
সূরা ফাতিহা না পড়লে কি নামাজ হবে?

সূরা ফাতিহা না পড়লে কি নামাজ হবে?
কেউ যদি ফরজ নামাজের প্রথম দুই রাকাতে অথবা সুন্নত ও নফল নামাজের কোনও রাকাতে সূরা ফাতিহা পড়তে ভুলে যায়, তাহলে তাকে সিজদায়ে সাহু দিতে হবে। তবে যদি কেউ ফরজ নামাজের শেষ দুই রাকাতে সূরায়ে ফাতেহা ছেড়ে দেয় বা সুরা ফাতেহার জায়গায় অন্য সূরা পড়ে নেয় তাহলে তার নামাজ হয়ে যাবে।
সূরা ফাতিহার ব্যাখ্যা:
সূরা ফাতিহা ইসলামের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সূরা। এটি সাতটি আয়াত সম্বলিত এবং আল্লাহর প্রশংসা, তাঁর পথে পরিচালিত হওয়ার জন্য প্রার্থনা এবং তাঁর সাহায্য প্রাপ্তির জন্য আবেদনের একটি সমন্বিত দোয়া। সূরা ফাতিহা মুমিনদের জন্য পথনির্দেশক এবং হৃদয়ে শান্তি প্রদানকারী। এর মধ্যে রয়েছে আল্লাহর সর্বশক্তিমত্তা, তাঁর দয়ালুতা, এবং আমাদের দৈনন্দিন জীবনে তাঁর সাহায্যের প্রয়োজনীয়তা।
বিশেষভাবে, এই সূরা পঠনের মাধ্যমে আমরা আল্লাহর কাছে আমাদের প্রার্থনা ও আবেদন জানাতে পারি, যাতে তিনি আমাদের সোজা পথ দেখান এবং আমাদেরকে সুপথে পরিচালিত করেন। এটি নামাজের প্রতিটি রাক'আতে পাঠ করতে হয়, যা মুসলিমদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সূরা ফাতিহার ফজিলত:
সূরা ফাতিহার অসংখ্য ফজিলত রয়েছে। এটি পঠনে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন হয় এবং মন ও হৃদয়ে শান্তি আসে। কিছু বিশেষ ফজিলত:
প্রতিদিনের নামাজে প্রয়োজনীয়তা: সূরা ফাতিহা প্রতিদিনের নামাজে অন্তর্ভুক্ত, তাই এটি মুসলিম জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
গুনাহ মাফ করা: সূরা ফাতিহা অত্যন্ত বরকতময়, এবং এর দ্বারা মানুষের গুনাহ মাফ হতে পারে।
মনোযোগী হতে সহায়ক: এটি পঠনে মনোযোগ বৃদ্ধি পায় এবং ব্যক্তি আল্লাহর কাছে আরও কাছাকাছি পৌঁছায়।
চিকিৎসা: কিছু হাদিসে বলা হয়েছে যে, সূরা ফাতিহা একটি শক্তিশালী চিকিৎসা হিসেবে কাজ করতে পারে, বিশেষত শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতার জন্য।
সূরা ফাতিহা অর্থ:
সূরা ফাতিহা, যা "আল-কিতাবের শুরু" হিসেবে পরিচিত, সমস্ত সূরাগুলোর মধ্যে একটি অন্যতম সূরা, যা সূচনা ও প্রারম্ভের প্রতীক। এটি আল্লাহর প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা এবং বিশ্বাসের প্রতীক। এই সূরায় আল্লাহর মহিমা ও তাঁর পথের দিকে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।