img

ঋতু পরিবর্তনে সুস্থ থাকার ৫ কার্যকর উপায়

প্রকাশিত :  ০৭:০৫, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৭:১১, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ঋতু পরিবর্তনে সুস্থ থাকার ৫ কার্যকর উপায়

প্রকৃতি থেকে শীতের বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার পরিবর্তন শুরু হয়, যা শরীরের ওপর নানাভাবে প্রভাব ফেলে। এই সময়ে সঠিক পরিচর্যা ও সতর্কতা না নিলে ঠান্ডা, অ্যালার্জি কিংবা শারীরিক দুর্বলতার শিকার হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই পরিবর্তিত আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে সুস্থ থাকার জন্য কিছু কার্যকর অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই উপায়গুলো: 

১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো  

ঋতু পরিবর্তনের সময় ঠান্ডা, ফ্লু বা অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে সুষম খাদ্য গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার (যেমন লেবু ও বেল পেপার) এবং ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার (যেমন চর্বিযুক্ত মাছ ও দুগ্ধজাত দ্রব্য) খাওয়া উপকারী। পাশাপাশি পর্যাপ্ত পানি ও ভেষজ চা পান করা, হাইড্রেটেড থাকা এবং পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করাও সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়ক।  

২. ত্বকের যত্নে পরিবর্তন আনা  

আবহাওয়ার উষ্ণতা ও আর্দ্রতার পরিবর্তনের কারণে ত্বকের যত্নেও কিছু পরিবর্তন করা দরকার। শীতের ভারী ময়েশ্চারাইজারের বদলে হালকা ও হাইড্রেটিং লোশন ব্যবহার করুন। অতিবেগুনী রশ্মির প্রভাব বেশি থাকায় প্রতিদিন সানস্ক্রিন ব্যবহার করা জরুরি। পাশাপাশি, শীতে জমে থাকা শুষ্ক মৃত কোষ দূর করতে নিয়মিত এক্সফোলিয়েশন বজায় রাখুন।  

৩. শারীরিক সক্রিয়তা বাড়ানো  

ঠান্ডার কারণে অনেকেই শীতকালে কম সক্রিয় থাকেন, কিন্তু ঋতু পরিবর্তনের এ সময়টায় শারীরিক কার্যকলাপ বাড়ানো দরকার। বাইরে হাঁটা, দৌড়ানো বা সাইকেল চালানোর মাধ্যমে সূর্যালোকের সংস্পর্শে আসুন। এছাড়া পেশির নমনীয়তা ও রক্ত ​​সঞ্চালন বাড়াতে যোগব্যায়াম এবং স্ট্রেচিং অনুশীলন করুন। ব্যায়ামের তীব্রতা ধীরে ধীরে বাড়িয়ে নিলে আঘাতের ঝুঁকি কমে।  

৪. পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা  

শীতের শেষে মৌসুমি ফল ও শাকসবজি সহজলভ্য হয়ে ওঠে, তাই খাদ্যতালিকায় এগুলো যোগ করুন। সবুজ পাতাযুক্ত শাক-সবজি, মৌসুমি ফল, গোটা শস্য, প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি গ্রহণ করুন। হজমের জন্য উপকারী প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার, যেমন দই ও গাঁজানো সবজি খাওয়াও উপকারী।  

৫. মৌসুমি অ্যালার্জি থেকে সতর্ক থাকা  

ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে বসন্তকালীন অ্যালার্জি দেখা দিতে পারে। তাই এ সময় কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। পরাগের পরিমাণ বেশি থাকলে জানালা বন্ধ রাখুন, বাইরে থেকে ফিরে হাত ও কাপড় ধুয়ে ফেলুন এবং অ্যালার্জেন কমাতে ঘরে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন।  

সঠিক যত্ন ও স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুললে ঋতু পরিবর্তনের এই সময়েও সুস্থ থাকা সম্ভব।


img

খালি পেটে হাঁটবেন না কি ভরা পেটে, ওজন কমাতে কোনটি কার্যকর?

প্রকাশিত :  ০৬:৪৭, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

নিয়মিত হাঁটা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এটা সবচেয়ে কার্যকরী এবং সহজ শরীরচর্চার মধ্যে অন্যতম। দিনে নির্দিষ্ট সময় মেনে হাঁটলে শরীরের অনেক ধরনের সমস্যা কমে। বিশেষ করে নিয়মিত হাঁটার মাধ্যমে ওজন ঝরানো, উৎকণ্ঠা কমানো, হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো বা হজম প্রক্রিয়া উন্নত করা সম্ভব। কেউ কেউ খাওয়াদাওয়ার পর হাঁটেন, কেউ বা খালি পেটে। ভরা পেটে না কি খালি পেটে হাঁটা বেশি উপকারী তা নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন আছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দুভাবে হাঁটলেই ক্যালরি পোড়ে। এর ফলে ওজনও কমে। তার পরও তুলনামুলকভাবে কোনটা উপকারী তা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। 

ভারতীয় পুষ্টিবিদ ফারেহা শনমের ভাষায়, যারা কেবল ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন, তাদের খালি পেটে হাঁটা উচিত। এটিকে ‘ফাস্টিং কার্ডিয়ো’বলা হয়।

খালি পেটে হাঁটা

খালি পেটে হাঁটলে খাবার থেকে প্রয়োজনীয় শক্তি বা গ্লুকোজ় পায় না শরীর। তাই বাধ্য হয়ে শরীর জমে থাকা অতিরিক্ত ফ্যাট পোড়াতে শুরু করে হাঁটার শক্তি পাওয়ার জন্য। এর ফলে শরীর থেকে ফ্যাট কমতে শুরু করে এবং ওজন হ্রাস পায়। খালি পেটে প্রতিদিন হাঁটার অভ্যাস থাকলে হজমের সমস্যাও দূর হবে। তা ছাড়া সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে হাঁটতে গেলে শরীর বেশি পরিমাণে ভিটামিন ডি পায়। সেই সময় রোদের তেজও কম থাকে, যা থেকে ভিটামিন ডি-ও ভাল পরিমাণে পাওয়া যায়।

ভরা পেটে হাঁটা

খাওয়ার পরে হাঁটারও অনেক উপকারিতা আছে। খাবার খাওয়ার পর হাঁটলে শরীর সেই খাবার থেকেই পাওয়া গ্লুকোজ়কে শক্তির জন্য ব্যবহার করে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। যাদের ডায়াবেটিস আছে খাওয়ার পর হাঁটা তাদের জন্য বিশেষ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ । যদিও খালি পেটে হাঁটার তুলনায় ভরা পেটে হাঁটায় কম ক্যালোরি পোড়ে, তারপরও  খাওয়ার পর ১০-১৫ মিনিট হাঁটলে হজমশক্তি উন্নত হয়। পেট ফাঁপার মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।