img

মাজারে হামলার বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি

প্রকাশিত :  ১৯:৪৬, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫

মাজারে হামলার বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি

মাজারে যেকোনো ধরনের হামলা প্রতিহতের ব্যাপারে ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ গ্রহণ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে সব পুলিশ ইউনিটকে কঠোরভাবে মামলা তদন্ত এবং হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

শনিবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় গত ৪ আগস্ট ২০২৪ থেকে দেশের মাজার (সুফি কবরস্থান) ও দরগাহে হামলার যে ঘটনা ঘটেছে তা পুলিশ প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।

সরকার দেশের মাজার ও দরগাহ’র নিরাপত্তা ও সুরক্ষার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে।

গত ৫ মাসে ৪ আগস্ট ২০২৪ থেকে সারা দেশের ৪০টি মাজারে ৪৪টি হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। ঘটনাগুলোতে মাজারের সম্পত্তি লুট করা, স্থাপনায় আগুন দেয়া, ভাঙচুর ও ভক্তদের ওপর হামলা করা হয়েছে।

পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সবচেয়ে বেশি হামলার ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। এই বিভাগে ১৭টি মাজারে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এরপর চট্টগ্রাম বিভাগে ১০টি ও ময়মনসিংহ বিভাগে সাতটি হামলা হয়েছে। এর মধ্যে ময়মনসিংহ বিভাগের শেরপুর জেলায় একটি মাজারেই চার বার হামলা হয়েছে।

সংঘটিত ৪৪টি হামলার ঘটনার সব ক’টিতেই আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এমনকি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে পুলিশ স্বপ্রণোদিত হয়ে বিভিন্ন থানায় ১৫টি নিয়মিত মামলা এবং ২৯টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে।

এসব ফৌজদারি মামলায় ২৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। এ ছাড়া দুটি নিয়মিত মামলায় এরইমধ্যে আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে। আরও ১৩টি নিয়মিত মামলা এবং ২৯টি সাধারণ ডায়েরির তদন্ত চলমান রয়েছে।

বার্তায় বলা হয়, সারা দেশের মাজার ও দরগাহের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি সব সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিকে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করার জন্য অনুরোধ করেছে।

স্থানীয়ভাবে বিবদমান পক্ষগুলোর সঙ্গে শান্তি বৈঠকের আয়োজন করে সমস্যা সমাধানের পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সাধারণ জনগণ ও ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে সচেতনতামূলক কর্মসূচির ওপর জোর দিয়েছে কমিউনিটি পুলিশ।

img

পবিত্র লাইলাতুল কদর আজ

প্রকাশিত :  ০৬:১২, ২৭ মার্চ ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৬:২৫, ২৭ মার্চ ২০২৫

আজ ২৭ মার্চ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবেকদর পালিত হবে। এই রাত মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত মহিমান্বিত একটি রাত। প্রতিবছর পবিত্র রমজান মাসের ২৬ তারিখ দিবাগত রাতে শবেকদর পালন করা হয়। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে এই রাত কাটান।

ইসলাম ধর্ম অনুসারে, এই রাতে মহানবী মুহাম্মদ (সা.)-এর অনুসারীদের সম্মান বৃদ্ধি করা হয় এবং মানবজাতির ভাগ্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়। তাই মুসলমানদের কাছে এই রাত অতীব পুণ্যময় ও মহিমান্বিত। ২০ রমজানের পর যেকোনো বিজোড় রাত শবেকদর হতে পারে। তবে ২৬ রমজানের দিবাগত রাতেই লাইলাতুল কদর আসে বলে আলেমদের অভিমত।

 ইবাদতের মাধ্যমে এই রাত জাগরণ করলে জীবনের পাপরাশি ক্ষমা করে দেওয়া হয়। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে সওয়াবের নিয়তে কদরের রাতে ইবাদত করবে, তার অতীতের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। (বুখারি, হাদিস : ২০১৪)

শবেকদরের এই রাতে পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে। এই রাতকে কেন্দ্র করে কোরআনে ‘আল-কদর’ নামে একটি সুরাও নাজিল হয়েছে।

‘শবেকদর’ ফারসি শব্দ। শব মানে রাত বা রজনী, আর কদর মানে সম্মান, মর্যাদা, গুণাগুণ, সম্ভাবনা, ভাগ্য ইত্যাদি। শবেকদর অর্থ হলো মর্যাদার রাত বা ভাগ্যরজনী। শবেকদরের আরবি হলো লাইলাতুল কদর তথা সম্মানিত রাত।

পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, অন্য সময়ে এক হাজার মাস ইবাদত করলে যে সওয়াব পাওয়া যায়, কদরের রাতের ইবাদতে তার চেয়ে বেশি সওয়াব পাওয়া যায়।

তাই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসলমানদের মতো বাংলাদেশের মুসলমানরাও নিজেদের গুনাহ মাফ এবং বেশি সওয়াব হাসিলের আশায় নফল ইবাদত, কোরআন তিলাওয়াত ও জিকির-আজকারের মধ্য দিয়ে রাতটি অতিবাহিত করবেন।

শবেকদর উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ওয়াজ মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। আজ বাদ মাগরিব শবেকদরের ফজিলত ও তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা এবং দোয়া মাহফিল হবে। শবেকদর উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক বাণী দিয়েছেন। পবিত্র শবেকদর উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল এবং বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি রেডিও বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে।