img

গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো তোফায়েল-আমুর বাড়ি

প্রকাশিত :  ০৪:৩৬, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো তোফায়েল-আমুর বাড়ি

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ ও আমির হোসেন আমুর বাসা ‘স্বৈরাচারের আস্তানা’ স্লোগানে স্লোগানে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পর ভাংচুর করা হয়েছে ।

গণঅভ্যুত্থানে পতনের পর পালিয়ে থাকা শেখ হাসিনার অনলাইনে ভাষণের ঘোষণা দেয়ার প্রতিবাদে এই আগুন দেওয়া হয় ভোলার-১ আসনের সাবেক এমপি তোফায়েল আহমেদের ভোলা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের গাজীপুর রোডের প্রিয় কুটিরে। 

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১টার পরে শহরের গাজীপুর সড়কের বাড়ির সামনে ছাত্র-জনতা অবস্থান নিয়ে ভাঙচুর শুরু করে। এ সময় ছাত্র-জনতা স্লোগান দিতে থাকে ‘স্বৈরাচারের আস্তানা জ্বালিয়ে দাও, পুড়িয়ে দাও’।

এর আগে ভোলা শহর থেকে ফ্যাসিবাদ-বিরোধী স্লোগান দিয়ে একটি মিছিল নিয়ে ছাত্র-জনতা তোফায়েল আহমেদ বাড়ির সামনে আসে। রাত সাড়ে ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত তোফায়ের আহমেদ বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুদ্ধ ছাত্র-জনতা। ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকা এই বাসা থেকেই তোফায়েল আহমেদ তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসতেন। 

এর আগে ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর তোফায়েল আহমেদ এই বাসা অক্ষত ছিল।

এদিকে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লাইভে এসে বক্তব্য দেওয়ার প্রতিবাদে বুলডোজার কর্মসূচির অংশ হিসেবে বরিশালেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগ্নে আবুল হাসান আব্দুল্লাহর বাস ভবন এবং ঝালকাঠি ২ আসনের সাবেক এমপি আমির হোসেন আমুর বাসার বাইন্ডারি দেয়াল ও মূল ভবনের একাংশ ভেঙে দিয়েছে বিক্ষুব্দ ছাত্র জনতা। 

রাত বারোটার পরে বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা শুরুতে হামলাও ভাঙচুর করে এক পর্যায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে সেনাবাহিনী আগুন নিয়ন্ত্রণে এনে ছাত্র জনতাকে ধাওয়া দেয়। এত বেশ কয়েকজন ছাত্ররা আহত হয়। একপর্যায়ে তারা সেনাবাহিনীর উপরে চড়াও হলে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। পড়া সেনা সদস্যরা ছাত্রদেরকে বোঝালে আগুন দেয়া থেকে তারা বিরত থাকলেও বুলডোজার কর্মসূচি চালিয়ে যায় তারা।

নগরির কালিবাড়ি রোডের এই বাসায় বসেই আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর ছেলে সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতেন। 

পরে রাত দুইটার দিকে নগরীর বগুড়া রোডের আমির হোসেন আমুর বাড়িও ভাঙচুর করা হয়। সেখানে শুরুতে বাড়ির মূল ফটক ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে দোতলা ডুপ্লেক্স ভবন ভাঙার চেষ্টা করে। কিন্তু ভবনটি ১০ ইঞ্চি ঢালাই দেয়াল হওয়ার কারণে তা বুলডোজার দিয়ে তেমন একটা ভাঙ্গা সম্ভব হয়নি। 

img

দুপুরের মধ্যে দেশের ৮ অঞ্চলে ৬০ কি.মি. বেগে ঝড়ের আভাস

প্রকাশিত :  ০৭:০৯, ১৭ জুন ২০২৫

দেশের আটটি অঞ্চলের উপর দিয়ে দুপুরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬০ কি.মি. বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর সমূহের জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া আজ রাজধানীসহ দেশের অধিকাংশ জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। গতকাল সর্বোচ্চ ৪৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে কক্সবাজারে।

এদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ু দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সক্রিয় এবং তা অন্যত্র মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।

এর ফলে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

বাংলাদেশ এর আরও খবর