img

ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশন ইউ'কের উদ্যোগে গোলাপগঞ্জে ফ্রি চক্ষু শিবির ২৮ ডিসেম্বর শনিবার

প্রকাশিত :  ২০:২০, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ২০:২৯, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশন ইউ'কের উদ্যোগে গোলাপগঞ্জে ফ্রি চক্ষু শিবির ২৮ ডিসেম্বর শনিবার

ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশন (ইউ কে) এর উদ্যোগে  আগামী ২৮ ডিসেম্বর রোজ শনিবার সকাল ৮ ঘটিকা হতে বেলা ৩ ঘটিকা পর্যন্ত  গোলাপগঞ্জ উপজেলার চন্দর পুর আল এমদাদ উচ্চ বিদ্যালয়ে ফ্রি চক্ষু শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। এখানে অভিজ্ঞ চোখের ডাক্তার ধারা পরিক্ষা নিরীক্ষা করে চিকিৎসা করা হবে এবং যাদের চোখে  ছানি পড়েছে অথবা চোখের মনিতে সমস্যা, তাদের কে সম্পূর্ণ ফ্রিতে চোখের অপারেশন ও চোখে ল্যান্স লাগানো হবে। 

মানুষের শরীরে যতগুলো অঙ্গ প্রত্যাঙ্গ আল্লাহ পাক দিয়েছেন, সবগুলো অঙ্গই আল্লাহ পাকের অশেষ নেয়ামত। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নেয়ামত হলো মানুষের চোখ। যারা দৃষ্টিহীন, তাদের কাছে স্রষ্টার অপূর্ব সৃষ্টি  পৃথিবীর সকল রূপ, রং, সৌন্দর্য, আলো বাতাস তাদের কাছে মূল্যহীন। অর্থাভাবে কিংবা অবহেলায় চিকিৎসাবিহীন যাদের দৃষ্টি ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে, সে সকল মানুষের চোখের আলো ফিরিয়ে আনতে একদল আলোকিত মানুষ সুদূর যুক্তরাজ্যে বসবাস করেও প্রতিবছর তাদের কষ্টার্জিত অর্থ ব্যয় করে শত-শত মানুষের চোখের আলো ফিরিয়ে আনছেন। 

আর্থিক সহযোগিতায় মোহাম্মদ আব্দুন নুর, মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, খলিলুর রহমান, তালাত সিদ্দিকী, আবু তাহের, দেলওয়ার হোসেন, ফারুক মিয়া, সুলতান হায়দার জসিম, সামসুল হক এহিয়া, সোহেল উদ্দিন ও মো: আব্দুল মুনিম জাহেদী ক্যারল প্রমুখ।

কমিউনিটি এর আরও খবর

img

শবে বরাত উপলক্ষ্যে বেড়েছে গরু ও মুরগির মাংসের দাম

প্রকাশিত :  ০৭:০১, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৭:০৪, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সারাদেশে পালিত হচ্ছে পবিত্র শবে বরাত। দিনটিকে কেন্দ্র করে নিত্যপণ্যের বাজারে উর্ধ্বগতি দেখা গেছে। বিশেষ করে চাহিদা বেশি থাকার সুযোগে বেড়েছে, গরু, মুরগি ও খাসি মাংসের দাম।

খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহেও প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ৭৫০ টাকা কেজি দরে। শবে বরাতের দিন ৭৮০ টাকা থেকে শুরু করে ৮০০ টাকা পর্যন্ত কেজি প্রতি গরুর মাংস বিক্রি হতে দেখা গেছে। এক্ষেত্রে এক সপ্তাহের ব্যবধানে গরুর মাংসে দাম বেড়েছে সর্বনিম্ন ৩০ থেকে সর্বোচ্চ ৫০ টাকা পর্যন্ত। 

অন্যদিকে ব্রয়লার মুরগির দাম গত তিনদিন আগেও ছিল প্রতি কেজি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা। এখন এক লাফে হয়েছে ২১০ টাকা। এক্ষেত্রে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা করে। এছাড়া প্রায় গত ছয় মাস ধরে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খাসির মাংস কেজি প্রতি বিক্রি হতো ১১০০ টাকা কেজি দরে। কিন্তু আজ হঠাৎ করে ব্যবসায়ীরা খাসির মাংসের কেজি প্রতি দাম হাঁকাচ্ছেন ১১৫০ টাকা।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর শাহজাদপুর কাঁচাবাজার, বাড্ডা কাঁচাবাজার ও মালিবাগ কাঁচাবাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

