img

নতুন রাডার: রাহুমুক্ত দেশের আকাশ, বেড়েছে রাজস্ব

প্রকাশিত :  ০৯:০৭, ১২ জানুয়ারী ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৯:২৩, ১২ জানুয়ারী ২০২৫

নতুন রাডার: রাহুমুক্ত দেশের আকাশ, বেড়েছে রাজস্ব

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সম্প্রতি নতুন রাডার স্থাপিত হয়েছে। এতে দেশের আকাশ আপাতত রাহুমুক্ত হয়েছে ভারতের কাছ থেকে। রাজস্ব খাতেও যোগ হচ্ছে মোটা অংকের টাকা।

এতদিন দুর্বল রাডার ব্যবস্থাপনার কারণে বাংলাদেশের আকাশসীমা ব্যবহার করা আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলোর তথ্য চলে যেতে ভারতের কছে। এতে বছরের পর বছর ধরে নেভিগেশন চার্জের নামে দেশটি হাতিয়ে নিয়েছে অন্তত এক লাখ কোটি টাকা।

যার কারণে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও ছিল হুমকির মুখে। কয়েক যুগ পর অবশেষে নতুন রাডার যুক্ত হওয়ায় বদলে গেছে অনেক হিসাব নিকাশ।

কয়েক যুগ ধরে নিজের আকাশ পথ নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারিতে সক্ষমতা ছিল না বাংলাদেশের। দেশের সার্বভৌমত্ব ছিল ঝুঁকির মুখে, কারণ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একমাত্র রাডারটি স্থাপন করা হয় ৪০ বছর আগে। মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় যা দীর্ঘদিন ধরে ছিল অকার্যকর।

এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ ওয়াহিদুল আলম বলেন, আমরা আমাদের আকাশ সীমাকে সেইভাবে ব্যবহার করতে পারেনি। আমাদের সেই সার্বিলেন্স আওতাধীন আসে নাই। যার জন্য আমাদেরকে সার্ভিসগুলো নিতে হয়েছিল পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে। বিশেষ করে ভারতের কাছ থেকে।

নিয়ম অনুযায়ী কোন দেশের বাণিজ্যিক বিমান অন্য দেশের আকাশ সীমায় ব্যবহার করলে প্রায় ৫০০ ডলার দিতে হয় সেই দেশকে। অথচ বাংলাদেশের আকাশ সীমায় ব্যবহার করা এ ধরনের উড়োজাহাজের সিগন্যাল রেজিস্টার করা হতো ভারতের রাডার থেকে, আর সেই রাজস্বের পুরোটাই হাতিয়ে নিত দিল্লি। 

আর এসব কারণে তিন যুগ ধরে বাংলাদেশের স্মার্ট ও শক্তিশালী রাডার ব্যবহারের বাধা ছিল ভারত। 

উল্লেখ্য, বিশ্বের সব বিমানবন্দরের স্থাপিত রাডারসমূহ সংশ্লিষ্ট দেশসমূহের আকাশসীমা প্রতিরক্ষার কাজ করে থাকে। অন্য দেশের বিমান প্রবেশ, শত্রু দেশের আক্রমণ প্রতিরোধ করতে কার্যকর তথ্য দেয় এই ব্যবস্থা।

img

ফ্রিডম হাউসের প্রতিবেদন: দেশে বেড়েছে ইন্টারনেট ব্যবহারের স্বাধীনতা

প্রকাশিত :  ১২:০৬, ১৪ নভেম্বর ২০২৫

মার্কিন সংস্থা ফ্রিডম হাউস জানিয়েছে, বিশ্বে অনলাইনের স্বাধীনতা কমে গেলেও বাংলাদেশে এর উন্নতি হয়েছে । আজ প্রকাশিত ‘ফ্রিডম অন দ্য নেট ২০২৫’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ বছর মূল্যায়নে থাকা ৭২টি দেশের মধ্যে ইন্টারনেট স্বাধীনতায় সবচেয়ে বেশি অগ্রগতি হয়েছে বাংলাদেশে।

এ গবেষণায় ২০২৪ সালের জুন থেকে ২০২৫ সালের মে পর্যন্ত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়েছে।

ফ্রিডম হাউস বলছে, ২০২৪ সালের আগস্টে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে হওয়া অভ্যুত্থানে একটি কর্তৃত্ববাদী সরকার ক্ষমতা হারায়। এরপর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ডিজিটাল ক্ষেত্রে কিছু ইতিবাচক সংস্কার আনে। এর ফলেই বাংলাদেশের ইন্টারনেট স্বাধীনতা সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে ১০০-এর মধ্যে ৪৫ হয়েছে। গত বছর এই স্কোর ছিল ৪০। এটি গত সাত বছরের সেরা অবস্থান।

তবে এত উন্নতির পরও বাংলাদেশ এখনো ‘আংশিক মুক্ত’ দেশ হিসেবে তালিকায় রয়ে গেছে—যে অবস্থানে ২০১৩ সাল থেকে রয়েছে।

ফ্রিডম হাউস তিনটি বড় বিষয় দেখে স্কোর নির্ধারণ করে—

(১) ইন্টারনেটে প্রবেশের বাধা,

(২) অনলাইনে প্রকাশিত বিষয়বস্তুর ওপর নিয়ন্ত্রণ,

(৩) ব্যবহারকারীর অধিকার লঙ্ঘন।

এই তিনটি বিভাগে মোট ২১টি সূচক ব্যবহার করে প্রতিটি দেশের অনলাইন স্বাধীনতার মাত্রা নির্ধারণ করা হয়।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা কিছু বড় পরিবর্তন হলো—২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মুহাম্মদ এমদাদ-উল-বারীকে বিটিআরসির চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয়। তিনি ইন্টারনেট বন্ধ না করার নীতি গ্রহণ করেন এবং ইন্টারনেট প্রবেশাধিকারকে মানবাধিকার হিসেবে দেখার কথা বলেন।

২০২৫ সালের মে মাসে সরকার বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন (সিএসএ) বাতিল করে। এর বদলে সাইবার নিরাপত্তা অধ্যাদেশ (সিএসও) জারি হয়।

এতে কিছু ভালো দিক যেমন অনলাইন হয়রানি ও যৌন নির্যাতনবিরোধী সুরক্ষা রয়েছে, তবে আগের মতোই কিছু উদ্বেগজনক বিষয়—যেমন অনলাইনে বক্তব্যের জন্য শাস্তি ও নজরদারি রয়ে গেছে।

এদিকে দক্ষিণ এশিয়ায় পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে। তবে ভারত ও শ্রীলঙ্কার চেয়ে পেছনে রয়েছে। পাকিস্তান ২৭ পয়েন্ট পেয়ে ‘মুক্ত নয়’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। শ্রীলঙ্কা ৫৩ ও ভারত ৫১ পয়েন্ট পেয়ে দুটোই ‘আংশিক মুক্ত’ শ্রেণিতে রয়েছে।


বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এর আরও খবর