ব্যাপক জালিয়াতি

img

শিল্পী সমিতি থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার নিপুণ

প্রকাশিত :  ০৬:০৪, ২১ জানুয়ারী ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৮:৩৩, ২১ জানুয়ারী ২০২৫

শিল্পী সমিতি থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার নিপুণ

ব্যাপক জালিয়াতির অভিযোগে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার হলেন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। অনৈতিকভাবে সমিতির প্যাড ব্যবহার করে মনগড়া বিবৃতি প্রদান করার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।

তার বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিল্পী সমিতির সহসভাপতি ও মুখপাত্র ডি এ তায়েব। তিনি জানান, রোববার (১৯ জানুয়ারি) কার্যনির্বাহী পরিষদের মিটিংয়ে সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, গত বছরের ১৬ জুলাই শিল্পী সমিতির প্যাড ব্যবহার করে কোটাবিরোধী আন্দোলন নিয়ে এক বিবৃতি দেন নিপুণ। সেখানে নিজেকে সাধারণ সম্পাদক ‘সাবেক’ বলেই উল্লেখ করেন তিনি। শুধু তাই নয়, গত ১৭ জুলাই নিজের ফেসবুক ওয়ালে সেটা পোস্টও দেন। এ নিয়ে সে সময় ব্যাপক সমালোচনায় জড়ান তিনি। 

অনৈতিকভাবে সমিতির প্যাড ব্যবহার করায় মিশা-ডিপজল নেতৃত্বাধীন কমিটি গত বছরের ৩০ জুলাই সমিতির ষষ্ঠ সভায় এ বিষয় উত্থাপিত হলে নিপুণকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। পরে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিলেও তিনি তা তোয়াক্কা করেননি। 

তার আগে বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজলকে নিয়ে গণমাধ্যমে ‘কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠে এই অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে। গঠনতন্ত্র পরিপন্থি কাজ করায় নিপুণকে নোটিশ দেয় কার্যনির্বাহী পরিষদ। 

তবে আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী নেতার কাছের মানুষ হওয়ায় কোনো চিঠিই আমলে নেননি নিপুণ। চালিয়ে যান তার সব বিতর্কিত কর্মকাণ্ড। 

এর পরিপ্রেক্ষিতে অনৈতিকভাবে শিল্পী সমিতির প্যাড ব্যবহার এবং সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগে শিল্পী সমিতি থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার হয়েছেন নিপুণ আক্তার।

এ নিয়ে নিপুণের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তার ব্যবহৃত নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

প্রসঙ্গত, গত ১০ জানুয়ারি সকালে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের বিজি-২০১ ফ্লাইটে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে পালিয়ে যাওয়ার সময় চিত্রনায়িকা নিপুণের পাসপোর্ট অফলোড করে দেয় ইমিগ্রেশন পুলিশ। তার নামে মামলা না থাকায় পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে নিপুণকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে আটকের খবর সত্য নয় দাবি করেন এই অভিনেত্রী। 

এরপর থেকে আত্মগোপনে রয়েছেন অভিনেত্রী নিপুণ।

img

যিশুদা আমার বড় ‘ক্রাশ’ ছিল, বললেন শোলাঙ্কি রায়

প্রকাশিত :  ০৮:২৩, ১৫ মার্চ ২০২৫

জীবনের প্রথম সিনেমার প্রথম হিরোকে নিয়ে নানা গল্প শোনালেন টালিউড অভিনেত্রী শোলাঙ্কি রায় । আর তার প্রথম জীবনের সেই হিরো হচ্ছেন যিশু সেনগুপ্ত।  

অভিনেত্রী যিশুকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে বললেন, জন্মদিনে যিশুদাকে নিয়ে লিখতে হলে আমাকে একটু পেছনে ফিরে যেতে হবে। কারণ আমার প্রথম ছবির নায়ক যিশুদা। ভাবলে এখনও অবাক হই। ‘বাবা, বেবি ও’ সিনেমাটি ঘিরে তাই যিশুদার সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব আরও পোক্ত হয়েছিল।

