img

সাড়ে ১৬ হাজার গায়েবি মামলা প্রত্যাহার হচ্ছে: আইন উপদেষ্টা

প্রকাশিত :  ১৪:৪৫, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সাড়ে ১৬ হাজার গায়েবি মামলা প্রত্যাহার হচ্ছে: আইন উপদেষ্টা

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিপীড়নের উদ্দেশ্যে দায়ের করা ১৬ হাজার ৪২৯টি ‘গায়েবি মামলা’ প্রত্যাহার করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।

উপদেষ্টা বলেন, এরমধ্যে এক হাজার ২১৪টি মামলা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রত্যাহার করা হবে। তিনি আরও বলেন, ১৬ হাজার ৪২৯টি মামলার তালিকা করা হয়েছে। তালিকার পর প্রতিটি মামলার রেকর্ড ঘেঁটে আমাদেরকে দেখতে হয়, এটা জেনুইনলি রাজনৈতিক হয়রানিমূলক গায়েবি মামলা কিনা; নাকি এটা কোনোরকম অনিয়ম বা কারচুপি করে ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যক্তির মামলা ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আসিফ নজরুল বলেন, ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যক্তির হত্যা মামলাতো প্রত্যাহার করতে পারি না। প্রতিটা কেস রেকর্ড দেখে-দেখে নিশ্চিত হতে হচ্ছে। এ প্রক্রিয়ায় ১৬ হাজার ৪২৯টি গায়েবি মামলার মধ্যে এক হাজার ২১৪টি মামলা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রত্যাহার করা হবে। আর এক হাজার ২১৪টি মামলার মধ্যে ৫৩টি মামলা প্রত্যাহার সংক্রান্ত গেজেট আজ-কালকের মধ্যেই  প্রকাশ করা হবে।

মামলা প্রত্যাহারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা করেছে জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, অনেক ক্ষেত্রে আমরা ওনাদের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করছি।

ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রত্যাহার হচ্ছে সাইবার সিকিউরিটি-সংক্রান্ত সব মামলা

বিগত সরকারের আমলে কথা বলা বা লেখালেখির কারণে (স্পিচ অফেন্স) ৩৯৬টি মামলা করা হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আইন মন্ত্রণালয় পাবলিক পসিকিউটরদের মাধ্যমে এরই মধ্যে ৩৩২টি মামলা প্রত্যাহার করেছে। ৬১টি মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে। এটাও আগামী ৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। ফেব্রুয়ারি মাস যখন শেষ হবে, তখন স্পিস অফেন্স সংক্রান্ত আর কোনো মামলা সাইবার সিকিউরিটি আদালতে থাকবে না।

তিনি বলেন, তবে তিনটি মামলা আমরা প্রত্যাহার করতে পারবো না। কারণ উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সেগুলো স্থগিত রয়েছে।

পাওয়ার অব অ্যাটর্নি বিধিমালা সংশোধন

আসিফ নজরুল বলেন, ২০১৫ সালের পাওয়ার অব অ্যাটর্নি বিধিমালা নিয়ে প্রবাসীরা প্রচুর অভিযোগ করত। এই বিধিমালা অনুযায়ী কেউ যদি পাওয়ার দিতে চাইতো; তবে তার পাসপোর্ট থাকতে হতো, বাংলাদেশের দূতাবাসে গিয়ে তাকে পাসপোর্ট জমা দিতে হতো। প্রবাসীদের সন্তানরা অনেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট নেন না। তাই তাদের পক্ষ থেকে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি হতে গেলে অনেক জটিলতা হতো।

আইন উপদেষ্টা বলেন, সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে কথা বলে আমরা এই বিধিমালার সংশোধন এনেছি। সংশোধন অনুযায়ী প্রবাসী বাংলাদেশিদের যদি বাংলাদেশি পাসপোর্ট না-ও থাকে, তাহলেও তারা তাদের পাওয়ার অব এটর্নি সম্পাদন করতে পারবেন। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্যক্তির পাসপোর্টে নো ভিসা রিকোয়ার স্টিকার থাকলে, কিংবা তার জন্ম সনদ থাকলে কিংবা জাতীয় পরিচয়পত্র থাকলে তিনি বিদেশ থেকে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি সম্পাদন করতে পারবেন। আমি মনে করি এটি আমাদের প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনেকের ভোগান্তি লাঘবে বিরাট ভূমিকা রাখবে।

আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে মামলা ও তদন্তের গতি যাতে ধীর না হয় এজন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যাল সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা।


img

\'সবার আগে বাংলাদেশ\'—নতুন স্বপ্নের পথে এক পদক্ষেপ

প্রকাশিত :  ১৭:৫৭, ২৭ মার্চ ২০২৫

ঢাকা, ২৭ মার্চ ২০২৫: দেশের অগ্রগতি, গণতন্ত্র ও জাতীয় স্বার্থকে সবার ওপরে রাখার প্রত্যয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করল ‘সবার আগে বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন’। রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত উদয় টাওয়ারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সংগঠনটির কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়।

সংগঠনটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন শহীদউদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন রকিবুল ইসলাম বকুল, এবং কোষাধ্যক্ষের দায়িত্বে রয়েছেন সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। এছাড়া, সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন আবদুল মোনায়েম মুন্না, এসএম জিলানী, নুরুল ইসলাম নয়ন, আতিকুর রহমান রুমন, গিয়াসউদ্দিন রিমন, রাজিব আহসান, রাকিবুল ইসলাম রাকিব, নাছির উদ্দীন নাছির, জাহিদুল ইসলাম রনি ও এহসান মাহমুদ।

প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ শুধু একটি সংগঠন নয়; এটি একটি আদর্শ, একটি স্বপ্ন, যেখানে দেশ ও জনগণের কল্যাণই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবে। সংগঠনটি দেশের সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সভাপতি শহীদউদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, \"আমাদের লক্ষ্য—বাংলাদেশকে এমন এক দেশে পরিণত করা, যেখানে জনগণের কণ্ঠস্বরই হবে প্রকৃত শক্তি। গণতন্ত্র, মানবাধিকার, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষণে আমরা সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাব।\"

সাধারণ সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল বলেন, \"এই সংগঠন দেশের উন্নয়ন ও জনগণের অধিকার রক্ষায় নিরলস কাজ করবে। আমরা বিশ্বাস করি, দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে সবার আগে দেশের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়াই সত্যিকারের দেশপ্রেম।\"

এই ফাউন্ডেশনের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো—দেশের অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও প্রযুক্তি খাতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা। তরুণ প্রজন্মকে নেতৃত্বে আনার পাশাপাশি দেশের জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করাও সংগঠনটির অন্যতম লক্ষ্য।

নতুন এই সংগঠনের যাত্রায় দেশের নানা স্তরের মানুষ ইতোমধ্যেই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বিশ্লেষকদের মতে, এই সংগঠন ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে নতুন দিগন্তের দিকে নিয়ে যেতে পারে।

দেশের সার্বিক অগ্রগতির জন্য জনগণকেই সবচেয়ে বড় শক্তি মনে করে ‘সবার আগে বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন’। এই যাত্রা কতটা সফল হবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

জাতীয় এর আরও খবর