img

চিন্ময় দাশকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, হাইকোর্টের রুল

প্রকাশিত :  ১০:১৪, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

চিন্ময় দাশকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, হাইকোর্টের রুল

ইসকনের সাবেক নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় জামিন দেননি হাইকোর্ট। তবে এ মামলায় কেন তাকে জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

আজ মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) তার আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলী রেজার দ্বৈত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। দুই সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য ও প্রবীর রঞ্জন হালদার। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনিক আর হক ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ।

এর আগে, ২ জানুয়ারি চিন্ময় দাসের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ। এরপর ১৯ জানুয়ারি হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন তিনি।

অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনিক আর হক জানিয়েছেন, হাইকোর্ট চিন্ময় দাশের জামিন আবেদন শুনানি করে তাকে জামিন দেননি। তবে তাকে কেন জামিন দেওয়া হবে না সে মর্মে দুসপ্তাহের রুল জারি করেছেন।

গত ৩১ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়। এ মামলায় আরও ১৮ জনকে আসামি করা হয়। ২৫ নভেম্বর ঢাকায় গ্রেপ্তার করা হয় চিন্ময় দাসকে। পরদিন জামিন আবেদন করা হলে তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট।

ওই দিন আদালত প্রাঙ্গণে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। আদালত চত্বরে কুপিয়ে হত্যা করা হয় আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে।



জাতীয় এর আরও খবর

img

জুনে সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলার পাচ্ছে বাংলাদেশ

প্রকাশিত :  ১২:১০, ১৪ মে ২০২৫

বাংলাদেশ আগামী জুন মাসে মোট ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন (সাড়ে তিন বিলিয়ন) মার্কিন ডলারের বৈদেশিক ঋণ পেতে যাচ্ছে। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে পাওয়া যাবে ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার এবং বিশ্বব্যাংক, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি), জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা), এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি)-সহ বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা থেকে আসবে আরও ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার।

আজ বুধবার (১৪ মে) দুপুরে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

গভর্নর দুবাই থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সংবাদ সম্মেলনে ডেপুটি গভর্নর ড. হাবিবুর রহমানসহ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর জানান, ব্যাংক খাত সংস্কারে বাংলাদেশ ব্যাংক কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ব্যাংকের গর্ভানেন্স বা সুশাসন নিশ্চিত করা। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ১৪টি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে পরিবর্তন আনা হয়েছে, যার ফলে গুণগত পরিবর্তনও এসেছে।’

তিনি আরও জানান, কোনো ব্যাংকের বিতরণকৃত ঋণের ১০ শতাংশ বা তার বেশি যদি খেলাপি হয়, তাহলে সে ব্যাংক শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দিতে পারবে না। তাছাড়া, নগদ জমা ও বিধিবদ্ধ জমার ঘাটতির কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে দণ্ডসুদ বা জরিমানা পাওনা থাকলে সেসব ব্যাংকের লভ্যাংশ বিতরণেও নিষেধাজ্ঞা থাকবে।

গভর্নর বলেন, ‘আমরা ব্যাংক সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। যারা অনিয়ম করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে ব্যাংক রাষ্ট্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হবে, মার্জার করা হবে—সবকিছুই করা হবে, যাতে ব্যাংক ঘুরে দাঁড়াতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংক সবসময় আমানতকারীদের পাশে আছে। ব্যাংক নয়, আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষা করা।’