অভিনেত্রী বলেন, আমরা যখন ছোট ছিলাম, তখন থেকেই যিশুদার অভিনয় দেখছি। এত সুদর্শন অভিনেতা! আমার তো একসময়ে যিশুদার ওপর খুব বড় ‘ক্রাশ’ ছিল। ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখার পর কয়েকটা অনুষ্ঠানে যিশুদার সঙ্গে দেখা হয়েছিল। কিন্তু সেই ভাবে আলাপ ছিল না। দাদা যে আমার প্রথম ছবির অংশ, সেটা জানার পর বিশ্বাস করতে পারিনি। এক ধাক্কায় ছোটবেলার স্মৃতিগুলো ফিরে ফিরে আসছিল।

শুটিংয়ের সময়েই যিশুদাকে আরও ভালোভাবে চিনতে পারি। মজার মানুষ। সবাইকে নিয়ে হইহই করতে ভালোবাসেন। তার থেকেও বড় কথা— আমি তখন নতুন। ‘উইন্ডোজ’-এর মতো বড় প্রযোজনা সংস্থার ছবি। সব মিলিয়ে একটু নার্ভাস ছিলাম। সেটেও শুরুর দিকে একটু চুপচাপ থাকতাম। কিন্তু যিশুদা এত বড় একজন অভিনেতা— সেটা আমাকে বুঝতে দেননি। বরং হাসিঠাট্টার মধ্য দিয়ে আমাকে আরও সহজ করে তুলেছিলেন।

শুটিংয়ের সময় আমি, অরিত্র (ছবির পরিচালক অরিত্র মুখোপাধ্যায়), গৌরব (গৌরব চট্টোপাধ্যায়), বিদীপ্তাদি (বিদীপ্তা চক্রবর্তী) মিলে প্রচুর আড্ডা দিয়েছিলাম। একটা সিরিয়াস ঘটনা মনে পড়ছে। 

শোলাঙ্কি রায় বলেন, একদিন শুটিংয়ে যাওয়ার পথে দুটি ছেলে আমার গাড়ি আটকায়। বুঝতে পারি— ওরা মদ্যপ অবস্থায় রয়েছে। তাদের মধ্যে একজন খুব খারাপ ভাষায় কথা বলতে শুরু করে। আমি জীবনে হয়তো দুজনকে চড় মেরেছি। তার মধ্যে একজন ওই ছেলেটি! তারপর ফ্লোরে পৌঁছে খুব চুপচাপ ছিলাম। কী ঘটেছে, সবাই আমার মুখ থেকে শুনলেন। যিশুদা তো শুনেই অবাক। বললেন, কী! তুই চড়ও মেরেছিস? তার পর থেকে অনেক দিন যিশুদা আমাকে নিয়ে মজা করতেন। আসলে দাদা বুঝতে পেরেছিলেন, আমার মন খারাপ। তাই আমাকে আরও সহজ করার জন্যই মজা করছিলেন। আমিও তার পর হেসে ফেলেছিলাম। তবে আমি যে কাউকে, বিশেষ করে কোনো পুরুষকে চড় মারতে পারি, সেটি হয়তো দাদা বিশ্বাস করতে পারেননি। সেদিন থেকে একটু হলেও হয়তো দাদার কাছে আমার ভাবমূর্তি বদলে গিয়েছিল।

যিশুদার সঙ্গে এখন যোগাযোগটা খুবই কমে গেছে। এর মধ্যে দেখাও হয়নি। কারণ দাদা এখন অনেকটা সময় বলিউড ও দক্ষিণী প্রজেক্টের জন্য শহরের বাইরে থাকেন। কিন্তু মাঝেমাঝে মনে হয়, ‘বাবা, বেবি ও’-র সিক্যুয়েল তৈরি হলে কেমন হতো? প্রযোজনা সংস্থা এবং পরিচালক যদি রাজি হন, তা হলে আমিও রাজি। আবার সবাই মিলে মজা করে একটা ভালো ছবি তৈরি করা যাবে।

অভিনেত্রী বলেন, যিশুদার জন্মদিনে এটাই চাই—যিশুদা আরও ভালো ভালো কাজ আমাদের উপহার দিক। আর আশা করছি, খুব দ্রুত আমাদের দেখাও হবে এবং একসঙ্গে নতুন কোনো কাজও করব।