img

সাইফ আলী খানের বাড়িতেই লুকিয়ে ছিলেন হামলাকারী

প্রকাশিত :  ০৫:৪৭, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

সাইফ আলী খানের বাড়িতেই লুকিয়ে ছিলেন হামলাকারী

দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে বলিউড তারকা সাইফ আলী খান এখন ভারতের মুম্বায়ের একটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এই অভিনেতার ওপর হামলার ঘটনায় তদন্ত করতে বিশেষ একটি টিম গঠন করেছে পুলিশ। হামলাকারীদের শনাক্ত করতে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে তারা। আর এখানেই মিলেছে নতুন তথ্য। হামলার দুই ঘণ্টা আগের সিসিটিভি ফুটেজে অভিনেতার বাড়িতে কারো প্রবেশের দৃশ্য ধরা পড়েনি, অর্থাৎ সাইফের ওপর হামলাকারীরা অনেক আগেই বাড়িতে লুকিয়ে হামলার জন্য অপেক্ষা করছিলেন।

সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, এ হামলার তদন্তে সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করছে পুলিশ। তবে সিসিটিভি ফুটেজে মধ্যরাতের পর কাউকে প্রবেশ করতে দেখা যায়নি অভিনেতার বাড়িতে। পুলিশের সন্দেহ, হামলাকারী বা হামলকারীরা আগেই সাইফের বাড়িতে প্রবেশ করেছিলেন এবং ভেতরে লুকিয়ে ছিলেন।

অভিনেতা সাইফ আলী খানকে ছুরিকাঘাত, হাসপাতালে ভর্তিঅভিনেতা সাইফ আলী খানকে ছুরিকাঘাত, হাসপাতালে ভর্তি

সিসিটিভি ফুটেজ দেখা গেছে, এক ব্যক্তিকে রাত ২টা ৩৩ মিনিটে সাইফ আলী খানের বাড়ির সিঁড়ি দিয়ে নামতে দেখা গেছে। ওই ব্যক্তি আবার তাকাচ্ছে সিসিটিভির দিকেও। সেই ব্যক্তির পরনে সাদা কলার দেওয়া টি-শার্ট। গলার কাছে ঝুলছে গামছা বা তোয়ালেজাতীয় কিছু। পরনে আছে জিনস। কাঁধে রয়েছে ব্যাগও।

সিসিটিভি ফুটেজ দেখেই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ধরতে মাঠে নেমেছে মুম্বাই পুলিশের ১০টি টিম। শিগগিরই ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে আশা করছে পুলিশ। এ হামলার নেপথ্যে শুধুই ডাকাতি, নাকি অন্য কোনো কারণ রয়েছে, সেটা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

বুধবার মধ্যরাতে বান্দ্রার বাড়িতে ঘুমাচ্ছিলেন সাইফ আলী খানসহ পরিবারের সবাই। এ সময় এক বা একাধিক দুর্বৃত্ত ঢুকে পড়ে। সে সময় দুর্বৃত্তরা একাধিকবার সাইফকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় অভিনেতাকে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলছে।



img

কারাগারে ৮০ শতাংশ মহিলাই নির্দোষ: কারাবাসের অভিজ্ঞতা প্রকাশ্যে আনলেন রিয়া

প্রকাশিত :  ০৬:০২, ২৬ মার্চ ২০২৫

অভিনেত্রী রিয়ার বিরুদ্ধে ছিল একাধিক অভিযোগ। মাদকযোগের অভিযোগে গ্রেফতারও হয়েছিলেন অভিনেত্রী তথা সুশান্তের প্রাক্তন প্রেমিকা। ২৭ দিন কারাবাসেও ছিলেন তিনি।

ছাড়পত্র পেয়েছেন রিয়া চক্রবর্তী। সিবিআই তার অন্তিম রিপোর্টে জানিয়ে দিয়েছে, আত্মহত্যাই করেছিলেন সুশান্ত সিংহ রাজপুত। অভিনেতার মৃত্যু নিয়ে জলঘোলা হয়েছিল বিস্তর। রিয়ার বিরুদ্ধে ছিল একাধিক অভিযোগ। মাদকযোগের অভিযোগে গ্রেফতারও হয়েছিলেন অভিনেত্রী তথা সুশান্তের প্রাক্তন প্রেমিকা। ২৭ দিন কারাবাসে ছিলেন তিনি।

কারাবাসের অভিজ্ঞতাও জানিয়েছেন রিয়া। কারাবাসের অন্দরের সঙ্গে বাইরের জগতের কোনও মিল নেই বলে জানান অভিনেত্রী। তাঁর কথায়, “কারাগারের মধ্যে কোনও সমাজ নেই। তাই বাকি দুনিয়ার থেকে পরিবেশ সম্পূর্ণ আলাদা। তবে কারাগারের অন্দরে সমতা রয়েছে। ওখানে আলাদা করে কোনও পরিচিতি নেই কারও। সবাই এক একটা সংখ্যা সেখানে।”

তদন্ত চলাকালীন যে মহিলারা কারাবাসে থাকেন, তাঁদের বেশির ভাগই নির্দোষ বলে দাবি রিয়ার। অভিনেত্রীর কথায়, “আমার অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি, অভিযুক্ত মহিলাদের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ নির্দোষ ছিলেন। বাকি ২০ শতাংশ স্বীকার করতেন যে তাঁরা অপরাধ করেছেন। হয় নিজেকে বাঁচানোর জন্য অপরাধ করেছেন বা অন্য কোনও কারণে।”

রিয়া আরও বলেন, “বিচার পেতে অনেকটা সময় লাগে। তাই এই নির্দোষ মহিলাদেরও প্রয়োজনের তুলনায় বেশি সময় কারাবাসে কাটাতে হয়। কেউ কেউ দোষী প্রমাণিত হওয়ার আগেই সাত-আট বছর কারাবাসে কাটিয়ে দেন।”

কারাগারের ভিতরে কী কী অসুবিধা হয় সেগুলিও জানিয়েছেন রিয়া। অভিনেত্রীর কথায়, “কারাগারের মধ্যে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা যায় না। বাইরের জগতের সঙ্গেও কোনও যোগাযোগ নেই। কেউ হয়তো পরিবারের সদস্যদের হারিয়ে ফেলেছেন দীর্ঘ দিন কারাবাসে থাকতে থাকতে। প্রতি দিন কারাবাসে টিকে থাকাই কঠিন। এক একটা দিন এক একটা বছরের মতো মনে হয় কারাগারের মধ্যে। আমিও কঠিন সময় কাটিয়েছিলাম। অবশ্যই কারাগারের মধ্যে অবসাদ রয়েছে। সেই অন্ধকার জগতের সাক্ষী আমিও।”