img

সুনামগঞ্জ জেলা ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন ইউকে’র আয়োজনে মহান বিজয় দিবস উদযাপন

প্রকাশিত :  ১৫:৪৫, ০৩ জানুয়ারী ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৭:২৩, ০৩ জানুয়ারী ২০২৫

সুনামগঞ্জ জেলা ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন ইউকে’র আয়োজনে মহান বিজয় দিবস উদযাপন

খালেদ মাসুদ রনি: সুনামগঞ্জ জেলা ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন ইউ,কের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে।

গত ১৭ই ডিসেম্বর ইষ্ট লন্ডনের একটি হলে অত্যন্ত আনন্দ মুখর পরিবেশে দিবসটি উদযাপন করা হয়। 

সংগঠনের সভাপতি বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজসেবী মোহাম্মদ আবুল লেইছ এর সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মোঃ ছানাওর আলী কয়েছের প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় মৌলনা তরিকুল ইসলামের পবিত্র কোরআন তেলাওতের মধ্য দিয়ে বিজয় দিবসের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা শুরু হয়।

 অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহন করেন বিবিসিসিআই’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবী প্রফেসার শাহগীর বখত ফারুক। অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চীফ এডভাইজার আহবাব মিয়া, কাউন্সিলর ভিপি ইকবাল হোসেন, কাউন্সিলর ফয়জুর রহমান,কামরুজজামান চৌধুরী, সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আমীন, ব্যারিষটার রফিক আহমদ, আলাউদ্দিন আহমদ মুক্তা, সিলেট ছাতক সমিতির সাবেক সভাপতি ফজর আলী, মজির উদ্দীন, এডভোকেট আমীর উদ্দীন, এম এ আজিজ, আবদুল মালিক কুঠি, প্রফেসার ওমর ফারুক, নজরুল ইসলাম, ইকবাল হোসেন, রেদোয়ান খান, আব্দুর রব, আবুল মনসুর রুমেল, মিজানুর রহমান হিরু, জুলহাস চৌধুরী, মৌলনা আবদুল ওয়াদুদ মুফতি, মাছুম তালুকদার, ফারুক আহমদ, জিলু আহমদ,আবদুল বাছিত শেলু. নজির উদ্দীন, দিলবর আলী, আবুল কাসেম আলীম,আমীর হোসেন, তফজ্জুল আলী, আবুল হোসেন, মকবুল আহমদ, ছৈল মিয়া, আব্দুস সোবহান, মিলন আহমদ প্রমূখ ।


বিজয় দিবসের তাৎপর্য আলোচনা করতে গিয়ে দেশে প্রাতিষ্ঠানিক গণতন্ত্র কায়েম করতে সকল প্রকার দুর্নীতি ও সন্ত্রাস রোধে একটি স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতঃ বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে সম্পূর্ণ পৃথক ও রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত রেখে রাজনৈতিক অপসংস্কৃতি দূরীকরনে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহন করে নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করে দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেবার জন্য বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি জোর দাবী জানানো হয়।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিজয় অর্জনে বীর শহীদদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে তাঁদের আত্মার মাঘফেরাত কামনা করতঃ স্বাধীনতা যুদ্ধে পরোক্ষ ভাবে অংশগ্রহনকারী যুক্ত রাজ্যের সকল মুক্তি যুদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রয়াত সকল প্রবাসীদের আত্মার মাঘফেরাত কামনা করা হয়।

সভার পক্ষ থেকে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দর কে পূর্ণাঙ্গ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর হিসেবে কার্যক্রম শুরু করা,ভাড়া বৈষম্য দূরীকরন সহ নো ভিসা ফি বাতিল করার জন্য বর্তমান সরকারের প্রতি জোর দাবী জানানো হয়।

