img

জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়ে যা বললেন মিজানুর রহমান আজহারী

প্রকাশিত :  ১০:০৯, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়ে যা বললেন মিজানুর রহমান আজহারী

জনপ্রিয় ইসলামী বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারী সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন। দেশে ফিরেই কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা সদরে তাফসীরুল কোরআন মাহফিলে অংশগ্রহণ করেছেন। মাহফিলে আলোচনাকালে তিনি বলেছেন, দেশে শান্তিপূর্ণ বসবাসের জন্য জাতীয় ঐক্যের চাইতে মোক্ষম হাতিয়ার আর কিছুই নেই। এ জন্য দেশের এমন সময়ে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে গুরুত্বারোপ করে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানান তিনি।

গতকাল শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা সদরে আয়োজিত তাফসীরুল কোরআন মাহফিলে আলোচনাকালে তিনি এ আহ্বান জানান। মাহফিলে কয়েক লাখ মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

মিজানুর রহমান আজহারী বলেন, ‘অনৈক্য হচ্ছে যত নষ্টের মূল কারণ। অনৈক্য দেশ ও জাতিকে ধ্বংস করে দেয়।

গত ৫০টি বছর দেশে নৈরাজ্য চলেছে একমাত্র অনৈক্যের কারণে। সাম্প্রতিক সময়ে নোবেল বিজয়ী ব্যক্তিত্ব প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কথায় গোটা দেশ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। দেশের মানুষ আর অশান্তিতে থাকতে চায় না। সবাই শান্তি চায়।

’তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে জীবনযাপন করতে চাই। শান্তির জন্য দরকার ঐক্য। তাই সবাইকে জাতীয় ঐক্যে আসতে হবে।’ জাতীয় ঐক্যমত গড়ে দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান তিনি।

পেকুয়া উপজেলা সদরে মরহুম মাওলানা শহীদ উল্লাহ স্মৃতি সংসদ ও সমাজ উন্নয়ন পরিষদের যৌথ উদ্যোগে এই মাহফিলটির আয়োজন করা হয়।

মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসাবে পেকুয়া উপজেলার গর্বিত সন্তান সাবেক যোগযোগ প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য সালাউদ্দিন আহমদ লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।

পেকুয়া তাফসীরুল কোরআন মাহফিলে প্রথম অধিবেশনে অধ্যক্ষ মৌলানা বদিউল আলমের সভাপতিত্বে কোরআন ও হাদিসের আলোকে আলোচনা করেন শায়খ মুফতী ইব্রাহিম, মাওলানা আবদুল্লাহ আল আমীন, মাওলানা আব্দুল হাই মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ ও কামরুল ইসলাম সাঈদ আনসারী। দ্বিতীয় অধিবেশনে অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী সভাপতিত্বে আলোচনা করেন হাফেজ মুফতি আমীর হামজা, মাওলানা সাদিকুল রহমান আজহারী, শায়খ সালাহ উদ্দিন মাক্কী।

পেকুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা বলেন, ‘জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা আজহারী বিকেলে হেলিকপ্টারে করে পেকুয়ায় পৌঁছেন। মাহফিলের সার্বিক নিরাপত্তায় যৌথবাহিনী কাজ করেছে।’

img

আগামীকাল পবিত্র শবে বরাত

প্রকাশিত :  ১৫:২৩, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৫:৩৭, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আগামীকাল শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে সারাদেশে যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় পবিত্র শবে-বরাত পালিত হবে। হিজরি সালের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতটি মুসলমানরা শবে-বরাত বা সৌভাগ্যের রজনী হিসেবে পালন করে থাকেন। এ রাতটি ‘লাইলাতুল বরাত’ হিসেবেও পরিচিত।

পবিত্র শবে-বরাত উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বাণী দিয়েছেন। এ উপলক্ষে আগামী শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সরকারি ছুুটি থাকবে।

বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা পবিত্র শবে-বরাত উপলক্ষ্যে বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলিম জনগোষ্ঠীকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানান।  

তিনি বলেন, এই সৌভাগ্যময় রজনী মানব জাতির জন্য বয়ে আনে মহান আল্লাহ রাব্বুল আ’লামিনের অশেষ রহমত ও বরকত। এ রাতে আল্লাহপাক ক্ষমা প্রদান ও প্রার্থনা পূরণের অনুপম মহিমা প্রদর্শন করেন।

পবিত্র এই রাতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষিত হয় উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘এই মহিমাময় রাতে ইবাদত-বন্দেগীর মাধ্যমে আমরা মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারি। অর্জন করতে পারি তাঁর অসীম রহমত, বরকত, নাজাত ও মাগফিরাত।’

পবিত্র শবেবরাতের মাহাত্ম্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে মানব কল্যাণ ও দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করতে তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘আসুন, সকল প্রকার অন্যায়, অনাচার, হানাহানি ও কুসংস্কার পরিহার করে আমরা শান্তির ধর্ম ইসলামের চেতনাকে ব্যক্তি, সমাজ ও জাতীয় জীবনের সকল স্তরে প্রতিষ্ঠা করি।’

এ রাতে বাসাবাড়ি ছাড়াও মসজিদে মসজিদে নফল নামাজ, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। 

আজ বৃস্পতিবার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।

পবিত্র শবে-বরাত, ১৪৪৬ হিজরি উপলক্ষে আগামীকাল শুক্রবার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের (ইফা) উদ্যোগে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে ওয়াজ, দোয়া মাহফিল, পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত ও হামদ নাতসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। 

ইফা আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিটে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদ পবিত্র কুরআন ও হাদিসের আলোকে লাইলাতুল বারাআতের শিক্ষা ও করণীয় বিষয়ে ওয়াজ করবেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। 

রাত ৭টা ১০ মিনিটে লাইলাতুল বারাআতের ফজিলত ও তাৎপর্য বিষয়ে ওয়াজ করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আ. ছালাম খান। 

রাত ৮টা ৫০ মিনিটে লাইলাতুল বারাআতের ফজিলত ও তাৎপর্য তুলে ধরে ওয়াজ করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্নর ও  তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) ড. খলিলুর রহমান মাদানি। 

রাত সাড়ে ৯টায় পবিত্র কুরআন ও হাদিসের আলোকে লাইলাতুল বারাআতের শিক্ষা ও করণীয় সম্পর্কে ওয়াজ করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্নর ও চরমোনাই আহসানাবাদ রশিদিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ সৈয়দ মোহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানি।

রাত সোয়া ২টায় (দিবাগত রাত) নফল ইবাদতের গুরুত্ব ও ফজিলত নিয়ে ওয়াজ করবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মিজানুর রহমান এবং ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে আখেরি মোনাজাত। মোনাজাত পরিচালনা করবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহিবুল্লাহিল বাকী। 

বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারসহ বেসরকারি টিভি চ্যানেল ও রেডিও এ উপলক্ষে ধর্মীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে।

এ রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ মহান আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় নফল নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত, জিকির, ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিলসহ এবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে কাটাবেন।

মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মুসলমানরা বিশেষ মোনাজাত করবেন।