img

মহাখালীতে রেলপথ অবরোধ তিতুমীর শিক্ষার্থীদের

প্রকাশিত :  ১১:৩৫, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মহাখালীতে রেলপথ অবরোধ তিতুমীর শিক্ষার্থীদের

রাজধানীর মহাখালী রেলগেট এলাকায় রেলপথ অবরোধ করেছেন সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। সোমবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে রেলক্রসিংয়ে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। কলেজটিকে বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণার দাবিতে এ আন্দোলন করছেন তারা।

এর আগে দুপুর ৩টার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা তিতুমীর কলেজের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে মহাখালীর আমতলী মোড়ের দিকে অগ্রসর হন। মিছিলে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ছিল।

অবরোধের পর শিক্ষার্থী আলী আহাম্মেদ মাইকে বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বা শিক্ষা উপদেষ্টাকে এখানে এসে তিতুমীরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘোষণা দিতে হবে। না হলে আমরা রেললাইন ছাড়ব না। আমাদের এইটাই দাবি।

তিনি আরও বলেন, আমরা সাধারণ মানুষের কাছে ক্ষমা চাইছি। রাষ্ট্র আমাদের এখানে এনে দাঁড় করিয়েছে।

ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপকমিশনার ডিসি মোহাম্মদ তারেক মাহমুদ বলেন, জনদুর্ভোগ হয় এমন কর্মসূচি দিতে শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করেছিলাম। আজ তারা কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় মহাখালী রেলগেটে এসে বসে পড়েছেন। আমরা তাদের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। বলেছি, কোনোভাবেই রেলপথ অবরোধ করে জনদুর্ভোগ করা যাবে না। আপনাদের কর্মসূচি কলেজ প্রাঙ্গণে করতে পারেন। তারা জানিয়েছেন, আলোচনা করে আমাদের জানাবে। 

মিছিলটি রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছায় বিকেল পৌনে ৪টার দিকে। মিছিলকারীদের সঙ্গে থাকা অনশনকারী শিক্ষার্থীরা প্রথমে রেললাইনে শুয়ে পড়েন। পরে আন্দোলনকারীরা রেলপথ অবরোধ করেন। এ সময় কমলাপুরের দিক থেকে একটি ট্রেন আসতে দেখলে শিক্ষার্থীরা ট্রেনটি লাল নিশানা দেখিয়ে থামান।

এর আগে বেলা ১১টার পর টানা পঞ্চম দিনের মতো কলেজের সামনের সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা সড়কের উভয় পাশে বাঁশ দিয়ে অবরোধ তৈরি করে অবস্থান নেন। মহাখালী রেলক্রসিংয়ে ডিএমপি পুলিশের পাশাপাশি রেলওয়ে পুলিশের সদস্যরাও রয়েছেন।


img

দেশে ফিরলেন লিবিয়ায় আটকে পড়া ১৪৫ বাংলাদেশি

প্রকাশিত :  ০৫:২১, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৫:৩৪, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

দেশে ফিরেছেন লিবিয়ার ডিটেনশন সেন্টারে আটকে পড়া ১৪৫ বাংলাদেশি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এর সহযোগিতায় আজ (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৫টায় বুরাক এয়ারের চার্টার্ড ফ্লাইটে তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর এসব অভিবাসীদের অভ্যর্থনা জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইওএমের কর্মকর্তারা। এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

 বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে ফেরত আসা এই অভিবাসীদের বেশীরভাগই সমুদ্র পথে অবৈধভাবে ইউরোপ যাওয়ার উদ্দেশ্যে মানবপাচারকারীদের প্ররোচনায় ও সহযোগিতায় লিবিয়ায় অনুপ্রবেশ করেন। তাদের অধিকাংশই লিবিয়াতে বিভিন্ন সময়ে অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ফেরত আসা অভিবাসীদের জন্য প্রত্যেকের জন্য ৬ হাজার টাকা, খাদ্য সামগ্রী, চিকিৎসা এবং প্রয়োজনে অস্থায়ী বাসস্থানের ব্যবস্থা করেছে আইওএম।