img

ভারতীয় অভিবাসীদের সামরিক বিমানে করে ফেরত পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত :  ০৬:১৯, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৬:২১, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ভারতীয় অভিবাসীদের সামরিক বিমানে করে ফেরত পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

ভারতীয় অভিবাসীদেরকে সামরিক বাহিনীর একটি বিমানে করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন একজন কর্মকর্তা। এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র যে পদক্ষেপ নিয়েছে সেক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামরিক বাহিনীর সহযোগিতা নিচ্ছেন। যার মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন, সামরিক বাহিনীর বিমান ব্যবহার এবং সামরিক ঘাঁটিতে অভিবাসীদের রাখা। 

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সামরিক বাহিনীর সি-১৭ বিমানে করে অভিবাসীদের একটি ফ্লাইট ভারত রওনা দিয়েছে। যেটি পৌঁছাতে ২৪ ঘণ্টা সময় লাগবে। মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনও টেক্সাসের এল পাসো এবং ক্যালিফোর্নিয়ার সান দিয়াগোতে আটক ৫ হাজারের বেশি অভিবাসীকে বহিষ্কারের জন্য ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করেছে। ইতোমধ্যে সামরিক বিমানে করে অভিবাসীদের গুয়েতেমালা, পেরু এবং হন্ডুরাসে ফেরত পাঠানো হয়েছে। যদিও সামরিক বিমানে করে অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো ব্যয়বহুল। 

রয়টার্স জানিয়েছে, গত সপ্তাহে গুয়াতেমালায় একটি সামরিক বিমানে করে অভিবাসীদের ফেরত পাঠাতে জনপ্রতি কমপক্ষে ৪ হাজার ৬৭৫ ডলার খরচ হয়।

img

ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা, নিহত ২৪

প্রকাশিত :  ০৬:৫৬, ১৬ মার্চ ২০২৫

ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে বড় পরিসরে বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে ২৪ জন নিহত হয়েছে। গতকাল শনিবার (১৫ মার্চ) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশনা অনুসারে এ হামলা চালানো হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে হুতি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগরে পুনরায় জাহাজে হামলা শুরু করায় যুক্তরাষ্ট্র এ পদক্ষেপ নিল। খবর রয়টার্সের।

ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর হুতিদের ওপর চালানো যুক্তরাষ্ট্রের এটাই সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান। এমন এক সময়ে এই হামলা শুরু হলো, যখন নিষেধাজ্ঞা বাড়িয়ে তেহরানকে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় বসতে বাধ্য করতে চেষ্টা করছে ওয়াশিংটন।

ট্রাম্প তার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে হুতিদের সন্ত্রাসী আখ্যায়িত করে বলেন, তোমাদের সময় শেষ, আজ থেকে অবশ্যই হামলা বন্ধ করতে হবে। যদি তোমরা এটা না করো তাহলে তোমাদের নরকের বৃষ্টি নেমে আসবে। যা আগে কখনও দেখনি।

হুতি পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইয়েমেনের রাজধানী সানাতে মার্কিন হামলায় ১৩ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৯ জন। এছাড়া ইয়েমেনের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য সাদে মার্কিন হামলায় শিশু ও নারীসহ ১১ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও ১৪ জন। হুতি পরিচালিত আল মারিশাহ টেলিভিশনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

হুতি রাজনৈতিক ব্যুরো যুক্তরাষ্ট্রের হামলাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ বলে মন্তব্য করেছে। এক বিবৃতিতে হুতি জানায়, আমাদের ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী উসকানিকে উসকানি দিয়ে জবাব দিতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত।

আব্দুল্লাহ ইয়াহিয়া নামের এক বাসিন্দা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। হামলার কারণে পুরো মহল্লা ভূমিকম্পের মতো কেঁপেছে। এতে করে আমাদের নারী ও শিশুরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে।