img

সিটি ও আইডিয়াল কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র সায়েন্সল্যাব

প্রকাশিত :  ১১:০৩, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৫২, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সিটি ও আইডিয়াল কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র সায়েন্সল্যাব

সিটি কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।

রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সোয়া ৪টার পর এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছে। যা এখনও থেমে থেমে চলছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল চারটার দিকে আইডিয়াল কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থী লাঠি নিয়ে ঢাকা সিটি কলেজের সামনে এসে অবস্থান নেন। পরে তারা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং লাঠি দিয়ে আঘাত করে ঢাকা সিটি কলেজের নামফলক খুলে ফেলেন। এ ঘটনায় সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরাও বিক্ষুব্ধ হয়ে পাল্টা নিক্ষেপ করে এবং সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে পুরো এলাকাজুড়ে তৈরি হয় আতঙ্ক। তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ হয়ে যায় মিরপুর সড়কের যান চলাচল। ঘটনার শুরু থেকেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে স্থানীয় থানা পুলিশ। পরে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ সায়েন্সল্যাব এলাকায় অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করে। 

তবে এখনো দুই পক্ষকে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া থেকে নিবৃত করা যায়নি। এছাড়া ঠিক কোন ঘটনার জের ধরে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো বক্তব্য কোনো পক্ষের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে পাওয়া যায়নি।

ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া এবং ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় উভয় পক্ষেরই বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আহত হতে দেখা গেছে।

জাতীয় এর আরও খবর

বিতর্কিত ৩ নির্বাচন

img

জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

প্রকাশিত :  ১৬:২৮, ১৬ জুন ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৮:৩৩, ১৬ জুন ২০২৫

আওয়ামী লীগ আমলে অনুষ্ঠিত বিতর্কিত তিন জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে জড়িত সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনারগণ ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিবদের ভূমিকা তদন্তে অবিলম্বে একটি কমিটি গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

সোমবার (১৬ জুন) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক বৈঠকে এ সংক্রান্ত আলোচনা শেষে এ নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন—জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

বৈঠকে কমিশন সদস্যগণ জুলাই সনদ তৈরির কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন।

কমিশনের সহ-সভাপতি প্রফেসর আলী রীয়াজ বলেন, ‘বেশকিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। খুব শিগগিরই সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সনদ চূড়ান্ত করে ফেলা সম্ভব হবে।’

 প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সবাই জুলাই সনদের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। আমি আশা করি আগামী জুলাই মাসের মধ্যে আমরা এটি জাতির সামনে উপস্থাপন করতে পারব।’

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা তার লন্ডন সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বলেন, ‘লন্ডনে বাংলাদেশি কমিউনিটির যাদের সঙ্গেই দেখা হয়েছে তারা সংস্কার নিয়ে জানতে চেয়েছে। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা খুব আগ্রহী। তারা বিস্তারিতভাবে ঐকমত্য কমিশনের কাজ নিয়ে আমার সঙ্গে আলোচনা করেছে, মতামত দিয়েছে। যেখানেই গেছি সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমাকে জিজ্ঞেস করছেন, ‘আমরা আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারব তো?’ আমাদের প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। পোস্টাল ব্যালট এবং আর কী কী অপশন আছে সেগুলো নিয়ে ভাবতে হবে, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে।’

বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশন প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘সব রাজনৈতিক একমত হয়েছে যে, অতীতের তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজনে কর্মকর্তাদের ভূমিকা তদন্ত ও জবাবদিহিতার আওতায় আনা প্রয়োজন।’