ক্ষতিগ্রস্ত নগরবাসী

img

বাঁশ দিয়ে তিতুমীরের সামনের রাস্তা আটকে দিলেন শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত :  ০৭:২৭, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৯:৩১, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বাঁশ দিয়ে তিতুমীরের সামনের রাস্তা আটকে দিলেন শিক্ষার্থীরা

রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশন পঞ্চম দিনে গড়িয়েছে। 

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে এবার বাঁশ দিয়ে তিতুমীর কলেজের সামনের দুই পাশের রাস্তা আটকে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।  

সরেজমিনে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের রাস্তা অবরোধ করার ফলে মহাখালী থেকে গুলশান এবং গুলশান থেকে মহাখালী পর্যন্ত রাস্তার যান চলাচল সম্পন্ন বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় শিক্ষার্থীরা দাবির পক্ষে রাস্তায় অবস্থান নিয়ে না না স্লোগান দিচ্ছেন। 

এদিকে হঠাৎ করে রাস্তা বন্ধ করার পর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে রাস্তার যাত্রীদের কথাবার্তা হয়। যাত্রীরা রাস্তা খুলে দিতে বললেও শিক্ষার্থীরা বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা রাস্তা ছাড়বেন না।

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টা পর্যন্ত আমরণ অনশনে রয়েছেন কলেজের শিক্ষার্থীরা। এখনো চারজন অসুস্থ হয়ে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।  

শিক্ষার্থীরা বলছেন, যে কোনো মূল্যে ৭ দফা কর্মসূচি মেনে নেওয়ার ঘোষণা আসতে হবে। যতক্ষণ এই ঘোষণা না আসবে, ততক্ষণ তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

শিক্ষার্থীদের ৭ দফা দাবিগুলো হচ্ছে—

১. তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করতে হবে।

২. তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠন করে ২০২৪-২০২৫ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

৩. শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ নতুবা অনতিবিলম্বে শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসিক খরচ বহন করতে হবে।

৪. ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ন্যূনতম দুইটি বিষয় 'আইন' এবং 'জার্নালিজম' বিষয় সংযোজন করতে হবে।

৫. একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন পিএইচডিধারী শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে।

৬. শিক্ষার গুণগতমান শতভাগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে আসন সংখ্যা সীমিত করতে হবে।

৭. আন্তর্জাতিক মানের গবেষণাগার বিনির্মাণের লক্ষ্যে জমি ও আর্থিক বরাদ্দ নিশ্চিতকরণ করতে হবে।

তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপান্তরের দাবিতে বেশ কয়েক দিন ধরেই আন্দোলন করে আসছেন কলেজটির শিক্ষার্থীরা। সবশেষ বৃহস্পতিবার দুপুরে কলেজের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা।

এর আগের দিন বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেল থেকে 'তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে আমরণ অনশন' ব্যানারে শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশন শুরু করেন। এ সময় তারা ৭ দফা দাবি জানান। 

img

দেশে ফিরলেন লিবিয়ায় আটকে পড়া ১৪৫ বাংলাদেশি

প্রকাশিত :  ০৫:২১, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৫:৩৪, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

দেশে ফিরেছেন লিবিয়ার ডিটেনশন সেন্টারে আটকে পড়া ১৪৫ বাংলাদেশি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এর সহযোগিতায় আজ (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৫টায় বুরাক এয়ারের চার্টার্ড ফ্লাইটে তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর এসব অভিবাসীদের অভ্যর্থনা জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইওএমের কর্মকর্তারা। এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

 বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে ফেরত আসা এই অভিবাসীদের বেশীরভাগই সমুদ্র পথে অবৈধভাবে ইউরোপ যাওয়ার উদ্দেশ্যে মানবপাচারকারীদের প্ররোচনায় ও সহযোগিতায় লিবিয়ায় অনুপ্রবেশ করেন। তাদের অধিকাংশই লিবিয়াতে বিভিন্ন সময়ে অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ফেরত আসা অভিবাসীদের জন্য প্রত্যেকের জন্য ৬ হাজার টাকা, খাদ্য সামগ্রী, চিকিৎসা এবং প্রয়োজনে অস্থায়ী বাসস্থানের ব্যবস্থা করেছে আইওএম।