img

আখেরি মোনাজাতে শেষ বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব

প্রকাশিত :  ০৪:৪৯, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আখেরি মোনাজাতে শেষ বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব

আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে টঙ্গীর তুরাগতীরে  ৫৮ তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম ধাপ শেষ হয়েছে।

আজ রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা ১০ মিনিটে শুরু হয়ে এ মোনাজাত শেষ হয় ৯টা ৩৬ মিনিটে। মোনাজাত পরিচালনা করেছেন মাওলানা জুবায়ের আহমেদ।

মোনাজাতে মহান আল্লাহর দরবারে অশ্রুভেজা চোখে ক্ষমা প্রার্থনা ও মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনা করা হয়। 

এদিন যতদূর চোখ যায় ততদূর পর্যন্তই শুধু মুসল্লিদের ঢল দেখা গেছে। লাখো মুসল্লির কাতারে শরিক হয়ে পরম করুণাময়ের দরবারে হাত পেতেছেন খোদাপ্রেমী এসব মানুষ।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বাদ মাগরিব টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলার আম বয়ানের মধ্য দিয়ে বিশ্ব ইজতেমার ৫৮তম জমায়েত শুরু হয়। শুরায়ে নিজামের প্রথম পর্বের প্রথম ধাপের তিন দিনের এ ইজতেমায় লাখো মুসল্লি অংশ নিয়েছেন।

ইজতেমার আয়োজকরা জানান, এবারের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হবে দুই ধাপে। এর মধ্যে ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রথম ধাপের ইজতেমা। এ ধাপে অংশগ্রহণ করেছে ৪১ জেলা ও ঢাকার একাংশের মুসল্লিরা। 

এরপর আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় ধাপের ইজতেমা। এ ধাপে অংশ নেবেন ২২ জেলা ও ঢাকার বাকি অংশের মুসল্লিরা। ৮ দিন বিরতি দিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করবেন ভারতের মাওলানা সাদ অনুসারীরা। ১৬ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ২০২৫ সালের বিশ্ব ইজতেমা।

বাংলাদেশে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম আয়োজন হয়েছিল ১৯৪৬ সালে কাকরাইল মসজিদে। দিন দিন লোকসংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় চট্টগ্রামের হাজি ক্যাম্প, নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের পর ১৯৬৭ সাল থেকে টঙ্গীর তুরাগ তীরে নিয়মিত আয়োজন হয় বিশ্ব ইজতেমার। বিশ্ব ইজতেমার আখেরী মোনাজাতকে কেন্দ্র প্রতি বছর ইজতেমার শেষ দিনে তাবলিগের সাথী ছাড়াও সাধারণ মুসলমানরা ভীড় জমান তুরাগ তীরে। কানায় কানায় ভরে উঠে পুরো টঙ্গী এলাকা। অনেকে আগের রাত থেকেই ময়দানের আশপাশে অবস্থান নেন। 

img

গাজা চিরকাল গাজাবাসীর থাকবে: এরদোগান

প্রকাশিত :  ০৬:৪২, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত করার মার্কিন প্রস্তাবের সমালোচনা পুনর্ব্যক্ত করেছে । তিনি বলেছেন,গাজা সৃষ্টিকর্তার কৃপায় চিরকাল গাজাবাসীর থাকবে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানে এক ব্যবসায়িক ফোরামে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন। খবর ডেইলি সাবহর।

এরদোগান বলেন,‘গাজা আমাদের গাজাবাসী ভাই-বোনদের এবং সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায়, চিরকাল থাকবে।’

তিনি বলেছেন, গত ১৯ জানুয়ারি গাজা থেকে অন্যতম ‘সুসংবাদ’ পেয়েছি, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ১৫ মাসের ইসরাইলি গণহত্যার অস্থায়ী বিরতি।

তিনি আরও বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত, ইসরাইল তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে ব্যর্থ হওয়ায় যুদ্ধবিরতি এখন অচল হয়ে পড়েছে।’

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘আমি আশা করি একটি মানবিক জোট, বিশেষ করে আরব এবং মুসলিম বিশ্ব এই সংকটময় সময়ে গাজাবাসীকে পরিত্যাগ করবে না।’

গাজা যুদ্ধের শুরু থেকেই ইসরাইলের নৃশংস হামলার তীব্র সমালোচনা করেছে তুরস্ক।  ইসরাইলকে সমর্থন করায় অনেক পশ্চিমা মিত্রদের তিরস্কারও করেছে দেশটি।  গাজা যুদ্ধের প্রতিবাদে ২০২৪ সালের মে মাসে ইসরাইলের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থগিত করে এবং আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) ইসরাইলের গণহত্যার বিচারের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্যোগে যোগদানের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করে।

গত সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা ‘দখলের’ ঘোষণা দিয়ে বিশ্বকে হতবাক করে দেন।  ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি বিধ্বস্ত অঞ্চলটিকে ‘মধ্যপ্রাচ্যের রিভেরা’ তৈরির প্রস্তাব দেন।