img

রূপা হকের পদত্যাগের দাবীতে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সামনে বিক্ষোভ

প্রকাশিত :  ০৬:১০, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

রূপা হকের পদত্যাগের দাবীতে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সামনে বিক্ষোভ

বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতন মানবাধিকার লংঘন নিয়ে অল পার্টি পার্লামেন্টের প্রতিবেদন বাতিলে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে দেয়া এম পি রূপা হকের বক্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ  সমাবেশ।

এলিনং একটনের  নির্বাচিত বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত এম পি মিস রূপা হক বুধবার ১৬ জানুয়ারী  পার্লামেন্ট  পয়েন্ট অব অর্ডারে  বাংলাদেশ সম্পর্কিত এপিপিজি\'র প্রতিবেদনটির তীব্র সমালোচনা করেন। তারা বলেন, এটি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে একটি কুচক্রী পরিকল্পনার অংশ। 

রূপা হক পার্লামেন্টে প্রতিবেদনটির তথ্য সঠিক নয় বলে অভিযোগ তোলার পর সেটি পর্যালোচনার জন্য স্থগিত করা হয়। কিন্ত চরম বাস্তবতা হচ্ছে এপিপিজির প্রতিবেদনে প্রকাশিত তথ্যের অধিক সংখ্যক মানুষ আক্রমণের শিকার হয়েছেন। আমরা দীর্ঘদিন যাবত গভীর উদ্বগের সাথে পরিলক্ষিত করছি রূপা হক বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ  বিরোধী ইসলামী শিবিরের সাথে তার সুসম্পর্ক  বজায় রাখছেন এবং নানা ইস্যুতে  তিনি আওয়ামী লীগের বিরোধী শক্তিকে নানাভাবে সহায়তা করে আসছেন ,যার সর্বশেষ উদাহরণ  বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী যুদ্ধাপরাধী দলের নেতা ডা: শফিকুর রহমানের সাথে  ব্রিটিশ পার্লামেন্টে একটি সভায় মিলিত হয়েছেন। 

বহু সংস্কৃতি ও গণতন্ত্রের তীর্থস্থান মহান ব্রিটেনের একজন সংসদ সদস্য বাংলাদেশের ভূক্তভোগী  নির্যাতিত  সংখ্যালঘুদের পাশে না গিয়ে কোন ধরণের তথ্য উপাত্ত  ছাড়া শুধুমাত্র ক্ষমতাসীন সরকারের বিভিন্ন প্রতিনিধিদের দেয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে পুরো প্রতিবেদনটি স্থগিত করার জন্য বক্তব্য রাখেন। 

অন্যদিকে  বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে  সংখ্যালঘু নির্যাতন হত্যা  ঘরবাড়ি পুড়ানো লুটপাটের দায় স্বীকার করে অনেক আসামী গ্রেফতারের কথা ও উল্লেখ করেছেন। 

বাংলাদেশের নির্যাতিত  নিপীড়িত সংখ্যালঘু সম্প্রদায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সুবিচারের আশা করছিল। যুক্তরাজ্য সব সময় মানবতার পক্ষে ,নির্যাতিত মানুষের পক্ষে দাঁড়ায়। কিন্তি এপিপিজির প্রতিবেদন স্থগিত হওয়ার কারণে সেই সম্ভাবনার পথ রুদ্ধ করে দেয়া হয়েছে। রূপা হক বরং  মানবতা বিরোধী ইসলামী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর প্রতি পক্ষপাত মূলক অবস্থান নিয়ে বাংলাদেশ  নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের প্রতি অমানবিক  আচরণ করেছেন।

রূপা হকের এই পক্ষপাত মূলক বক্তব্য প্রত্যাহার ও তার পদত্যাগ দাবী করছি। সভায় আয়োজক কমিটির পক্ষে বক্তব্য রাখেন , অমৃত দাশ, অভিষেক শেখর জিকু , রবিন দাশ, অসীমা দে, সুজয়  স্বরুপ শ্যাম সুজিত দাশ, সাংবাদিক নজরুল ইসলাম নিশিত, নীলকান্ত । আয়োজদের পক্ষে  অজিত দাস সবাইকে ধন্যবাদ জানান এবং আগামী সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর  বরাবরে স্মারক লিপি প্রদান করা হবে বলে জানান।

কমিউনিটি এর আরও খবর

img

হোয়াইটচ্যাপেল ও শ্যাডওয়েল কমিউনিটি নেটওয়ার্কের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত :  ১১:১৯, ১৪ মার্চ ২০২৫

পূর্ব লন্ডনের হোয়াইটচ্যাপেল ও শ্যাডওয়েল কমিউনিটি নেটওয়ার্ক এর  ইফতার মাহফিল সোমবার (১৩ মার্চ) পূর্ব লন্ডনের স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত হয়েছে ।  এই ইফতার মাহফিলের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট কমিউনিটি নেতা কে এম  আবু তাহের চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক স্পিকার ও কাউন্সিলর শাফি আহমেদ, কাউন্সিলর ও কেবিনেট মেম্বার কামরুল হোসাইন, টাওয়ার হ্যামলেটস কেয়ারার্স অরগানাইজেশান এর সভাপতি আব্দুল মান্নান ও কমিউনিটির নানা শ্রেণি ও পেশার প্রতিনিধিরা।

সংগঠনের প্রেসিডেন্ট আবুল কাসেম হেলাল এর সভাপতিত্বে  এবং সেক্রেটারি শাহ চেরাগ আলীর পরিচালনায় পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত করেন শাহজাহান মিয়া। 

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে  উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি নেতা সিরাজুল ইসলাম শাহীন, মাওলানা সাইয়েদ জামাল, মুহাম্মদ জুবায়ের, মনির উদ্দিন, এডভোকেট  সাইফুর রহমান পারভেজ, গুলাম আব্বাস, জহির উদ্দিন, আফসার উদ্দিন, আক্তার মিয়া, হাবিবুর রহমান বাবলু, মুশাহিদ আলী, দারা মিয়া প্রমুখ। 

অনুষ্ঠানে বক্তারা জানান, এ ধরনের ইফতার মাহফিল শুধু ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, বরং এটি সমাজের একত্রিত হওয়ার, পরস্পরের সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করার একটি বিশেষ সুযোগ। তারা বলেন, হোয়াইটচ্যাপেল ও শ্যাডওয়েল কমিউনিটি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কমিউনিটির মধ্যে সংহতি ও সহযোগিতা আরও দৃঢ় হবে। এছাড়া, এই সংগঠন কমিউনিটির জন্য নানা ধরনের সামাজিক ও মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে, যা সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

কমিউনিটি নেতারা একসাথে মিলিত হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করেন এবং বিশেষ করে তরুণদেরকে সমাজসেবা ও দানশীলতার পথে পরিচালিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দেন। তারা বলেন, মুসলিম উম্মাহর জন্য পবিত্র রমজান মাস এক অনন্য সময়, যখন সকল মানুষ একে অপরের প্রতি সহানুভূতি ও ভালোবাসা প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানের শেষে আবুল কাশেম হেলাল কমিউনিটি নেতাদের ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের আয়োজন আরও ব্যাপক আকারে অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। তিনি সকলকে একত্রে কাজ করার জন্য আহ্বান জানিয়ে বলেন, একে অপরকে সহযোগিতা করেই একটি শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ কমিউনিটি গঠন সম্ভব।

ইফতার মাহফিলের পর, সবাই একসাথে মিলিত হয়ে খাওয়া-দাওয়া করেন এবং সবার মধ্যে একটি সুন্দর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

কমিউনিটি এর আরও খবর