img

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে আবারও অবসর ঘোষণা তামিম ইকবালের

প্রকাশিত :  ০৫:৩৪, ১১ জানুয়ারী ২০২৫

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে আবারও অবসর ঘোষণা তামিম ইকবালের

বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল আবারও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন।  শুক্রবার রাতে দেওয়া এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এই কথা জানিয়েছেন। এর আগে ২০২৩ সালের ছয় জুলাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলেছিলেন তামিম। নাটকীয়ভাবে একদিন পরই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুরোধে তিনি ফের ক্রিকেটে ফেরার ঘোষণা দেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরলেও এরপর আর খেলা হয়নি তামিমের। সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপের দল থেকে তিনি সরিয়ে নেন নিজেকে। এরপর থেকে তার জাতীয় দলে ফেরার সময় নিয়ে অনিশ্চয়তার পেন্ডুলাম দুলছিল। আসন্ন আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকে ঘিরে তামিমের জাতীয় দলে ফেরার তোড়জোড় শুরু হয় আবারও। সেই পরিস্থিতিতেই দ্বিতীয় দফায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটি জানিয়ে দিলেন দেশসেরা এই ওপেনার।

অবসরের ঘোষণা দিয়ে নিজের ফেসবুক পেজে তামিম লিখেছেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে আছি অনেকদিন ধরেই। সেই দূরত্ব আর ঘুচবে না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমার অধ্যায় শেষ। অনেকদিন ধরেই এটা নিয়ে ভাবছিলাম। এখন যেহেতু সামনে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতো বড় একটি আসর, আমি চাই না আমাকে ঘিরে আবার অলোচনা হোক এবং দলের মনোযোগ ব্যাহত হোক।’

তামিমের পোস্টের বাকি অংশ হুবহু তুলে ধরা হলো– ‘এটা অবশ্য আগেও চাইনি। চাইনি বলেই অনেক আগে নিজেকে বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে সরিয়ে নিয়েছি। যদিও অনেকেই বলেছেন, অনেক সময় মিডিয়ায় এসেছে, আমিই নাকি ব্যাপারটি ঝুলিয়ে রেখেছি। কিন্তু বিসিবির কোনো ধরনের চুক্তিতে যে নেই, এক বছরের বেশি সময় আগে যে নিজ থেকে সরে দাঁড়িয়েছে, তাকে পরিকল্পনায় রাখা বা তাকে নিয়ে আলোচনারও তো কিছু নেই। তারপরও অযথা আলোচনা হয়েছে। অবসর নেওয়া বা খেলা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত একজন ক্রিকেটার বা যেকোনো পেশাদার ক্রীড়াবিদের নিজের অধিকার। আমি নিজেকে সময় দিয়েছি। এখন মনে হয়েছে, সময়টা এসে গেছে।’

‘অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আন্তরিকভাবেই আমাকে ফেরার জন্য বলেছে। নির্বাচক কমিটির সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। আমাকে এখনও উপযুক্ত মনে করার জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। তবে আমি নিজের মনের কথা শুনেছি।’

‘২০২৩ বিশ্বকাপের আগে যা হয়েছে, আমার জন্য তা বড় ধাক্কা ছিল, যেহেতু ক্রিকেটীয় কারণে আমি দলের বাইরে যাইনি। তারপরও আমি যেখানেই গিয়েছি, ক্রিকেট ভক্তদের অনেকে বলেছেন, আমাকে আবার জাতীয় দলে দেখতে চান। তাদের ভালোবাসার কথা ভেবেছি আমি। আমার ঘরেও একজন অনুরাগী আছে। আমার ছেলে কখনও আমাকে সরাসরি বলেনি, কিন্তু তার মাকে বারবার বলেছে, বাবাকে আবার দেশের জার্সিতে খেলতে দেখতে চায়। ভক্তদের হতাশ করার জন্য আমি দুঃখিত। ছেলেকে বলছি, ‘‘তুমি যেদিন বড় হবে, সেদিন বাবাকে বুঝতে পারবে।’’

খেলাধূলা এর আরও খবর

খুলনাকে হারিয়ে প্রথম জয়ের স্বাদ নিল সিলেট

img

ফিক্সিং কাণ্ডে নারী ক্রিকেটার সোহেলী ৫ বছর নিষিদ্ধ

প্রকাশিত :  ১৪:৫৪, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৫:০৩, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটার সোহেলি আক্তারকে পাঁচ বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। ২০২৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচে দুর্নীতির সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আনা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে।

আইসিসি আজ মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, দুর্নীতিবিরোধী আইনের পাঁচটি ধারা লঙ্ঘন করেছেন সোহেলি। বাংলাদেশের হয়ে দুটি ওয়ানডে ও ১৩টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন তিনি।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোহেলির বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো ২০২৩ উইমেন’স টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সংক্রান্ত। তিনি সেই বিশ্বকাপের স্কোয়াডে ছিলেন না। তবে দেশে থেকেই দলের এক ক্রিকেটারকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেন তিনি। এছাড়াও আরও কয়েকটি অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।

ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পাওয়া ক্রিকেটারের অভিযোগের ভিত্তিতেই সোহেলির বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগ। শুরুতে অস্বীকার করলেও পরে নিজের দায় স্বীকার করে নেন ৩৬ বছর বয়সী স্পিনার। এই বিষয়ে পরবর্তীতে আর শুনানির প্রয়োজন নেই বলে উল্লেখ করা হয়েছে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।

১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ থেকে কার্যকর হয়েছে তার শাস্তি।

যে ধারাগুলো ভঙ্গের দায়ে সোহেলির শাস্তি হয়েছে, এর মধ্যে প্রথমটি হলো, কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচের ফলাফল, অগ্রগতি বা অন্য কোনো দিক অনুচিতভাবে প্রভাবিত করার জন্য বা এ ধরনের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে কোনো চুক্তি বা প্রচেষ্টায় জড়িয়ে যাওয়া বা অন্য কোনো উপায়ে ইচ্ছাকৃতভাবে খারাপ পারফরম্যান্স করার মাধ্যমে ফিক্সিং বা ম্যাচ প্রভাবিত করার চেষ্টা।

এই প্রচেষ্টায় সফল হওয়ার জন্য নিজে বাজি ধরা, অন্য কাউকে দিয়ে ঘটানোর জন্য কোনো উপঢৌকন নেওয়া বা দেওয়ার জন্য সম্মত হওয়ার কথা বলা হয়েছে আরেকটি ধারায়।

কোনো ক্রিকেটার বা ম্যাচ সংশ্লিষ্ট কাউকে নিয়ম ভাঙতে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে প্রলুব্ধ করা বা সহায়তার কথা উল্লেখ আছে আরেকটি অনুচ্ছেদে। ফিক্সিং বা দুর্নীতির প্রস্তাব পাওয়া বা প্রক্রিয়ার ব্যাপারটি আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী বিভাগকে অবহিত করেননি তিনি। এটিই আইনের লঙ্ঘন। এছাড়াও তদন্ত শুরু হওয়ার পর দুর্নীতিবিরোধী বিভাগের কাজে বাধা দেওয়া কিংবা প্রক্রিয়া বিলম্বিত করার অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে।

বাংলাদেশ দলের হয়ে সোহেলি সবশেষ ম্যাচ খেলেছেন ২০২২ সালে। সব মিলিয়ে দুটি টি-টোয়েন্টি ও ১৩টি ওয়ানডে খেলেছেন। উইকেট নিয়েছেন সব মিলিয়ে ১১ টি, রান করেছেন ৬।