বাজারগুলোতে সরেজমিনে দেখা গেছে, বাজারে প্রতিটি মাংসের দোকানে ক্রেতাদের লম্বা ভিড়। ক্রেতারা এসে প্রথমে ব্যবসায়ীদের কাছে মাংসের দাম জিজ্ঞাসা করছেন। বাড়তি দাম শুনে অনেক ক্রেতাই বিক্রেতার কাছে ফিরতি প্রশ্ন করছেন হঠাৎ করে কেন মাংসের দাম বেড়ে গেল। ক্রেতাদের প্রশ্নের উত্তরে ব্যবসায়ীরা বলছেন, শবে বরাতের বাজারে দাম একটু বেশি থাকে।

রাজধানীর শাহজাদপুর কাঁচাবাজারে গরুর মাংস কিনতে আসা ক্রেতা মোহাম্মদ মুন্না বলেন, গত কয়েক মাস ধরেই তো গরুর মাংস ৭৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছিল। কিন্তু আজ হঠাৎ করে ৮০০ টাকা করে দাম চাচ্ছে। তারা কীসের ভিত্তিতে ৫০ টাকা দাম বাড়িয়েছে এটার কোনো সঠিক উত্তর দিচ্ছে না। শবে বরাতের সময় মানুষ একটু বাসায় মাংস নিতে পছন্দ করে তাই বাড়তি দাম হলেও কিনে নিচ্ছে। এছাড়া খাসির মাংসের দামও ছিল ১১০০ টাকা করে। সেখানেও তারা ৫০ টাকা দাম বৃদ্ধি করেছে।

মাংসের দাম বৃদ্ধি নিয়ে শাহজাদপুর কাঁচাবাজারের মাংস বিক্রেতা আলামিন মিয়া বলেন, গরু ও ছাগলের দাম বাজারে প্রচুর বৃদ্ধি পেয়েছে। সে কারণে মাংসের দাম একটু বেশি। এছাড়া শবে বরাতের সময় দাম একটু বেশি থাকে, এটা নতুন কিছু না।

অন্যদিকে যারা খাসি ও গরুর মাংস কিনতে পারছেন না, তারা ব্রয়লার মুরগি কিনতে গিয়ে বাড়তি দাম দিতে বাধ্য হচ্ছেন।

রাজধানীর উত্তর বাড্ডা কাঁচাবাজারের ব্রয়লার মুরগি কিনতে গিয়ে ক্রেতা মাইনুল ইসলাম বলেন, গরু ও খাসির মাংস তো আগে থেকেই অনেক দাম। ব্রয়লার মুরগির দামও বেশি ছিল। কিন্তু ১৯০ টাকা কেজি মুরগির দাম আজ হয়ে গেছে ২১০ টাকা। এভাবে হুট করে দাম বেড়ে গেলে তো আমাদের মত মানুষ জনের অনেক কষ্ট হয়।

মুরগির দামের বৃদ্ধি নিয়ে বিক্রেতা দুলাল মিয়া বলেন, গত তিনদিন আগেও ১৯০ টাকা করে বিক্রি করতাম। কিন্তু হঠাৎ সাপ্লাই কমে গেছে। আমার মনে হয় পাইকারি বিক্রেতারা শবে বরাতকে কেন্দ্র করে সাপ্লাই কমাই দিয়ে দাম বাড়িয়েছে। এখন বাড়তি দামে কিনে তো আমাদেরকে বাড়তি দামি বিক্রি করতে হবে।

এদিকে মাংসের বাজারে দামের আগুন থাকলেও সবজির বাজারে টানা স্বস্তি চলছে ক্রেতাদের জন্য।

সর্বশেষ খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি কেজি টমেটো ৩০ টাকা করে, আলু ২৫ টাকা, বেগুন আকার অনুযায়ী ৫০ থেকে ৭০ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, হাইব্রিড শসা ৬০ টাকা, দেশী শসা ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ফুল ও বাঁধাকপি প্রতি পিস ২০ থেকে ২৫, লাউয়ের পিস ৪০ থেকে ৬০, টমেটো ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি, শসা ৫০ থেকে ৬০ ও কাঁচা মরিচের কেজি ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

স্বস্তিতে রয়েছে পেঁয়াজের বাজার দামও। তবে দাম বাড়তি রয়েছে রসুনের। খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়, দেশি নতুন রসুন ১৫০ থেকে ১৬০ এবং আমদানি করা রসুনের কেজি ২৫০ থেকে ২৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একই সঙ্গে আদারও কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা দর বেড়ে ১৭০ থেকে ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কমিউনিটি এর আরও খবর