img

হেডরুম গ্রুপ: স্থাপত্যে স্বপ্নবুননের কাব্য

প্রকাশিত :  ১৮:৩৭, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

হেডরুম গ্রুপ: স্থাপত্যে স্বপ্নবুননের কাব্য

স্থাপত্য কেবল ইট-পাথরের সমারোহ নয়, এটি এক নিখুঁত শিল্প। এর প্রতিটি রেখা, প্রতিটি কোণ জীবনের গল্প বুনে চলে। এই গল্পগুলোর মাঝে হেডরুম গ্রুপ এক নবদিগন্তের উন্মোচন ঘটিয়েছে। নকশার নিখুঁত সৌন্দর্য, টেকসই ভবন নির্মাণের অভিজ্ঞতা এবং প্রকৃতি ও আধুনিকতার মেলবন্ধনে তারা সৃজনশীলতার শিখরে পৌঁছেছে।

হেডরুম গ্রুপের প্রতিটি প্রকল্প যেন স্বপ্নের বাস্তব রূপ। তাদের নকশায় যেমন আধুনিকতার ছোঁয়া মেলে, তেমনি পরিবেশবান্ধব উপকরণের মাধ্যমে প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসার প্রকাশ ঘটে। ভবনগুলোতে আলো-ছায়ার খেলা এবং প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সম্পর্কের এক অসামান্য ব্যাখ্যা ফুটে ওঠে।

প্রতিটি স্থাপনা শুধুই ইট-সুরকির গাঁথুনি নয়; এর ভাঁজে লুকিয়ে থাকে ভবিষ্যতের বার্তা। ভবনের প্রতিটি দেয়াল যেন বলে, “আমরা কেবল আজকের জন্য নই; আগামী প্রজন্মের জন্যও আছি।”

হেডরুম গ্রুপের অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা তাদের প্রতিটি প্রকল্পে স্পষ্ট। আবাসিক থেকে শুরু করে শিল্প স্থাপনা—তারা এমনভাবে নকশা তৈরি করেন যা আধুনিক জীবনযাত্রার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। তাদের ডিজাইনে যেমন সূক্ষ্ম পরিকল্পনা রয়েছে, তেমনি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের নির্ভুলতা লক্ষ্যণীয়।

তারা BIM (Building Information Modeling) এবং 3D প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রতিটি প্রকল্পকে বাস্তবতার মাটিতে রূপ দেন। তাদের দক্ষ ইঞ্জিনিয়াররা ভবনের স্থায়িত্ব ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে প্রতিটি ধাপে মেধার ছাপ রাখেন।

হেডরুম গ্রুপের প্রকল্পগুলো নিছক কাঠামো নয়; বরং তারা এক একটি কাব্যের মতো। আবাসিক স্থাপনাগুলোতে পরিবারের স্বপ্ন বুননের জায়গা তৈরি হয়, আর বাণিজ্যিক স্থাপনাগুলোতে কাজের গতিশীলতা ফুটে ওঠে।

শিল্প স্থাপনা এবং অবকাঠামোগুলো শুধু উন্নয়নের প্রতীক নয়; বরং তারা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অগ্রযাত্রার স্মারক। প্রতিটি স্থাপনা যেন বলে, “এই ভবন শুধুমাত্র কাঠামো নয়; এটি উন্নতির প্রতিচ্ছবি।”

হেডরুম গ্রুপের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা আরও বিস্তৃত। তাদের লক্ষ্য শুধু উন্নত ভবন নির্মাণ নয়; বরং স্মার্ট সিটি এবং গ্রিন বিল্ডিং তৈরির মাধ্যমে একটি পরিবেশবান্ধব পৃথিবীর স্বপ্ন দেখানো। তারা জানে, স্থাপত্য ও প্রকৌশল শুধু প্রযুক্তি নয়; এটি মানুষের জীবন বদলে দেওয়ার এক শক্তি।

হেডরুম গ্রুপ একটি প্রতিষ্ঠান নয়; এটি এক স্বপ্নের কারিগর। তাদের কাজ দেখে মনে হয়, তারা প্রতিটি ভবন গড়েন কবির মনের মতো করে। স্থাপত্যের প্রতিটি রেখায় তারা জীবনের নতুন মানে খুঁজে পান।

স্থাপত্যের এই মেলবন্ধনে, তারা শুধুমাত্র একটি ভবন নির্মাণ করেন না; বরং একটি গল্প বলেন—স্বপ্নের গল্প, সুন্দর ভবিষ্যতের গল্প। এভাবেই হেডরুম গ্রুপ স্থাপত্যের আকাশে নিজের নাম খোদাই করে চলেছে, এক অনন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে।

img

খালি পেটে হাঁটবেন না কি ভরা পেটে, ওজন কমাতে কোনটি কার্যকর?

প্রকাশিত :  ০৬:৪৭, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

নিয়মিত হাঁটা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এটা সবচেয়ে কার্যকরী এবং সহজ শরীরচর্চার মধ্যে অন্যতম। দিনে নির্দিষ্ট সময় মেনে হাঁটলে শরীরের অনেক ধরনের সমস্যা কমে। বিশেষ করে নিয়মিত হাঁটার মাধ্যমে ওজন ঝরানো, উৎকণ্ঠা কমানো, হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো বা হজম প্রক্রিয়া উন্নত করা সম্ভব। কেউ কেউ খাওয়াদাওয়ার পর হাঁটেন, কেউ বা খালি পেটে। ভরা পেটে না কি খালি পেটে হাঁটা বেশি উপকারী তা নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন আছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দুভাবে হাঁটলেই ক্যালরি পোড়ে। এর ফলে ওজনও কমে। তার পরও তুলনামুলকভাবে কোনটা উপকারী তা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। 

ভারতীয় পুষ্টিবিদ ফারেহা শনমের ভাষায়, যারা কেবল ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন, তাদের খালি পেটে হাঁটা উচিত। এটিকে ‘ফাস্টিং কার্ডিয়ো’বলা হয়।

খালি পেটে হাঁটা

খালি পেটে হাঁটলে খাবার থেকে প্রয়োজনীয় শক্তি বা গ্লুকোজ় পায় না শরীর। তাই বাধ্য হয়ে শরীর জমে থাকা অতিরিক্ত ফ্যাট পোড়াতে শুরু করে হাঁটার শক্তি পাওয়ার জন্য। এর ফলে শরীর থেকে ফ্যাট কমতে শুরু করে এবং ওজন হ্রাস পায়। খালি পেটে প্রতিদিন হাঁটার অভ্যাস থাকলে হজমের সমস্যাও দূর হবে। তা ছাড়া সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে হাঁটতে গেলে শরীর বেশি পরিমাণে ভিটামিন ডি পায়। সেই সময় রোদের তেজও কম থাকে, যা থেকে ভিটামিন ডি-ও ভাল পরিমাণে পাওয়া যায়।

ভরা পেটে হাঁটা

খাওয়ার পরে হাঁটারও অনেক উপকারিতা আছে। খাবার খাওয়ার পর হাঁটলে শরীর সেই খাবার থেকেই পাওয়া গ্লুকোজ়কে শক্তির জন্য ব্যবহার করে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। যাদের ডায়াবেটিস আছে খাওয়ার পর হাঁটা তাদের জন্য বিশেষ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ । যদিও খালি পেটে হাঁটার তুলনায় ভরা পেটে হাঁটায় কম ক্যালোরি পোড়ে, তারপরও  খাওয়ার পর ১০-১৫ মিনিট হাঁটলে হজমশক্তি উন্নত হয়। পেট ফাঁপার মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।