img

পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়ার উপায়

প্রকাশিত :  ১০:৪১, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৪:৪৬, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫

পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়ার উপায়
পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়ার উপায়:

পরিকল্পনা তৈরি করুন: পড়ালেখা শুরু করার আগে একটি সময়সূচী তৈরি করুন। সময়ের প্রতি সচেতনতা থাকলে মনোযোগ বজায় রাখা সহজ হয়।

অব্যাহত বিরতি এড়ান: দীর্ঘ সময় একটানা পড়লে মনোযোগ হারানোর সম্ভাবনা থাকে। ছোট ছোট বিরতি নেয়া যেতে পারে।

নিরিবিলি পরিবেশে পড়ুন: পড়ালেখার জন্য শান্ত, নিরিবিলি পরিবেশ নির্বাচন করুন। যেখানে কম আওয়াজ এবং বিঘ্ন ঘটবে না।

প্রেরণা বজায় রাখুন: পড়ালেখা নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব বজায় রাখুন। লক্ষ্য স্থির রেখে পড়ালেখা করুন।

নিজেকে চ্যালেঞ্জ করুন: নিজেকে প্রতিদিনের লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য চ্যালেঞ্জ দিন।


পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়ার দোয়া:
“রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতান ওয়া ফিল আখিরাতি হাসানাতান ওয়া কিনা আজাবান নার।”
(সুরা বাকারা ২:২০১)

অর্থ: আমাদের প্রভু! আমাদের দুনিয়া ও আখিরাতে কল্যাণ দাও এবং জাহান্নামের আযাব থেকে আমাদের রক্ষা করো।
এই দোয়াটি পড়ালেখায় মনোযোগী হতে এবং জীবনকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে সাহায্য করবে।

পড়ালেখা নিয়ে ইসলামিক উক্তি:
“ইন্নামাল ইল্মু নূরুন, ওয়ালা ইয়ানি আল্লাহু ফি কুলুবিল মুমিনীন।”
অর্থ: নিশ্চয়ই বিজ্ঞান আলোর মতো, আর আল্লাহ তা মুমিনদের হৃদয়ে প্রবাহিত করেন।


img

খালি পেটে হাঁটবেন না কি ভরা পেটে, ওজন কমাতে কোনটি কার্যকর?

প্রকাশিত :  ০৬:৪৭, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

নিয়মিত হাঁটা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এটা সবচেয়ে কার্যকরী এবং সহজ শরীরচর্চার মধ্যে অন্যতম। দিনে নির্দিষ্ট সময় মেনে হাঁটলে শরীরের অনেক ধরনের সমস্যা কমে। বিশেষ করে নিয়মিত হাঁটার মাধ্যমে ওজন ঝরানো, উৎকণ্ঠা কমানো, হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো বা হজম প্রক্রিয়া উন্নত করা সম্ভব। কেউ কেউ খাওয়াদাওয়ার পর হাঁটেন, কেউ বা খালি পেটে। ভরা পেটে না কি খালি পেটে হাঁটা বেশি উপকারী তা নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন আছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দুভাবে হাঁটলেই ক্যালরি পোড়ে। এর ফলে ওজনও কমে। তার পরও তুলনামুলকভাবে কোনটা উপকারী তা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। 

ভারতীয় পুষ্টিবিদ ফারেহা শনমের ভাষায়, যারা কেবল ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন, তাদের খালি পেটে হাঁটা উচিত। এটিকে ‘ফাস্টিং কার্ডিয়ো’বলা হয়।

খালি পেটে হাঁটা

খালি পেটে হাঁটলে খাবার থেকে প্রয়োজনীয় শক্তি বা গ্লুকোজ় পায় না শরীর। তাই বাধ্য হয়ে শরীর জমে থাকা অতিরিক্ত ফ্যাট পোড়াতে শুরু করে হাঁটার শক্তি পাওয়ার জন্য। এর ফলে শরীর থেকে ফ্যাট কমতে শুরু করে এবং ওজন হ্রাস পায়। খালি পেটে প্রতিদিন হাঁটার অভ্যাস থাকলে হজমের সমস্যাও দূর হবে। তা ছাড়া সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে হাঁটতে গেলে শরীর বেশি পরিমাণে ভিটামিন ডি পায়। সেই সময় রোদের তেজও কম থাকে, যা থেকে ভিটামিন ডি-ও ভাল পরিমাণে পাওয়া যায়।

ভরা পেটে হাঁটা

খাওয়ার পরে হাঁটারও অনেক উপকারিতা আছে। খাবার খাওয়ার পর হাঁটলে শরীর সেই খাবার থেকেই পাওয়া গ্লুকোজ়কে শক্তির জন্য ব্যবহার করে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। যাদের ডায়াবেটিস আছে খাওয়ার পর হাঁটা তাদের জন্য বিশেষ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ । যদিও খালি পেটে হাঁটার তুলনায় ভরা পেটে হাঁটায় কম ক্যালোরি পোড়ে, তারপরও  খাওয়ার পর ১০-১৫ মিনিট হাঁটলে হজমশক্তি উন্নত হয়। পেট ফাঁপার মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।