img

ভারতের কুম্ভ মেলায় পদদলিত হয়ে প্রায় ৪০ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত :  ১১:৪৫, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫

ভারতের কুম্ভ মেলায় পদদলিত হয়ে প্রায় ৪০ জনের মৃত্যু

ভারতের উত্তরপ্রদেশে হিন্দুধর্মাবলম্বীদের বৃহৎ জমায়েত কুম্ভমেলায় মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে পদদলনের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের তিনটি সূত্র বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, পদদলনের ঘটনার পর নিকটবর্তী হাসপাতালের মর্গে প্রায় ৪০টি মরদেহ নিয়ে আসা হয়।

এরআগে বেসরকারি সূত্র জানায়, সেখানে এক ডজনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন অনেকে। 

তবে ভারত সরকার আহত-নিহতের সংখ্যা লুকানোর চেষ্টা করছে। তারা বিকেল পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে আহত ও নিহতদের সংখ্যা প্রকাশ করেনি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

শ্বেতা ত্রিপাঠী নামের এক নারী বলেছেন, “আমরা মানুষকে পড়ে যেতে দেখেছি। আমরা সামনে গিয়ে দেখি চারদিকে কাপড়, মানুষের দেহ, তাদের ব্যাগসহ অন্যান্য জিনিস পড়ে আছে। বিষয়টি এত তাড়াতাড়ি ঘটে গেলো, আমি আর এটি নিতে না পেরে কান্না শুরু করি। সৌভাগ্যক্রমে আমার দলের কেউ আহত হননি। আমরা সবাই নিরাপদ আছি। কিন্তু আমি আর কখনো কুম্ভমেলায় আসব না।”

প্রত্যক্ষদর্শীরা শিশু ও আত্মীয়দের তাদের প্রিয় মানুষদের মরদেহের পাশে কাঁদতে দেখেছেন। 

কুম্ভমেলায় পুরো ভারত থেকে কোটি কোটি মানুষ অংশ নেন। সেখানে পবিত্র পানিতে ডুব দেন তারা। এই মেলায় হাজার হাজার হিন্দু সন্যাসী অবস্থান করেন। বলা হয়ে থাকে, হিন্দুদের সবচেয়ে বড় গণজমায়েত এটি। 

প্রতি ১২ বছর পরপর পর কুম্ভমেলা হয়ে থাকে। আর ১৪৪ বছর অন্তর হয় মহাকুম্ভ মেলা। ধারণা করা হয়, এটি প্রায় ৮০০ বছরের পুরোনো একটি ঐতিহ্য। 

সহস্রাব্দ প্রাচীন এই কুম্ভ মেলা গঙ্গা, যমুনা এবং সরস্বতী নদীর মোহনায় অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে পূণ্য লাভের আশায় হাজার হাজার মানুষ একসাথে স্নান করেন। হিন্দু ধর্মালম্বীরা  মনে করেন গঙ্গা, যমুনা এবং সরস্বতীর পবিত্র জলে স্নান করে মানুষ পাপ থেকে মুক্ত হয়। তীর্থযাত্রীরা সূর্যোদয়ের আগে পবিত্র ঠান্ডা পানিতে স্নান শুরু করেন। এবারের মেলায় ৪০ কোটি মানুষ অংশ নেবেন বলে ধারণা আয়োজকদের।

আন্তর্জাতিক এর আরও খবর

img

‘অল্পের জন্য বেঁচে যান’ ইরানি প্রেসিডেন্ট, ছোড়া হয় ৬টি বোমা

প্রকাশিত :  ০৭:২৬, ১৩ জুলাই ২০২৫

সাম্প্রতিক যুদ্ধে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানকে লক্ষ্য করেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) সংশ্লিষ্ট এক আউটলেটের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। খবর ইরান ইন্টারন্যাশনালের।  

ফার্স নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, গত ১৬ জুন, সোমবার সকালে পশ্চিম তেহরানের ভবনের নিচতলায় দেশটির সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের একটি অধিবেশন চলছিল। তখন ইসরায়েলি বাহিনী আক্রমণ চালায়। 

রিপোর্টে বলা হয়েছে, বৈঠকে মাসুদ পেজেশকিয়ান ছাড়াও, পার্লামেন্ট স্পিকার মোহাম্মদ বাঘের গালিবাফ, বিচার বিভাগীয় প্রধান মোহসেনি এজেই এবং দেশটির অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

ফার্স নিউজ বলেছে, পালানোর রাস্তা বন্ধ এবং বায়ুপ্রবাহ ব্যাহত করতে ভবনের প্রবেশ ও প্রস্থান পথ লক্ষ্য করে ছয়টি বোমা বা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। বৈরুতে হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যার জন্য পরিকল্পিত একটি অভিযানের আদলে এই আক্রমণটি তৈরি করা হয়েছিল। 

রিপোর্টে আরও বলা হয়, বিস্ফোরণের পর ফ্লোরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল, কিন্তু কর্মকর্তারা আগে থেকে প্রস্তুত করা একটি \'জরুরি হ্যাচ\' দিয়ে পালাতে সক্ষম হন। তবে এই এক্সিট পথ দিয়ে বের হওয়ার সময় প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান এবং আরও কিছু কর্মকর্তা পায়ে সামান্য আঘাত পেয়েছেন।

ইরান ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফার্সের রিপোর্টে ইরানি প্রেসিডেন্টসহ কর্মকর্তারা তেহরানের ঠিক কোথায় এই বৈঠক করছিলেন তার তথ্য দেওয়া হয়নি।

তবে ইরান ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, গত ১৬ জুন পশ্চিম তেহরানে শাহরাক-ই-গারবের কাছে একটি এলাকায় হামলায় চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। 

এদিকে সম্প্রতি মার্কিন রক্ষণশীল উপস্থাপক টাকার কার্লসনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, সংঘাতের সময় ইসরায়েল তাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল।