img

ইউরোপ যাওয়া হচ্ছে না সাবিনা-ঋতুর

প্রকাশিত :  ১১:২২, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫

ইউরোপ যাওয়া হচ্ছে না সাবিনা-ঋতুর

২০২২ সালে সাফ জেতার পর সাবিনা খাতুন, ঋতুপর্ণা চাকমাদের জন্য ইউরোপে খেলার দরজা উন্মুক্ত ছিল। স্বপ্নটা বাস্তবে ধরা দিতে এসেও হারিয়ে গেল। প্রথমবার দক্ষিণ এশিয়ার নারী ফুটবলে সেরা হওয়া মেয়েদের খেলা হয়নি সে সময়।

গত বছরের অক্টোবরে হিমালয়ের কোলে আরেকটি রূপকথা লেখার পর ইউরোপিয়ান ক্লাবে খেলার পথটি সুগম হয়ে যায় সাবিনা ও ঋতুপর্ণার। নর্থ মেসিডোনিয়ার ক্লাব টিভেরিজা ব্রেরার কর্তারা সাবিনা ও ঋতুকে খেলানোর জন্য প্রক্রিয়াও শুরু করেন। এমনকি সে দেশের ভিসা পাওয়ার জন্য সব কাগজপত্র পাঠিয়ে দেন তারা। কথা ছিল, এ বছরের ১৫ জানুয়ারির মধ্যে বাংলাদেশের দুই নারী ফুটবলারের সঙ্গে চুক্তি করা। কিন্তু নতুন বছরের প্রথম মাসের এক সপ্তাহ পার হলেও ইতিবাচক জবাব আসেনি টিভেরিজা ক্লাবের কর্তাদের কাছ থেকে। 

উত্তর আসার আর কোনো সম্ভাবনা নেই বলে গতকাল সমকালকে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ নারী দলের গোলরক্ষক কোচ মাসুদ আহমেদ উজ্জল, ‘ইউরোপে আর হবে না। ১৫ তারিখ থেকে ফুটবলারদের চেয়েছিল, আজকে (মঙ্গলবার) জানুয়ারির ৭ তারিখ। তাদের রাজনৈতিক সমস্যা হয়েছে নাকি।’

শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের সাবেক কোচ মেসিডোনিয়ান ইয়োগোস্লাভ ত্রেনচোভস্কির সঙ্গে গোলরক্ষক কোচ উজ্জলের সুসম্পর্ক রয়েছে। দু’জনের আলাপের মাধ্যমেই মেসিডোনিয়ার ক্লাব টিভেরিজার জার্সিতে সাবিনা-ঋতুর খেলার কথা চলে। কিন্তু সেখানে নারী লিগের মৌসুম শেষ হয়ে যাওয়ার সঙ্গে বাজেট ঘাটতির বিষয়টি সামনে আনেন টিভেরিজার কর্তারা। 

বিষয়টি নিয়ে হতাশ নারী সাফের সেরা ফুটবলার ঋতুপর্ণা চাকমা, ‘মেসিডোনিয়ার ক্লাবটির নাকি সমস্যা হয়েছে। রাজনৈতিক পালাবদল, আবার তাদের নাকি বাজেট নেই। এসব কারণে আমাদের আর সেখানে খেলা হবে না।’ 

ইউরোপিয়ান ক্লাব টিভেরিজায় খেলার দরজা বন্ধ হলেও এশিয়ার একটি দেশে খেলার প্রস্তাব পেয়েছেন সাবিনা, ঋতুপর্ণা ও তহুরা খাতুন। যদিও ঋতুপর্ণা দেশের নাম বলতে চাচ্ছেন না, ‘ইউরোপের ক্লাব নাম বলেও সেখানে হয়নি। আমি চাই আগে সব কিছু চূড়ান্ত হোক, তার পর আপনাকে জানাব।’

নারী সাফের সেরা ফুটবলার বিষয়টি গোপন রাখলেও বিশ্বস্ত একটি সূত্রে জানা গেছে, ভারতের নারী লিগের একটি ক্লাব থেকে প্রস্তাব এসেছে এ তিনজনের। সেই প্রস্তাবটি আরও আগে দিয়েছেন ভারতের নারী দলের অন্যতম সেরা ফুটবলার বালা দেবি। গত মৌসুমে কলকাতার ক্লাব শ্রীভুমির হয়ে খেলেছিলেন ৩৪ বছর বয়সী এ ফরোয়ার্ড।