সংগঠনের সহ-সভাপতি আব্দুর রব সাহেবের ছোট ভাইয়ের অকাল প্রয়ানে এবং যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুর রউফ নয়নের পিতা সুনামগঞ্জ  জুবিলী হাইস্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক ও সাবেক জেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুর রউফ সাহেবের সদ্য প্রয়ানে শোক প্রস্তাব গৃহীত হয় এবং তাঁদের আত্মার মাঘফেরাত সহ বীর শহীদদের জন্য দোয়া পরিচালনা করেন মুফতি আবদুল ওয়াদুদ।

আসন্ন রমজান মাসে সংগঠনের পক্ষ থেকে ইফতার ও দোয়া মাহফিলের জন্য আগামী ১৭ই মার্চ সোমবার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষনা করা হয়। ভ্যেনূ পরবর্তীতে জানানো হবে।

পরিশেষে আগত সবাইকে সংগঠনের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ এবং সংগঠনেকে উত্তরোত্তর উন্নয়নে সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে সভাপতি মোহাম্মদ আবুল লেইছ সভার সমাপ্তি ঘোষনা করেন।

কমিউনিটি এর আরও খবর

img

ব্রিটেনের ওয়েলসের কার্ডিফে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন,

প্রকাশিত :  ০৬:০৯, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৬:২৩, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

"বাঙালি জাতির কৃষ্টি সংস্কৃতি ও ইতিহাস ঐতিহ্য ও গৌরবময় অধ্যায় নব প্রজন্মের সামনে তুলে ধরা এবং কমিউনিটির বন্ডিংকে আরও স্ট্রং করার লক্ষ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উৎসবমুখর পরিবেশে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বৃটেনের ওয়েলসের রাজধানী কার্ডিফে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো বাঙালির প্রাণের উৎসব বর্ণাঢ্য “বাংলার মেলা”। 

পহেলা বৈশাখ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব বাঙালির উৎসব। এটি জাতীয় ঐক্য, সংস্কৃতি ও বাঙালি পরিচয়ের প্রতীক বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন উপলক্ষে গত ২১শে এপ্রিল দিনব্যাপী আয়োজনে বিভিন্ন শহর থেকে আগত  প্রবাসীরা উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করে তোলেন। মেলায় স্টলগুলোর মধ্যে ছিলো দেশি খাবার, কাপড়, আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন দেশের খাবার ও পণ্যের সমাহার। নানান সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের স্টলগুলো ছিল বেশ আকর্ষণীয়। প্রতিটি স্টল সাজানো হয় দেশীয় সাজে। উৎসব ঘিরে নানান ধরনের পিঠাপুলি, দেশীয় আসবাবপত্র দিয়ে সাজানো ছিল দেশীয় স্টলগুলো। 

ইউকে বিডি টিভির চেয়ারম্যান ও ওয়েলস বাংলা নিউজ এর সম্পাদক কমিউনিটি লিডার মোহাম্মদ মকিস মনসুর এর সভাপতিত্বে এবং ওয়েলস বাংলাদেশ ইয়ুথ সোসাইটির অন্যতম কো-অর্ডিনেটর, বাংলার মেলার মূল আয়োজক বিশিষ্ট সাংবাদিক রাকিব খান ও যুব সংগঠক ইমরান উদ্দীন এর যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত পোগ্রাম এর শুরুতেই ফিতা কেটে বাংলার মেলার শুভ উদ্বোধন ঘোষণা  করেন লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট, এটিএন বাংলা ইউকের হেড অব নিউজ, সাংবাদিক ও লেখক সাঈম চৌধুরী।

