img

সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হলেন আহমেদ আল-শারা

প্রকাশিত :  ০৬:০১, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৬:০৪, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫

সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হলেন আহমেদ আল-শারা

সিরিয়ার ডি ফ্যাক্টো (কার্যত) লিডার আহমেদ আল-শারাকে দেশের অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে দেশটির সংবিধান স্থগিত করা হয়েছে। গতকাল বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সানা এসব তথ্য জানিয়েছে। খবর আলজাজিরার।

সাত সপ্তাহ আগে তিনি বিদ্রোহী অভিযানের নেতৃত্ব দেন, যার মাধ্যমে দীর্ঘদিনের শাসক বাশার আল-আসাদ ক্ষমতাচ্যুত হন।

আহমেদ আল-শারাকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিযুক্ত করার বিষয়টি সিরিয়ার নতুন ডি ফ্যাক্টো (কার্যত) সরকারের সামরিক অপারেশন বিভাগের মুখপাত্র হাসান আবদেল ঘানি ঘোষণা দিয়েছেন বলে রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সানা জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে উড়োজাহাজের সঙ্গে হেলিকপ্টারের সংঘর্ষযুক্তরাষ্ট্রে উড়োজাহাজের সঙ্গে হেলিকপ্টারের সংঘর্ষ

এ সময় আবদেল ঘানি দেশের সব সশস্ত্র গোষ্ঠী ভেঙে দেয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি জানান, এসব গোষ্ঠীকে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

সানা জানিয়েছে, অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য একটি অস্থায়ী আইন পরিষদ গঠনেরও ক্ষমতা দেয়া হয়েছে আল-শারাকে। এই পরিষদ নতুন সংবিধান গৃহীত না হওয়া পর্যন্ত তাদের দায়িত্ব পালন করবে।

রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আবদেল ঘানির বরাত দিয়ে জানিয়েছে, সব সামরিক গোষ্ঠী ভেঙে দেয়া হয়েছে। তাদের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সাবেক শাসনামলের সেনাবাহিনী এবং নিরাপত্তা সংস্থা সেইসঙ্গে দশক ধরে সিরিয়া শাসনকারী বাথ পার্টি ভেঙে দেয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

গত মাসে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করতে তড়িৎ অভিযানে যোগ দেয়া সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর দামেস্ক বৈঠক শেষে এই ঘোষণাগুলো এসেছে। ওই অভিযানের নেতৃত্ব দেয়ার পর থেকে আল-শারা সিরিয়ার ডি ফ্যাক্টো নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

img

ইসরাইলের হামলায় গাজায় নিহত আরও ৫৬ ফিলিস্তিনি

প্রকাশিত :  ০৭:২২, ১৭ জুন ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৭:২৩, ১৭ জুন ২০২৫

গাজায় ইসরাইলি হামলায় আরও ৫৬ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৩৮ জনই ত্রাণ আনতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে আলজাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার ভোর থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৬ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। এদের মধ্যে ৩৮ জন দক্ষিণের রাফাহ অঞ্চলে ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে সাহায্যের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) পরিচালিত বিতর্কিত স্থানগুলোতে ত্রাণ আনতে যান তারা।
যুক্তরাষ্ট্র-ইসরাইল সমর্থিত ও ইসরাইলি সামরিক বাহিনী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় পরিচালিত জিএইচএফের কেন্দ্রগুলোতে ত্রাণ সংগ্রহকারীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটছে। গাজা কর্তৃপক্ষ ও সমালোচকেরা এই ত্রাণ কেন্দ্রগুলোকে ‘মানব কসাইখানা’ আখ্যা দিয়েছেন। জিএইচএফ গত ২৭ মে থেকে কার্যক্রম শুরু করার পর এসব স্থানে ত্রাণ নিতে গিয়ে তিন শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন হাজারের বেশি মানুষ।  

ইরানের সঙ্গে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বিনিময়ের মধ্যেও ইসরাইলি বাহিনী গাজায় তাদের আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে। 

গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের মতে, ২০ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরাইলি হামলায় ৫৫ হাজার ৩৬২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আর আহতের সংখ্যা এক লাখের বেশি। এ ছাড়া ২০ লাখ বাসিন্দার অধিকাংশই বাস্তুচ্যুত।

আন্তর্জাতিক এর আরও খবর