অবশ্য বালা দেবি প্রস্তাবটি দিয়েছিলেন যখন সাবিনা-ঋতুদের ইউরোপে খেলা নিয়ে আলোচনা চলছিল। সূত্র জানিয়েছে, সেই সময় বালা দেবি বলেছিলেন যদি ইউরোপে খেলা না হয়, তাহলে তাদের নারী লিগে যেন সাবিনা, ঋতুপর্ণা ও তহুরাকে দেয়। ইউরোপের দরজা বন্ধ হওয়ার পর এখন ভারতের ওমেন্স লিগে খেলার হাতছানি বাংলাদেশের এ ত্রয়ীর। সেটা বালা দেবির ক্লাব শ্রীভুমি নাকি অন্যটা; তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।


খেলাধূলা এর আরও খবর

খুলনাকে হারিয়ে প্রথম জয়ের স্বাদ নিল সিলেট

img

ফিক্সিং কাণ্ডে নারী ক্রিকেটার সোহেলী ৫ বছর নিষিদ্ধ

প্রকাশিত :  ১৪:৫৪, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৫:০৩, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটার সোহেলি আক্তারকে পাঁচ বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। ২০২৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচে দুর্নীতির সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আনা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে।

আইসিসি আজ মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, দুর্নীতিবিরোধী আইনের পাঁচটি ধারা লঙ্ঘন করেছেন সোহেলি। বাংলাদেশের হয়ে দুটি ওয়ানডে ও ১৩টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন তিনি।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোহেলির বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো ২০২৩ উইমেন’স টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সংক্রান্ত। তিনি সেই বিশ্বকাপের স্কোয়াডে ছিলেন না। তবে দেশে থেকেই দলের এক ক্রিকেটারকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেন তিনি। এছাড়াও আরও কয়েকটি অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।

ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পাওয়া ক্রিকেটারের অভিযোগের ভিত্তিতেই সোহেলির বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগ। শুরুতে অস্বীকার করলেও পরে নিজের দায় স্বীকার করে নেন ৩৬ বছর বয়সী স্পিনার। এই বিষয়ে পরবর্তীতে আর শুনানির প্রয়োজন নেই বলে উল্লেখ করা হয়েছে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।

১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ থেকে কার্যকর হয়েছে তার শাস্তি।

যে ধারাগুলো ভঙ্গের দায়ে সোহেলির শাস্তি হয়েছে, এর মধ্যে প্রথমটি হলো, কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচের ফলাফল, অগ্রগতি বা অন্য কোনো দিক অনুচিতভাবে প্রভাবিত করার জন্য বা এ ধরনের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে কোনো চুক্তি বা প্রচেষ্টায় জড়িয়ে যাওয়া বা অন্য কোনো উপায়ে ইচ্ছাকৃতভাবে খারাপ পারফরম্যান্স করার মাধ্যমে ফিক্সিং বা ম্যাচ প্রভাবিত করার চেষ্টা।

এই প্রচেষ্টায় সফল হওয়ার জন্য নিজে বাজি ধরা, অন্য কাউকে দিয়ে ঘটানোর জন্য কোনো উপঢৌকন নেওয়া বা দেওয়ার জন্য সম্মত হওয়ার কথা বলা হয়েছে আরেকটি ধারায়।

কোনো ক্রিকেটার বা ম্যাচ সংশ্লিষ্ট কাউকে নিয়ম ভাঙতে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে প্রলুব্ধ করা বা সহায়তার কথা উল্লেখ আছে আরেকটি অনুচ্ছেদে। ফিক্সিং বা দুর্নীতির প্রস্তাব পাওয়া বা প্রক্রিয়ার ব্যাপারটি আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী বিভাগকে অবহিত করেননি তিনি। এটিই আইনের লঙ্ঘন। এছাড়াও তদন্ত শুরু হওয়ার পর দুর্নীতিবিরোধী বিভাগের কাজে বাধা দেওয়া কিংবা প্রক্রিয়া বিলম্বিত করার অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে।

বাংলাদেশ দলের হয়ে সোহেলি সবশেষ ম্যাচ খেলেছেন ২০২২ সালে। সব মিলিয়ে দুটি টি-টোয়েন্টি ও ১৩টি ওয়ানডে খেলেছেন। উইকেট নিয়েছেন সব মিলিয়ে ১১ টি, রান করেছেন ৬।