বিশেষ অতিথি হিসেবে কার্ডিফ কাউন্টি কাউন্সিলের  সাবেক লর্ড মেয়র কাউন্সিলার ড.বাবলিন মল্লিক, প্রাক্তন ডেপুটি লর্ড মেয়র কাউন্সিলার আলী আহমেদ, কার্ডিফ বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন এর সভাপতি আব্দুল হান্নান শহীদুল্লাহ্, বিকিটি লিমিটেড এর  ডিরেক্টর নাজমুল হোসেইন, ডিরেক্টর সামিউল ইসলাম, ওয়েলস বাংলাদেশ উইমেন্স এসোসিয়েশন এর সভাপতি তাহমিনা খান, কমিউনিটি সংগঠক গোলাম মর্তুজা, সাংস্কৃতিক সংগঠক জেসমিন জাহেদ, ওয়েলস বাংলাদেশ ইয়ুথ সোসাইটির অন্যতম কো-অর্ডিনেটর সেলিম আহমদ, ইউসুফ খান জিমি, আবুল কালাম মুমিন, মুজিবুর রহমান মুজিব, সৈয়দ ইকবাল আহমেদ, বদরুল হক মনসুর, ইব্রাহীম শোভন, ফয়সল আহমেদ, সাব্বির হোসেন, মাহবুব রহমান, সাজেল আহমেদ, রিপন মিয়া, কামাল আহমদ,ও জাভেদ আহমেদ বক্তব্য রাখেন। 

বাংলার মেলার মূল আয়োজক সাংবাদিক রাকিব খান  বাংলার মেলায় আগত দর্শক ও আমন্ত্রিত অতিথিরা দারুণভাবে উপভোগ করেন পুরো আয়োজনটি বলে উল্লেখ করে তিনি বর্ষবরণের আয়োজনকে সকলের সহযোগিতায় সাফল্যমন্ডিত করার জন্য উপস্থিত সবাই  ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। 

গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের কেন্দ্রীয় ফাউন্ডার্স  কনভেনর কমিউনিটি লিডার মোহাম্মদ মকিস মনসুর সহ সকল অতিথি বক্তারা এই সুন্দর আয়োজনের জন্য আয়োজক প্রতিষ্ঠান বিকিটি লিমিটেড ও হোডেক লিমিটেড, এবং ওয়েলস বাংলাদেশ ইয়ুথ সোসাইটিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে জাতীয় ঐক্য, সংস্কৃতি ও বাঙালি পরিচয়ের প্রতীক “বাংলা মেলা” আর ও বড় পরিসরে প্রতিবছর  আয়োজনের জন্য অনুরোধ জানান।

উল্লেখ্য যে, পহেলা বৈশাখ, বাংলা সনের প্রথম দিন। এ দিনটি বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, আসাম, ত্রিপুরাসহ দেশ-বিদেশে বসবাসরত প্রত্যেকটি বাঙালি নববর্ষ হিসেবে পালন করে। সে হিসেবে এটি বাঙালিদের একটি সর্বজনীন প্রাণের উৎসব। বাঙালি এই প্রাণের উৎসবের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত আছে আবহমান বাংলার কৃষি। গ্রামীণ মেলাগুলো পরিণত হয় উৎসবে। এই উৎসবের রং একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গড়তে বাঙালি জাতিকে এগিয়ে নিয়েছে বারবার। দেশ স্বাধীনের পর বাঙালির অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রতীকে পরিণত হয় বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। পুরাতনকে পেছনে ফেলে নতুনকে স্বাগত জানানোর উৎসবকেই নববর্ষ হিসেবে পালন করা হয় সারা বিশ্বে। নতুনের প্রতি সব সময়ই মানুষের থাকে বিশেষ আগ্রহ ও উদ্দীপনা। নতুনের মধ্যে সব সময়ই নিহিত থাকে অমিত সম্ভাবনা। সেই সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপায়ন করার সুযোগ করে দিতে আসে নতুন বছর। একটি জাতির সংস্কৃতি সেই জাতির নিজস্ব ইতিহাস, ঐতিহ্য, বিশ্বাস, আচার-অনুষ্ঠান, ধ্যান-ধারণা ইত্যাদি সামগ্রিক পরিচয় স্পষ্টভাবে ধারণ করে রাখে এবং তা বিশ্ব দরবারে সেই জাতির আত্মপরিচয়কে উঁচুতে তুলে ধরার কাজটিই করে থাকে। মূলত, সংস্কৃতি হচ্ছে একটি জাতির দর্পণ আর সংস্কৃতির বহুবিধ উপাদানের মধ্যে নববর্ষও অন্যতম একটি। 


কমিউনিটি এর আরও খবর