামের নতুন এই গেইমটি আতঙ্ক ছড়িয়েছে ভারতের জলপাইগুড়িতে। বুধবার রাত থেকে রীতিমতো হুলস্থূল কাণ্ড জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি এলাকায়।

 

ভারতের গণমাধ্যম আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়, ময়নাগুড়ির তিন স্কুল ছাত্র বুধবার রাতে হঠাৎ করেই অসংলগ্ন আচরণ শুরু করে। কেউ আত্মহত্যার চেষ্টা করে, আবার কেউ পরিবারের লোকজনকে মারধর করে। পরিস্থিতি এমনই হয়ে ওঠে যে, থানার পুলিশকে খবর দিতে হয়। 

 

ময়নাগুড়ির খুকশিয়ার বাসিন্দা সুকুমার রায় বুধবার রাতে হঠাৎ করে অসংলগ্ন আচরণ শুরু করে। পরিবারের ঘুমন্ত সদস্যদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে মারধর করতে থাকে। পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কে চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। 

 

পুলিশের কাছে সুকুমার দাবি করেছে, বুধবার রাতে মোবাইল দেখছিল সে। তখন ফেসবুকের অ্যাপটি হ্যাং হয়ে যায়। সেটি চালু করতে গেলে পাসওয়ার্ড চায়। আর তারপরই ফেসবুকে গ্র্যানি গেমটি আসে।

 

সুকুমারের দাবি, ওই গেমটির তিনটি ধাপ খেলেছে সে । তার পরই নাকি, অজান্তেই তার মধ্যে একটা অদ্ভুত পরিবর্তন শুরু হয়। 

 

এদিকে একাদশ শ্রেণির আরেক ছাত্র শিবু লোহার দাবি করেছে, ফেসবুকে সে গেমটি পায়। তারপর গেমটি খেলতে শুরু করে। 

 

শিবুর বোন রুমা বলেন, রাতে শিবু হঠাৎ করেই আমাকে ঘুম থেকে ডেকে তোলে। বলে সে আত্মহত্যা করবে। মোবাইল ফোনটা হাত থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেয় সে।

 

একই রকম আচরণ করে খুকশিয়ারই আর এক কিশোর রণজিৎ রায়। এ ঘটনায়  বৃহস্পতিবার ওই গ্রামে তদন্তে যান ময়না গুড়ি থানার আধিকারিকরা। 

 

পুলিশের সাইবার বিশেষজ্ঞরা তদন্তের পর প্রাথমিকভাবে জানিয়েছেন, গ্র্যানি নামের এই গেমটি মোমো বা ব্লু হোয়েলের মত লিঙ্ক নির্ভর নয়। গেমটি মূলত ভয়ের। এই গেমের বিভিন্ন ধাপে রক্ত, ভূত বিভিন্ন রকম হিংসার ঘটনা রয়েছে। 

 

ময়নাগুড়ি থানার আইসি নন্দকুমার দত্ত জানিয়েছেন, ওই ছাত্রদের পরিবার মোবাইলগুলো জমা দিয়ে গেছে। সেগুলো খতিয়ে দেখা হবে।

img

গুগলকে টেক্কা দিতে সার্চ ইঞ্জিন আনছে ওপেনএআই

প্রকাশিত :  ১২:৫১, ১২ মে ২০২৪

ফোনে কিংবা কম্পিউটারে গুগল সার্চ ইঞ্জিনই বেশি ব্যবহৃত হয়, যা গুগলের নিজস্ব উদ্ভাবন। এবার এই প্রতিষ্ঠানটিকে টেক্কা দিতে মাঠে নামছে চ্যাটজিপিটি ডেভেলপার ওপেনএআই। যারা চ্যাটজিপিটি সার্চ ইঞ্জিন চালু করছে। ধারণা করা হচ্ছে এই সার্চ ইঞ্জিন চালু হলে গুগলকে রীতিমতো বেকায়দায় ফেলবে।

ওপেনএআই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) সার্চ ইঞ্জিন ফিচার নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছে। এর মাধ্যমে গুগল সার্চের সঙ্গে সরাসরি প্রতিযোগিতায় নামবে কোম্পানিটি। বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুই ব্যক্তির বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এই তথ্য জানিয়েছে।

আগামী সোমবার ফিচারটি উন্মোচন করতে পারে কোম্পানিটি। ব্লুমবার্গ ও দ্য ইনফরমেশনের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, অ্যালফাবেটের মালিকানাধীন গুগল কোম্পানি ও নতুন এআই স্টার্টআপ পারপ্লেক্সিটির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামতে নতুন একটি সার্চ ইঞ্জিন তৈরির চেষ্টা করছে মাইক্রোসফট সমর্থিত ওপেনএআই।

আগামী মঙ্গলবার গুগলের বার্ষিক ডেভেলপার কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানিটির এআইভিত্তিক বিভিন্ন পণ্য এই অনুষ্ঠানে তুলে ধরা হবে। তাই এই অনুষ্ঠানের আগেই ওপেনএআই নতুন সার্চ ইঞ্জিন উন্মোচন করতে পারে বলে বিভিন্ন প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন।

ব্লুমবার্গের মতে, চ্যাটবট চ্যাটজিপিটিরই একটি এক্সটেনশন হবে ওপেনএআইয়ের সার্চ ইঞ্জিনটি। এর মাধ্যমে চ্যাটজিপিটি ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি তথ্য ও উদ্ধৃতি তুলে ধরতে পারবে। টেক্সটের মাধ্যমে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হলে চ্যাটজিপিটি চ্যাটবট মানুষের মতো উত্তর দিতে পারে।

চ্যাটজিপিটিকে অনেক আগে থেকেই অনলাইনে তথ্য জানার বিকল্প হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন প্রযুক্তি খাতের বিশ্লেষকেরা। তবে এটি নির্ভুল ও ওয়েবসাইট থেকে সাম্প্রতিক তথ্য তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছে।

মাইক্রোসফটের বিং সার্চ ইঞ্জিনের সঙ্গে ওপেনএআইয়ের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি যুক্ত করা হয়েছে। আর গুগল তার সার্চ ইঞ্জিনেই এআই জেনারেটিভ ফিচার যুক্ত করেছে। ওপেনএআই প্রাক্তন গবেষক পারপ্লেক্সিটি নামের নতুন একটি স্টার্টআপ শুরু করেন। কোম্পানিটির মূলধন এখন ১০০ কোটি ডলার। এআইভিত্তিক সার্চের ইন্টারফেসের কারণে স্টার্টআপটি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এই সার্চ ইঞ্জিনের ফলাফল উদ্ধৃতি, টেক্সট ও ছবি দেখায়। গত জানুয়ারিতে এক ব্লগ পোস্টে কোম্পানিটি বলে, এতে ১ কোটি সক্রিয় ব্যবহারকারী রয়েছে।

২০২২ সালের নভেম্বরে চালু হওয়ার পর ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অ্যাপ হিসেবে পরিণত হয় চ্যাটজিপিটি। সেসময় প্ল্যাটফর্মটিতে ১০ কোটি সক্রিয় ব্যবহারকারী ছিল। তবে গত বছর চ্যাটজিপিটিতে ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়তে-কমতে দেখা যায়। ওয়েবসাইট ট্রাফিক ও পারফরম্যান্স বিশ্লেষণকারী সংস্থা সিমিলারওয়েবের মতে, ২০২৩ সালের মে মাসে প্ল্যাটফর্মটিতে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ব্যবহারকারী ছিল। চ্যাটজিপিটিতে ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়াতে চাপের মুখে রয়েছে কোম্পানিটি।