img

চিত্রনায়িকা অঞ্জনা মারা গেছেন

প্রকাশিত :  ০৫:৫৯, ০৪ জানুয়ারী ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৬:৪২, ০৪ জানুয়ারী ২০২৫

চিত্রনায়িকা অঞ্জনা মারা গেছেন

মারা গেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমান। শুক্রবার দিনগত রাত ১টা ১০ মিনিটে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মৃত্যুকালে অঞ্জনার বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর।

তিনি ২ মেয়ে ও ১ ছেলে রেখে গেছেন।

টানা ১০ দিন অচেতন অবস্থায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি ছিলেন অঞ্জনা রহমান। কিন্তু আশানুরূপ কোনো উন্নতি না হওয়ায় বুধবার (১ জানুয়ারি) রাতে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়।

জানা গেছে, হাসপাতালে ভর্তির আগে টানা ১৫ দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন অঞ্জনা।

ওষুধ খেয়েও কাজ হচ্ছিল না। শেষে জানা যায় তার রক্তে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বেশ সুপরিচিত মুখ ছিলেন চিত্রনায়িকা অঞ্জনা।

নৃত্যশিল্পী থেকে নায়িকা হয়ে সর্বাধিক যৌথ প্রযোজনা এবং বিদেশি সিনেমায় অভিনয় করা একমাত্র দেশীয় চিত্রনায়িকাও তিনি।

বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের একসময়ের জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী অঞ্জনা নৃত্যশিল্পী থেকে নায়িকা হয়ে সর্বাধিক যৌথ প্রযোজনা এবং বিদেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। ‘দস্যু বনহুর’ দিয়ে তাঁর শুরু। ১৯৭৬ সালের এই সিনেমার পর টানা কাজ করেছেন অঞ্জনা। এ পর্যন্ত তিন শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন।

‘পরিণীতা’ ও ‘গাঙচিল’-এ অভিনয়ের জন্য দুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন।

বিনোদন এর আরও খবর

img

ক্যারিয়ারের চিন্তায় মা হতে পারেননি ইন্দ্রাণী

প্রকাশিত :  ০৮:১৯, ১২ মে ২০২৫

ইন্দ্রাণী হালদার টলিউডের খ্যাতিমান অভিনেত্রী । ছোট-বড় দুই পর্দাতেই যার উজ্জ্বল উপস্থিতি। বলা বাহুল্য, টালিগঞ্জের অন্যতম সফল অভিনেত্রী তিনি। তবে তার জীবনে রয়েছে এক বড় আফসোস। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানালেন সে কথাই। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী ইন্দ্রাণী হালদার জানান, ক্যারিয়ারের চিন্তায় মা হতে পারেননি তিনি। স্বামীকেও দিতে পারেনি একজন বাবা হওয়ার অভিজ্ঞতা। শুধু তাই নয়, সেই সাক্ষাৎকারে একজন স্ত্রী হিসেবে নিজেকে তুচ্ছ কিংবা ব্যর্থ হিসেবে তুলে ধরেন অভিনেত্রী।

ইন্দ্রাণীর কথায়, ‘স্ত্রী হিসেবে নিজেকে শূন্য মার্ক দিতে চাই। আমি বাজে বউ একদম। বরকে রান্না করে ভাত বেড়ে দেই না। বর কলকাতার বাইরে থাকে, এখানে এলে আমি বলতে থাকি, এই আমি ভাত রেখে গেলাম, খেয়ে নিও। আমার দেরি হচ্ছে, আমি গেলাম গেলাম… আসলে আমি যৌথ পরিবারের মেয়ে, ওই ইচ্ছেটা তো আছে। কিন্তু শ্যুটিংয়ের চাপে করে উঠতে পারি না।’

এরপর ইন্দ্রাণী মনে জমে থাকা কষ্ট তুলে ধরেন। বলেন, ‘আরেকটা জিনিস যেটা আমি করতে পারিনি। যেটা বলতে আমার কোনো আপত্তি নেই। এখনও ভাবলে আফসোস হয়। ক্যারিয়ার, কাজ, দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সন্তানের জন্ম দেওয়া হয়নি আমার। সেটা আমাদের দুজনের মধ্যেই (অভিনেত্রীর স্বামী) একটা আফসোস।’

অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘ভাস্কর (ইন্দ্রাণীর স্বামী) মাঝেমাঝেই বলে, শুধু সংসারের জন্য দায়িত্বই পালন করে গেলে… একটা সময় আমরা চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু হলো না। তারপর আমরা হাল ছেড়ে দিলাম। তোমারও ৪০-এর বেশি বয়স, আমারও। আর দরকার নেই থাক। আমি একটা দত্তক নিতে চেয়েছিলাম, ভাস্কর রাজি হয়নি। আমার মনে হয়, স্ত্রী হিসেবে আমি ভাস্করকে বাবা হওয়ার সুখটা দিতে পারতাম, কিন্তু সেই ব্যাপার আমি অক্ষম।’

যদিও অভিনেত্রী স্পষ্ট করেছিলেন যে, সন্তান না থাকলেও তার ও তার স্বামী ভাস্কর রায়ের মধ্যে কোনো ভুল বোঝাবুঝি নেই।