img

লন্ডনের মেট্রো স্টেশনে বাংলা সাইনবোর্ডে আপত্তি ইলন মাস্কের

প্রকাশিত :  ০৮:৫৮, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৯:০৭, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

লন্ডনের মেট্রো স্টেশনে বাংলা সাইনবোর্ডে আপত্তি ইলন মাস্কের

যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের একটি মেট্রো স্টেশনে গেলে সবার নজর টানবে সেখানকার সাইনবোর্ড। হোয়াইটচ্যাপেল নামের ওই মেট্রো স্টেশনে ইংরেজির পাশাপাশি সাইনবোর্ডে বাংলায় লেখা রয়েছে স্টেশনের নাম।

এবার লন্ডনের সেই হোয়াইটচ্যাপেল স্টেশনের সাইনবোর্ড থেকে বাংলা লেখা তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ব্রিটেনের এক আইনপ্রণেতা। আর তার সেই দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন বর্তমান বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনকুবের এবং বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের মালিক ইলন মাস্ক।

পূর্ব লন্ডনের এই এলাকায় বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক নাগরিক বসবাস করেন। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, হোয়াইটচ্যাপেল স্টেশন থেকে বাংলায় সাইনবোর্ড তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন গ্রেট ইয়ারমাউথের সংসদ সদস্য রুপার্ট লোয়ে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স হ্যান্ডলে তিনি হোয়াইটচ্যাপেল স্টেশনের সাইনবোর্ডের একটি ছবি দিয়ে লিখেছেন, “এটা লন্ডন। সাইনবোর্ড ইংরেজিতে হওয়া উচিত। এবং শুধু ইংরেজিতেই থাকা উচিত।”

যুক্তরাজ্যের কট্টর ডানপিন্থ দল রিফর্ম ইউকে’র এই সংসদ সদস্যের পোস্টটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। তারপরই তার পোস্টে কমেন্ট করেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। রুপার্ট লোয়েকে সমর্থন জানিয়ে নিজের এক্স হ্যান্ডলে মাস্ক লেখেন, “হ্যা।”

মাস্কের মতো আরও অনেকেই রুপার্টকে সমর্থন করেছেন। তবে এর বিপরীতে অনেকেই বলেছেন, অন্য ভাষায় স্টেশনের নাম লেখা থাকার মধ্যে কোনও ভুল নেই।

পূর্ব লন্ডনের এই এলাকায় বিপুল সংখ্যক বাঙালি থাকেন। বিশেষ করে বাংলাদেশের নাগরিকরা সেখানে বসবাস করেন। আর তাই ২০২২ সালে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল এই স্টেশনে ইংরেজির পাশাপাশি বাংলায় সাইনবোর্ড রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।

তবে সেই ঘটনার বছর তিনেক যেতে না যেতেই এই স্টেশন থেকে এবার বাংলায় সাইনবোর্ড তুলে দেওয়ার দাবি জানালেন ব্রিটেনের সংসদ সদস্য রুপার্ট লোয়ে।

যুক্তরাজ্য এর আরও খবর

ইংলিশ চ্যানেলে নৌকা ডুবে শিশুসহ নিহত ৫ | JANOMOT | জনমত

img

ব্রিটেন ও ফ্রান্সের তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে ভারত

প্রকাশিত :  ০৫:৪৬, ০৮ মে ২০২৫

ভারত-পাকিস্তান হামলা-পাল্টা হামলায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত। মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতের পর পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ভারত। এর জবাবে ভারতের ৫টি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করার দাবি করেছে পাকিস্তান। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের আশঙ্কা বৃদ্ধি পেয়েছে। সামরিক অভিযান সংক্রান্ত কয়েকটি রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতীয় বায়ুসেনা রাফাল যুদ্ধবিমান থেকে জঙ্গিঘাঁটি লক্ষ্য করে স্ক্যাল্প, হ্যামার ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ৷ ব্যবহার করা হয়েছে কামিকাজে ড্রোন ৷ এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি কীভাবে কাজ করে ?

