img

বছরটি খুব গুরুত্বপূর্ণ, যুদ্ধ-পরিস্থিতির মতো সতর্ক থাকতে হবে: ড. ইউনূস

প্রকাশিত :  ১৪:৫৬, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৯:১৪, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বছরটি খুব গুরুত্বপূর্ণ, যুদ্ধ-পরিস্থিতির মতো সতর্ক থাকতে হবে: ড. ইউনূস

এ বছরটি বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এ অবস্থায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীগুলোকে যুদ্ধ-পরিস্থিতির মতো সতর্ক থাকতে বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, কাউকে বিশৃঙ্খলা ও অরাজকতা সৃষ্টির সুযোগ দেওয়া যাবে না।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নিরাপত্তা প্রধানদের সঙ্গে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা এ নির্দেশনা দেন।

সভায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র সচিব নাসিমুল গনি এবং পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, ডিএমপি, কোস্ট গার্ড ও বিশেষ শাখার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘নিরাপত্তা বাহিনীগুলোকে সর্বোচ্চ আধুনিক যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে, যাতে তারা দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে। আমাদের অবশ্যই একটি কমান্ড সেন্টার বা কমান্ড সদরদপ্তর স্থাপন করতে হবে, যা পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধন করবে।’

তিনি বলেন, নতুন কমান্ড কাঠামো ‘দক্ষতা ও নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে’ দেশের সব বাহিনী ও থানা এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধন করবে।

প্রধান উপদেষ্টা নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধানদের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্নিত করার যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন।

তিনি বলেন, ‘যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির মতো আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে। এই বছরটি দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কাউকে বিশৃঙ্খলা ও অরাজকতা সৃষ্টির সুযোগ দেওয়া যাবে না।’

প্রধান উপদেষ্টা আরো বলেন, ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য বিশাল অঙ্কের অর্থ ব্যয় করছে এবং মিথ্যা ও অপতথ্য ছড়াচ্ছে।

দেশবাসীকে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সবাইকে এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে  লড়াই করতে হবে।’

প্রধান উপদেষ্টা নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধানদের মানবাধিকার সুরক্ষার নির্দেশ দেন এবং ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর যেকোনো আক্রমণ প্রতিহত করতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘যদি আমরা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দিতে না পারি, তাহলে বিশ্ব পরিমণ্ডলে আমাদের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই বিষয়ে আমাদের সম্পূর্ণ স্বচ্ছ হতে হবে।’

পুলিশকে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চালানোর নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, এমনভাবে অভিযান পরিচালনা করতে হবে যাতে পবিত্র রমজান মাসে খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখা যায়।

পুলিশ প্রধান বাহারুল আলম জানান, শেখ হাসিনার নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড ও নৃশংসতার ঘটনায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলা পর্যবেক্ষণের জন্য ১০টি বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা পুলিশকে এই মামলাগুলোর বিচার দ্রুত সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন এবং কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি যেন হয়রানির শিকার না হয়, তা নিশ্চিত করতে বলেন।

পুলিশ মহাপরিদর্শক জানান, বাংলাদেশ ইন্টারপোলের কাছে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির অনুরোধ পাঠিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা অনুরোধ করেছি। আশা করি শিগগিরই সাড়া পাব।’

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী জানান, পুলিশের কড়া নিরাপত্তার কারণে রাজধানীতে ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা কমেছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’

img

গাজা চিরকাল গাজাবাসীর থাকবে: এরদোগান

প্রকাশিত :  ০৬:৪২, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত করার মার্কিন প্রস্তাবের সমালোচনা পুনর্ব্যক্ত করেছে । তিনি বলেছেন,গাজা সৃষ্টিকর্তার কৃপায় চিরকাল গাজাবাসীর থাকবে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানে এক ব্যবসায়িক ফোরামে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন। খবর ডেইলি সাবহর।

এরদোগান বলেন,‘গাজা আমাদের গাজাবাসী ভাই-বোনদের এবং সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায়, চিরকাল থাকবে।’

তিনি বলেছেন, গত ১৯ জানুয়ারি গাজা থেকে অন্যতম ‘সুসংবাদ’ পেয়েছি, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ১৫ মাসের ইসরাইলি গণহত্যার অস্থায়ী বিরতি।

তিনি আরও বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত, ইসরাইল তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে ব্যর্থ হওয়ায় যুদ্ধবিরতি এখন অচল হয়ে পড়েছে।’

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘আমি আশা করি একটি মানবিক জোট, বিশেষ করে আরব এবং মুসলিম বিশ্ব এই সংকটময় সময়ে গাজাবাসীকে পরিত্যাগ করবে না।’

গাজা যুদ্ধের শুরু থেকেই ইসরাইলের নৃশংস হামলার তীব্র সমালোচনা করেছে তুরস্ক।  ইসরাইলকে সমর্থন করায় অনেক পশ্চিমা মিত্রদের তিরস্কারও করেছে দেশটি।  গাজা যুদ্ধের প্রতিবাদে ২০২৪ সালের মে মাসে ইসরাইলের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থগিত করে এবং আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) ইসরাইলের গণহত্যার বিচারের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্যোগে যোগদানের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করে।

গত সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা ‘দখলের’ ঘোষণা দিয়ে বিশ্বকে হতবাক করে দেন।  ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি বিধ্বস্ত অঞ্চলটিকে ‘মধ্যপ্রাচ্যের রিভেরা’ তৈরির প্রস্তাব দেন।