img

ভারতে বাংলাদেশি নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা

প্রকাশিত :  ০৮:২২, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫

ভারতে বাংলাদেশি নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা

ভারতে কর্ণাটক রাজ্যের বেঙ্গালুরু শহরের কালকেরে হ্রদের কাছে ২৮ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) কর্নাটকের কালকেরে লেক সংলগ্ন স্থানে ওই নারীর মরদেহ পাওয়া যায়। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ওই নারী যে অ্যাপার্টমেন্টে কাজ করতেন, সেখান থেকে এক কিলোমিটার দূরে ওই নারীর মরদেহ পাওয়া যায়। ঘটনা খতিয়ে দেখতে পুলিশ আশপাশের ভবনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখছে। স্থানীয়রা শুক্রবার সকালে লেকের একটি নির্জন স্থানে ওই নারীর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। পুলিশের ধারণা, বৃহস্পতিবার রাতে কাজ থেকে ফেরার পথে আক্রান্ত হন নাজমা।

আরও জানিয়েছে, নিহত নাজমা তিন সন্তানের জননী। তার স্বামী রামামূর্তি স্থানীয় পৌরসভার একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী।

পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা যাচ্ছে, হত্যার আগে ওই নারীকে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে। ঘটনাটি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে রাতের মধ্যে কোনো সময়ে ঘটে থাকতে পারে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ভিরগো নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি জানান, নিহত বাংলাদেশি নারী শহরে পরিবারের সঙ্গে ছয় বছর ধরে বাস করছিলেন। তার কোনো বৈধ কাগজপত্র না থাকলেও তার স্বামীর বৈধ পাসপোর্ট রয়েছে এবং তিনি এখানে এসেছিলেন মেডিকেল ভিসায়। বৃহস্পতিবার ওই নারী তার এক সহকর্মীকে বলেছিলেন তার ব্যক্তিগত কাজ রয়েছে এবং ঘরে ফিরতে দেরি হবে। তিনি সহকর্মীকে একাই চলে যেতে বলেছিলেন। কিন্তু অনেক সময় পরও ঘরে না ফেরায় তার স্বামী রামামূর্তি নগর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।

ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, মনে হচ্ছে- তিনি স্বেচ্ছায় ওই নির্জন স্থানে গিয়েছিলেন পূর্ব পরিচিত কারও সাথে দেখা করার জন্য। শুক্রবার সকালে তার মরদেহ পাওয়া যায়। তার মাথায় ভারী কোনো বস্তুর বেশ কয়েকটি আঘাত রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, সেখানে কোনো কিছু নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছে, যার এক পর্যায়ে তাকে খুন করা হয়েছে। আমরা ভারতীয় ন্যায় সংহিতা-বিএনএস ৬৩ (ধর্ষণ) এবং ১০৩ (হত্যা) ধারায় মামলা করেছি এবং ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের অপেক্ষায় আছি।

খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশের পূর্ব বিভাগের উপকমিশনার দেবরাজ। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং ডগ স্কোয়াডও গেছে সেখানে।

উপপিুলিশ কমিশনার দেবরাজ বলেন, আমরা সকালে ১১২ নম্বরে ফোনে খবর পাই এক নারীর মরদেহ পড়ে আছে কালকেরে লেকের নির্জন স্থানে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ধর্ষণের পর তাকে হত্যা করা হয়েছে। এটি একটি নৃশংস ঘটনা। ঘটনার তদন্ত জোরেশোরে চলছে বলেও জানান তিনি।


img

গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী গঠনের প্রস্তাবে জাতিসংঘের সমর্থন

প্রকাশিত :  ০৪:৫৪, ১৮ নভেম্বর ২০২৫

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ফিলিস্তিনের গাজা ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা পরিকল্পনাকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্রের খসড়া প্রস্তাব পাস করেছে। এই পরিকল্পনায় গাজার জন্য একটি আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী (আইএসএফ) গঠনের কথা রয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এই তথ্য জানিয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদের ১৩টি সদস্য দেশ এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়, যার মধ্যে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও সোমালিয়া ছিল, তবে রাশিয়া ও চীন ভোটদানে বিরত থাকে। 

জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মাইক ওয়াল্টজ বলেন, আইএসএফ-এর কাজ হবে এলাকা সুরক্ষিত রাখা, গাজাকে সামরিকীকরণমুক্ত করা, সন্ত্রাসী অবকাঠামো ভেঙে ফেলা, অস্ত্র অপসারণ এবং ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

অবশ্য গাজার শাসকদল হামাস এই প্রস্তাবটি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের দাবি, এটি ফিলিস্তিনিদের অধিকারের দাবি পূরণ করে না। টেলিগ্রামে দেওয়া বিবৃতিতে হামাস বলেছে, পরিকল্পনাটি গাজায় আন্তর্জাতিক অভিভাবকত্ব চাপিয়ে দিচ্ছে, যা ফিলিস্তিনি জনগণ ও তাদের বিভিন্ন গোষ্ঠী মানতে রাজি নয়। 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গাজার ভেতরে আন্তর্জাতিক বাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়া—যেমন প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোকে নিরস্ত্র করা—এই বাহিনীকে নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে সরিয়ে দেবে। খসড়া অনুযায়ী, আইএসএফ-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হবে হামাসসহ অ-রাষ্ট্রীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর অস্ত্র স্থায়ীভাবে নিষ্ক্রিয় করা। পাশাপাশি বেসামরিক মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং মানবিক সহায়তার রুটগুলো নিরাপদ রাখা।

ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই জন্য হামাসকে অস্ত্র জমা দিতে হবে। এছাড়া আইএসএফ ইসরায়েল ও মিসরের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। একই সঙ্গে গাজায় নতুন করে প্রশিক্ষিত একটি ফিলিস্তিনি পুলিশ গঠনের কথাও বলা হয়েছে, যদিও এতদিন পুলিশ বাহিনী হামাসের আওতাধীন ছিল। 

যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, একাধিক দেশ এই আন্তর্জাতিক বাহিনীতে সদস্য পাঠাতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে, তবে দেশগুলোর নাম প্রকাশ করা হয়নি।

সূত্র: বিবিসি

আন্তর্জাতিক এর আরও খবর