স্ক্যাল্প ক্ষেপণাস্ত্র

স্ক্যাল্প (এসসিএএলপি) ক্ষেপণাস্ত্রটি ব্রিটেন ও ফ্রান্সের যৌথ উদ্যোগে নির্মিত ৷ ব্রিটেনে এই ক্ষেপণাস্ত্র \'স্ট্রম শ্যাডো\' নামে পরিচিত ৷ \'অপারেশন সিঁদুর\'-এ ভারতীয় যুদ্ধবিমান রাফাল-এ এই স্ক্যাল্প ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপন করা ছিল ৷

আকাশপথে দুরপাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্রটি গত শতকের ন\'য়ের দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে ফ্রান্সের মাত্রা এরোস্পেস কোম্পানি এবং ব্রিটিশ এরোস্পেস (এখন এমবিডিএ নামে পরিচিত) তৈরি করে চলেছে ৷

ওজন 1 হাজার 300 কেজি, দৈর্ঘ্য 5.10 মিটার ৷ এর মধ্যে মাইক্রোটার্বো টিআরআই 60-30 টার্বোজেট ইঞ্জিন রয়েছে ৷ এর রফতানিকারক সংস্করণটিকে 560 কিমি দূরত্বে ছোড়া যায় ৷ এর মধ্যে 450 কেজি ওজনের ক্ষেপণাস্ত্র থাকে ৷

কয়েকটি স্ক্যাল্প 250 কিমিরও বেশি দূরত্বে হামলা চালাতে পারে ৷ আবার অন্য কয়েকটি 500 কিমি দূরত্বে আঘাত হানতে সক্ষম ৷ এর নেভিগেশন পদ্ধতিটি অত্যাধুনিক ৷ ইনারশিয়াল নেভিগেশন সিস্টেম (আইএনএস), জিপিএস, টেরাইন রেফারেন্স নেভিগেশন (টিইআরপিআরওএম) এবং ইমেজিং ইনফ্রারেড (আইআইআর) নেভিগেশনের দ্বারা এই ক্ষেপণাস্ত্র পরিচালিত হয় ৷

এটি 450 কেজি ওজনের ব্রোচ (বিআরওএসিএইচ) ওয়ারহেড বহন করতে পারে ৷ ইউরোফাইটার টাইফুন, দাসো রাফাল, মিরেজ 2000 যুদ্ধবিমানে স্ক্যাল্প ক্ষেপণাস্ত্র থাকে ৷ স্যাটেলাইনট নেভিগেশন সেন্সরের মাধ্যমে দিকনির্দেশ করতে পারে ৷

যে কোনও পরিকাঠামোর মধ্যে থেকে নিশানাকে আলাদা করে চিহ্নিত করতে পারার ক্ষমতা রয়েছে এই মিসাইলের ৷ স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে নিশানাকে চিহ্নিত করে লক্ষ্যে অভ্রান্ত আঘাত হানতে পারে ৷

হ্যামার

স্ক্যাল্প ছাড়া আরেকটি \'হ্যামার\' ক্ষেপণাস্ত্রও ব্যবহার করা হয়েছে এই \'অপারেশন সিঁদুর\'-এ ৷ এর পুরো নাম- \'হাইলি অ্যাজাইল মডিউলার মিউনিশন এক্সটেনডেড রেঞ্জ\' ৷ যে কোনও ঋতুতে যে কোনও সময় আকাশ থেকে মাটিতে (এয়ার টু গ্রাউন্ড) এই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আঘাত হানা সম্ভব ৷

70 কিমি পর্যন্ত নিশানায় আছড়ে পড়তে পারে এই ক্ষেপণাস্ত্র ৷ ফ্রান্সের \'সাফরান ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড ডিফেন্স\' এই ক্ষেপণাস্ত্রটি তৈরি করেছে ৷

স্ক্য়াল্প-এর মতো হ্যামারও একশো শতাংশ নিশ্চয়তার সঙ্গে লক্ষ্যভেদ করতে সক্ষম ৷ অল্প উচ্চতা থেকে উপত্যকায় আছড়ে পড়তে পারে ৷ নিশানা স্থির হোক বা চলমান- দুই ক্ষেত্রে আঘাত হানতে সমান পারদর্শী হ্যামার ৷

কামিকাজে ড্রোনস

একশো শতাংশ সঠিক লক্ষ্যভেদের জন্য এই কামিকাজে ড্রোন ব্যবহার করা হয় ৷ এর আরেক নাম সুইসাইড ড্রোনস বা আত্মঘাতী ড্রোন ৷ লক্ষ্যবস্তুতে আছড়ে না-পড়া পর্যন্ত এটি ঘুরতে থাকে ৷ তাই এর আরেক নাম \'লয়টারিং মিউনিশন\' ৷ নিশানাকে চিহ্নিত করে তার উপর হামলা চালাতে এই অস্ত্রের জুড়ি মেলা ভার ৷ বিস্ফোরক বয়ে নিয়ে যেতে মানববিহীন এই আকাশ যান (আনম্যানড এরিয়াল ভেহিকলস, ইউএভিএস) ব্যবহার করা হয় ৷ ইরান-সহ বেশ কয়েকটি দেশ এই ইউএভিএস তৈরি করে ৷

যুক্তরাজ্য এর আরও খবর