img

আবেগ চেপে রাখলে বাড়ে মানসিক ব্যাধি

প্রকাশিত :  ১২:০৬, ২২ জানুয়ারী ২০২৫

আবেগ চেপে রাখলে বাড়ে মানসিক ব্যাধি

প্রকৃতিগতভাবে মানুষ আবেগপ্রবণ। যদিও এ আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারা অনেক বড় একটি গুণ, যা সবার মধ্যে থাকে না। তবে আবেগ চেপে রাখা কিন্তু মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

মনের কথা প্রকাশ করাটাও জরুরি। তবে অনেকেই আছেন, যারা নিজেদের চিন্তাভাবনা কিংবা অনুভূতি কারও সঙ্গে শেয়ার করতে চান না। দীর্ঘদিনের এ অভ্যাসে বাড়ে মানসিক ব্যাধির ঝুঁকি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘদিন ধরে পরিবারের সঙ্গে যদি আপনি আবেগ প্রকাশ না করেন, তখন একাকিত্ব ও বিষন্নতায় ভুগতে পারেন।

সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, সামাজিক সম্পর্ক বোঝার ক্ষমতা ও মানসিক স্বাস্থ্যের মধ্যে গভীর সম্পর্ক আছে। যা বোঝা প্রত্যেকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সামাজিক জ্ঞান হলো একটি জটিল মানসিক প্রক্রিয়া। এটি আমাদের অনুভূতি, উদ্দেশ্য, বিশ্বাস ও সামনের মানুষের চিন্তা করার উপায়গুলো বুঝতে সাহায্য করে।

বিশেষজ্ঞরা আরও জানান, কারও যদি সামাজিক দক্ষতার ঘাটতি থাকে তাহলে তা অনেক ধরনের মানসিক স্বাস্থ্য ব্যাধির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। যেমন বিষন্নতা, বাইপোলার ডিসঅর্ডার বা সিজোফ্রেনিয়ার মতো সমস্যা। বিষন্নতায় মানুষ অন্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন বোধ করে। এমনকি সবার সঙ্গে যোগাযোগে আগ্রহও হারিয়ে ফেলে।

অন্যদিকে বাইপোলার ডিসঅর্ডারের ক্ষেত্রে, মেজাজের পরিবর্তন সামাজিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে অস্থিরতা হয়ে দেখা দেয়। তবে সিজোফ্রেনিয়ায়, বিভ্রম বা হ্যালুসিনেশনের মতো উপসর্গগুলো দেখা যায়। বাইপোলার ডিসঅর্ডার হলে, আক্রান্ত ব্যক্তিরা অন্যদের সঙ্গে সামঞ্জস্য করতে অসুবিধা বোধ করেন। অন্যরা কি বলছে, তা সঠিকভাবে বুঝতে অক্ষম হন। শুধু তাই নয়, তাদের অনুভূতিগুলো সঠিকভাবে প্রকাশ করতেও দ্বিধাবোধ করেন তারা। ফলে তাদের বন্ধু তৈরি করা কঠিন হয়ে পড়ে।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আরও জানাচ্ছেন, মানসিক ব্যাধি সামাজিক দক্ষতায় প্রভাব ফেলে। এতে আক্রান্ত ব্যক্তিরা সামনের মানুষের আবেগ বুঝতে ও নিজস্ব আবেগগুলো সঠিকভাবে প্রকাশ করতে অসুবিধা বোধ করেন।

আপনিও যদি মানসিক কোনো সমস্যার মধ্যে দিয়ে যান তাহলে অবশ্যই শরীরচর্চা ও মেডিটেশন করুন। কারণ ব্যায়াম আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যায়াম করার মাধ্যমে আমরা সামনের মানুষে আবেগ বুঝতে সক্ষম হই। তাই সুস্থ থাকতে ব্যায়াম করুন।


img

মস্তিষ্ক দীর্ঘদিন সতেজ ও সক্রিয় রাখে যেসব ফল

প্রকাশিত :  ০৬:২৪, ০৫ মে ২০২৫

স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতে বা মনোযোগ বাড়াতে প্রতিদিনের খাবারে ড্রাই ফ্রুটস রাখলে মস্তিষ্ক দীর্ঘদিন সতেজ ও সক্রিয় থাকবে বলে জানান পুষ্টিবিদরা। তবে অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না। এতে অপকারও হতে পারে। যেসব ড্রাই ফ্রুটস নিয়মিত খেলে স্মৃতিশক্তি প্রখর থাকবে।

আখরোট

ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ আখরোট স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। সকালে একটি আখরোট খেলে উপকার পাওয়া যায়। চাইলে আগের রাতে ভিজিয়ে রাখতে পারেন।

আমন্ড বা কাঠবাদাম

ভিটামিন ই সমৃদ্ধ আমন্ড মস্তিষ্ককে অক্সিডেটিভ মানসিক চাপ থেকে রক্ষা করে। প্রতিদিন সকালে ২–৩টি ভেজানো আমন্ড খাওয়া সবচেয়ে উপকারি।

কাজুবাদাম

ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ কাজু মনোযোগ বাড়ায়। তবে এটি অতিরিক্ত খেলে ওজন বাড়তে পারে, তাই দিনে ২–৩টির বেশি খাওয়া উচিত নয়। লবণ দেওয়া কাজু না খাওয়াই ভালো।

পেস্তা

পেস্তা খেলে মস্তিষ্ক সজাগ থাকে। হালকা গরম দুধের সঙ্গে পেস্তা গুঁড়া মিশিয়ে খেলে আরও ভালো ফল মিলতে পারে।

কিশমিশ

কিশমিশ সরাসরি খাওয়া বা কিশমিশ ভেজানো পানি পান করলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে।

ডুমুর

শুকনো বা ভেজানো ডুমুর খেলে মস্তিষ্ক সুস্থ থাকে ও দীর্ঘ সময় সক্রিয় থাকে।

বিশেষ পরামর্শ: উপরের যেকোনো খাদ্য নিয়মিত খাওয়ার আগে চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়া ভালো।