img

মক্কায় এসেছি, তবুও মানুষ বাজে মন্তব্য করছে: নিলয়

প্রকাশিত :  ০৬:২৩, ১১ জানুয়ারী ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৬:২৮, ১১ জানুয়ারী ২০২৫

মক্কায় এসেছি, তবুও মানুষ বাজে মন্তব্য করছে: নিলয়

নিলয় আলমগীর ছোটপর্দার অভিনেতা। পবিত্র ওমরাহ পালন করতে পরিবার নিয়ে সৌদি আরবে গেছেন তিনি। সামাজিক মাধ্যমে ছবি পোস্ট করে ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছেন সেখানকার অভিজ্ঞতা। তবে অভিনেতার সেই পোস্টে রীতিমতো আসে বিরূপ মন্তব্য। এতে খানিকটা বিরক্ত এই অভিনেতা।

শনিবার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিলয় লিখলেন, ‘এর আগেও আমি অনেক দেশে গিয়েছি। ছবি পোস্ট করেছি। এমনকি পাতায়া বা মায়ামি বিচ থেকেও ছবি পোস্ট করেছি। কিন্তু এত বাজে কমেন্টস আসেনি। মক্কাতে এসে ছবি দিলেই যত বাজে কমেন্টস আসা শুরু করে। কারণটা কি, কিছুই বুঝতে পারলাম না।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘পবিত্র নগরীতে এসেছি। ছবি দেখে ভালো লাগলে ভালো কমেন্টস করবেন, ভালো না লাগলে এড়িয়ে যাবেন। আল্লাহ আমাকে এই পবিত্র জায়গায় দ্বিতীয়বারের মত আসার তৌফিক দিয়েছেন, আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ যদি তৌফিক দেন আবার আসবো, বারবার আসবো। আপনিও আল্লাহর কাছে দোয়া  করবেন যাতে আপনিও আসতে পারেন এখানে। আল্লাহ কোনটা কবুল করবেন আর কোনটা করবেন না সেটা আল্লাহই ভালো জানেন।’

সবশেষে অশালীন মন্তব্যকারীদের উদ্দেশ্যে তিনি লিখেছেন, ‘বাজে কমেন্টগুলো আপনার জীবনের হতাশার বহিঃপ্রকাশ মাত্র। হিংসা থেকে দূরে থাকবেন জীবন সুন্দর হবে।’

প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী সুপার হিরো সুপার হিরোইন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মাধ্যমে শোবিজে পথ চলা শুরু হয় নিলয়ের। মাসুদ কায়নাত পরিচালিত ‘বেইলি রোড’ চলচ্চিত্র দিয়ে তিনি চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন। তার সর্বশেষ সিনেমা ‘অল্প অল্প প্রেমের গল্প’ মুক্তি পায় ২০১৪ সালে। এরপর সিনেমায় অভিনয় না করলেও নিয়মিত কাজ করছেন টিভি নাটকে।


বিনোদন এর আরও খবর

img

ক্যারিয়ারের চিন্তায় মা হতে পারেননি ইন্দ্রাণী

প্রকাশিত :  ০৮:১৯, ১২ মে ২০২৫

ইন্দ্রাণী হালদার টলিউডের খ্যাতিমান অভিনেত্রী । ছোট-বড় দুই পর্দাতেই যার উজ্জ্বল উপস্থিতি। বলা বাহুল্য, টালিগঞ্জের অন্যতম সফল অভিনেত্রী তিনি। তবে তার জীবনে রয়েছে এক বড় আফসোস। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানালেন সে কথাই। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী ইন্দ্রাণী হালদার জানান, ক্যারিয়ারের চিন্তায় মা হতে পারেননি তিনি। স্বামীকেও দিতে পারেনি একজন বাবা হওয়ার অভিজ্ঞতা। শুধু তাই নয়, সেই সাক্ষাৎকারে একজন স্ত্রী হিসেবে নিজেকে তুচ্ছ কিংবা ব্যর্থ হিসেবে তুলে ধরেন অভিনেত্রী।

ইন্দ্রাণীর কথায়, ‘স্ত্রী হিসেবে নিজেকে শূন্য মার্ক দিতে চাই। আমি বাজে বউ একদম। বরকে রান্না করে ভাত বেড়ে দেই না। বর কলকাতার বাইরে থাকে, এখানে এলে আমি বলতে থাকি, এই আমি ভাত রেখে গেলাম, খেয়ে নিও। আমার দেরি হচ্ছে, আমি গেলাম গেলাম… আসলে আমি যৌথ পরিবারের মেয়ে, ওই ইচ্ছেটা তো আছে। কিন্তু শ্যুটিংয়ের চাপে করে উঠতে পারি না।’

এরপর ইন্দ্রাণী মনে জমে থাকা কষ্ট তুলে ধরেন। বলেন, ‘আরেকটা জিনিস যেটা আমি করতে পারিনি। যেটা বলতে আমার কোনো আপত্তি নেই। এখনও ভাবলে আফসোস হয়। ক্যারিয়ার, কাজ, দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সন্তানের জন্ম দেওয়া হয়নি আমার। সেটা আমাদের দুজনের মধ্যেই (অভিনেত্রীর স্বামী) একটা আফসোস।’

অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘ভাস্কর (ইন্দ্রাণীর স্বামী) মাঝেমাঝেই বলে, শুধু সংসারের জন্য দায়িত্বই পালন করে গেলে… একটা সময় আমরা চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু হলো না। তারপর আমরা হাল ছেড়ে দিলাম। তোমারও ৪০-এর বেশি বয়স, আমারও। আর দরকার নেই থাক। আমি একটা দত্তক নিতে চেয়েছিলাম, ভাস্কর রাজি হয়নি। আমার মনে হয়, স্ত্রী হিসেবে আমি ভাস্করকে বাবা হওয়ার সুখটা দিতে পারতাম, কিন্তু সেই ব্যাপার আমি অক্ষম।’

যদিও অভিনেত্রী স্পষ্ট করেছিলেন যে, সন্তান না থাকলেও তার ও তার স্বামী ভাস্কর রায়ের মধ্যে কোনো ভুল বোঝাবুঝি নেই।