img

ফলের সঙ্গে লবণ খান নিয়মিত? অজান্তেই ডেকে আনছেন বিপদ

প্রকাশিত :  ০৭:১৫, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ফলের সঙ্গে লবণ খান নিয়মিত? অজান্তেই ডেকে আনছেন বিপদ

শরীর সুস্থ বা সতেজ রাখতে ফলের বিকল্প নেই। কারণ ফলে রয়েছে পর্যাাপ্ত পুষ্টি ও ভিটামিন। শুধু রোগব্যাধি হলেই নয়, শরীর সুস্থ রাখতে প্রতিদিন অন্তত একটি করে যে কোনো ফল খাওয়া জরুরি। তবে আমরা অনেকেই ফলের সঙ্গে লবণ মিলিয়ে খাই স্বাদ বৃদ্ধির জন্য। শুধু এ কারণেই আপনার শরীরে বাধতে পারে নানা রোগব্যাধি।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফলের ওপর লবণ ছিটিয়ে খাওয়ার অভ্যাস স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। লবণ সহ ফল খেলে ফলের পুষ্টি গুণাগুণ হ্রাস পায়। পাশাপাশি রোধ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়।

চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক, ফলের ওপর লবণ ছিটিয়ে খেলে কী কী ক্ষতি হতে পারে-

পুষ্টির ঘাটতি

প্রথম মত ফল লবণ দিয়ে খেলে ফলের পুষ্টি গুণাগুণ কমে যায়। প্রাকৃতিকভাবে ফলে অনেক ভিটামিন, মিনারেল ও ফাইবার থাকে। যা আমাদের শরীরের শক্তি ও হজমশক্তি বৃদ্ধি করে। লবণ দিয়ে ফল খেলে ফলের মধ্যে উপস্থিত ভিটামিন সি-এর পরিমাণ কমে যায়।

কিডনির ওপর প্রভাব

অতিরিক্ত লবণ আমাদের শরীরে জমা পানির ভারসাম্য বজায় রাখতে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, লবণ কিডনির ওপর অতিরিক্ত চাপ ফেলে। এমনকি কিডনির কার্যকারিতার ওপরও প্রভাবিত ফেলে। যার ফলে কিডনিজনিত রোগ এবং শরীর ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যার দেখা দেয়।

হজমের সমস্যা

আমরা অনেকেই জানি, ফলের মধ্যে প্রাকৃতিক চিনি থাকে। যা আমাদের হজমে সাহায্য করে। তবে এর সঙ্গে লবণ যুক্ত করে খেলে তা স্বাভাবিক হজমে প্রভাব ফেলে। যার ফলে গ্যাস, পেট ফোলা বা অ্যাসিডিটির মতো সমস্যাও সৃষ্টি হতে পারে। ফলের সাথে নুন মিশিয়ে খেলে তাদের প্রাকৃতিক মিষ্টিও কমে যায়। যা থেকে তাদের স্বাদও নষ্ট হয়।

হার্টের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব

ডাক্তাররা সব সময় বলে থাকেন অতিরিক্ত লবণ হার্টের জন্য ক্ষতিকর। অতিরিক্ত লবণ শুধু হার্টের জন্য ক্ষতিকর নয় একই সঙ্গে রক্তচাপও বাড়ায়। ফলের সঙ্গে লবণ খেলে এর ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। বিশেষ করে আপনি যদি হার্টের রোগী হন, তাহলে এই কাজ ভুলেও করবেন না।

রক্তচাপ বৃদ্ধি

চিকিৎসকরা সব সময় বলেন, অতিরিক্ত লবণ খেলে রক্তচাপ বাড়তে পারে। এদিকে ফলের সঙ্গে লবণ খেলে উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যার দেখা দিতে পারে। সাধারণত রক্তচাপে আক্রান্ত রোগীদের স্বাভাবিক ভাবেই লবণ খাওয়া নিষেধ থাকে।


img

মস্তিষ্ক দীর্ঘদিন সতেজ ও সক্রিয় রাখে যেসব ফল

প্রকাশিত :  ০৬:২৪, ০৫ মে ২০২৫

স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতে বা মনোযোগ বাড়াতে প্রতিদিনের খাবারে ড্রাই ফ্রুটস রাখলে মস্তিষ্ক দীর্ঘদিন সতেজ ও সক্রিয় থাকবে বলে জানান পুষ্টিবিদরা। তবে অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না। এতে অপকারও হতে পারে। যেসব ড্রাই ফ্রুটস নিয়মিত খেলে স্মৃতিশক্তি প্রখর থাকবে।

আখরোট

ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ আখরোট স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। সকালে একটি আখরোট খেলে উপকার পাওয়া যায়। চাইলে আগের রাতে ভিজিয়ে রাখতে পারেন।

আমন্ড বা কাঠবাদাম

ভিটামিন ই সমৃদ্ধ আমন্ড মস্তিষ্ককে অক্সিডেটিভ মানসিক চাপ থেকে রক্ষা করে। প্রতিদিন সকালে ২–৩টি ভেজানো আমন্ড খাওয়া সবচেয়ে উপকারি।

কাজুবাদাম

ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ কাজু মনোযোগ বাড়ায়। তবে এটি অতিরিক্ত খেলে ওজন বাড়তে পারে, তাই দিনে ২–৩টির বেশি খাওয়া উচিত নয়। লবণ দেওয়া কাজু না খাওয়াই ভালো।

পেস্তা

পেস্তা খেলে মস্তিষ্ক সজাগ থাকে। হালকা গরম দুধের সঙ্গে পেস্তা গুঁড়া মিশিয়ে খেলে আরও ভালো ফল মিলতে পারে।

কিশমিশ

কিশমিশ সরাসরি খাওয়া বা কিশমিশ ভেজানো পানি পান করলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে।

ডুমুর

শুকনো বা ভেজানো ডুমুর খেলে মস্তিষ্ক সুস্থ থাকে ও দীর্ঘ সময় সক্রিয় থাকে।

বিশেষ পরামর্শ: উপরের যেকোনো খাদ্য নিয়মিত খাওয়ার আগে চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়া ভালো।