img

‘সাইফ আলী খানের ওপর হামলাকারী বাংলাদেশি নন’

প্রকাশিত :  ০৫:৫৮, ২১ জানুয়ারী ২০২৫

‘সাইফ আলী খানের ওপর হামলাকারী বাংলাদেশি নন’

বলিউড তারকা সাইফ আলী খানের ওপর সম্প্রতি হামলার ঘটনায় এক ব্যক্তিকে আটক করে মুম্বাই পুলিশ। আটককৃত মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদকে বাংলাদেশি নাগরিক ও তিনি অবৈধভাবে ভারতে অবস্থান করছিলেন বলে সংবাদমাধ্যমকে জানায় মুম্বাই পুলিশ। 

তবে পুলিশের দাবিকে নাকচ করে দিয়ে হামলাকারী ব্যক্তির আইনজীবী সন্দীপ শিখান সাংবাদিকদের বলেন, তাদের কাছে কোনো প্রমাণ নেই যে তিনি বাংলাদেশি।

তিনি আরও বলেন, পুলিশের দাবি যে অভিযুক্ত ছয় মাস আগে মুম্বাইতে এসেছেন, কিন্তু সেটা ভুল কথা। তিনি এখানে ৭ বছরের বেশি সময় ধরে পরিবারের সঙ্গে মুম্বাইতে আছেন।

আরেক আইনজীবী দীনেশ প্রজাপতি বলেছেন, পুলিশ যে কারণ দেখিয়ে শেহজাদকে হেফাজতে নিতে চেয়েছিল, তা যথেষ্ট নয়। অভিযুক্তের সমর্থনে আমরা বলেছিলাম, তার কাছ থেকে কিছুই উদ্ধার করা হয়নি। পুলিশ এমন কোনো নথি দেখাতে পারেনি, যা প্রমাণ করে সে বাংলাদেশি নাগরিক।

এর আগে মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার বলেছেন, অভিযুক্ত তার অপরাধ স্বীকার করেছেন। অভিযুক্ত জানতেন না যে তিনি সাইফ আলী খানের বাড়িতে প্রবেশ করছেন।

ভারতের সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তির ১৪ দিনের রিমান্ডের জন্য আদালতের কাছে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন। ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত অভিযুক্ত ব্যক্তি পুলিশ হেফাজতে থাকবেন।

উল্লেখ্য, গত ১৫ জানুয়ারি দিবাগত মধ্যরাতে নিজ বাড়িতে বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খানের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারী তাকে ছুরি দিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করেন। পরে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে সাইফ আলি খানকে। অস্ত্রোপচারের পর তিনি এখন শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছে চিকিৎসকরা।

বাবা-মাকে নির্যাতন

img

শাওনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

প্রকাশিত :  ০৬:০৫, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

অভিনেত্রী ও নির্মাতা মেহের আফরোজ শাওনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর ১ম অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ আদেশ দেন। বাবা ও মাকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। 

শাওনের দ্বিতীয় মা নিশি ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সাবেক প্রধান মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদসহ ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।

আদালতে হাজির হয়ে বাড্ডা থানার দুই পুলিশ সদস্য অভিযোগ স্বীকার করেন। তারা বলেন, বাড্ডা থানার তৎকালীন ওসির নির্দেশে তারা বাদী নিশি ইসলামকে আটক ও নির্যাতনে অংশ নেন। শাওন, ডিবি হারুনসহ বাকি আসামিরা হাজির না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

আদালতের আদেশে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে নিশি ইসলাম বলেন, আমরা চাই আসামিদের শাস্তি হোক। শাওন এই মামলায় অনেক প্রভাব বিস্তার করেছে। আমাদেরকে মারধর করেছে সে।

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের শুরুর দিকে শাওনের বাবা ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী একটি ম্যারেজ মিডিয়ায় বিয়ের জন্য পাত্রী চাই বিজ্ঞাপন দেন। সে বিজ্ঞাপন থেকে নিশির সঙ্গে পরিচয় ও বিয়ে। এ ঘটনা জানার পর বাবার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালান শাওন। এ সময় শাওন ও তার অন্যান্য ভাই বোনেরা ক্ষম