img

যে অ্যাপগুলো দ্রুত ফোনের চার্জ ক্ষয় করে

প্রকাশিত :  ০৭:৪৭, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

যে অ্যাপগুলো দ্রুত ফোনের চার্জ ক্ষয় করে

প্রতিদিন অসংখ্য অ্যাপ ব্যবহার করি আমরা, যা আমাদের জীবনকে সহজ করে তুলেছে। তবে কিছু অ্যাপ রয়েছে, যেগুলো আমাদের স্মার্টফোনের ব্যাটারির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এসব অ্যাপ ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকে, ফোনের প্রসেসর ব্যবহার করে এবং দ্রুত চার্জ শেষ করে দেয়। আসুন, এমন কিছু অ্যাপ সম্পর্কে জেনে নেই।

ইনস্টাগ্রাম: সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হিসাবে ইনস্টাগ্রামের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। তবে এ অ্যাপটি ব্যাকগ্রাউন্ডে বেশ কয়েকটি প্রসেস চালিয়ে যায়, যা ব্যাটারি খরচ বাড়িয়ে দেয়। ছবি ও ভিডিও আপলোড, স্ক্রলিং এবং স্টোরি দেখার ফলে ব্যাটারির ওপর চাপ পড়ে।

ফেসবুক: ফেসবুক এমন একটি অ্যাপ, যা সারা দিন ব্যবহার করা হয়। অনেকেই ব্যাকগ্রাউন্ডে এটি চালু রাখেন, যার ফলে ব্যাটারি দ্রুত শেষ হয়ে যায়। ফেসবুকের লাইভ নোটিফিকেশন এবং ভিডিও কনটেন্টও ব্যাটারির ওপর বাড়তি চাপ ফেলে।

স্ন্যাপচ্যাট: তরুণদের কাছে স্ন্যাপচ্যাট খুবই জনপ্রিয়। এ অ্যাপটি ক্যামেরার মাধ্যমে চ্যাটিংয়ের সুযোগ দেয়, যা ব্যাটারির ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করে। বিশেষ করে, লাইভ ফিল্টার এবং ভিডিও কলিং ফিচারগুলো ব্যাটারি দ্রুত শেষ করে দেয়।

হোয়াটসঅ্যাপ: মেসেজিং অ্যাপগুলোর মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় হোয়াটসঅ্যাপ। এটি ব্যাকগ্রাউন্ডে চালু থাকলে নোটিফিকেশন, অডিও ও ভিডিও কলিং ফিচারের কারণে ফোনের চার্জ দ্রুত কমতে থাকে।

ফিটবিট: ফিটনেস ট্র্যাকিং অ্যাপ ফিটবিট ব্যাকগ্রাউন্ডে বিভিন্ন ডাটা সংগ্রহ করে এবং রিয়েল-টাইম আপডেট দেয়। ফলে এটি স্মার্টফোনের ব্যাটারি খরচ বাড়িয়ে দেয়।

উবার: যে কোনো সময় গাড়ি বুক করার জন্য উবার ব্যবহার করা হয়। তবে এ অ্যাপটি লোকেশন ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে ব্যাকগ্রাউন্ডে সারাক্ষণ কাজ করতে থাকে, যা ব্যাটারির ওপর বড় প্রভাব ফেলে।

স্কাইপি: ভিডিও কল এবং বিজনেস মিটিংয়ের জন্য জনপ্রিয় স্কাইপি প্রচুর ডাটা ব্যবহার করে, যা ব্যাটারির ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে।

এয়ারবিএনবি: ভ্রমণ ও হোটেল বুকিংয়ের জন্য ব্যবহৃত এই অ্যাপও ব্যাকগ্রাউন্ডে বিভিন্ন প্রসেস চালিয়ে রাখে, যা ব্যাটারির স্থায়িত্ব কমিয়ে দেয়।

কীভাবে ব্যাটারি সাশ্রয় করবেন? অপ্রয়োজনীয় ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ বন্ধ রাখুন। প্রয়োজন ছাড়া লোকেশন সার্ভিস বন্ধ রাখুন। ব্যাটারি সেভিং মোড চালু করুন।

ক্যাশ এবং অপ্রয়োজনীয় ডাটা নিয়মিত পরিষ্কার করুন। এ সতর্কতাগুলো মেনে চললে আপনার ফোনের ব্যাটারি দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবহার করতে পারবেন।

img

দেশে স্টারলিংকের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু

প্রকাশিত :  ০৫:২২, ২০ মে ২০২৫

স্টারলিংক আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত) ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

আজ মঙ্গলবার (২০ মে) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ফয়েজ আহমদ বলেন, ‘স্টারলিংক অফিশিয়ালি বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করেছে। সোমবার বিকেলে তারা ফোন কলে আমাকে বিষয়টি জানিয়েছে এবং আজ সকালে তাদের এক্স হ্যান্ডেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।’

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আরও বলেন, শুরুতে স্টারলিংক দুটি প্যাকেজ দিয়ে শুরু করছে– স্টারলিংক রেসিডেন্স এবং রেসিডেন্স লাইট। মাসিক খরচ একটি ৬০০০ টাকা, অপরটি ৪২০০। তবে সেটআপ যন্ত্রপাতির জন্য ৪২ হাজার টাকা এককালীন খরচ হবে। এখানে কোনো স্পিড ও ডাটা লিমিট নেই। ব্যক্তি ৩০০ এমবিপিএস পর্যন্ত গতির আনলিমিটেড ডেটা ব্যবহার করতে পারবেন।

বাংলাদেশের গ্রাহকরা আজ থেকেই অর্ডার করতে পারবেন জানিয়ে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে ৯০ দিনের মধ্যে যাত্রা শুরুতে প্রধান উপদেষ্টার প্রত্যাশাটি বাস্তবায়িত হলো। প্রধান উপদেষ্টা সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

ফয়েজ আহমদ বলেন, খরুচে হলেও এর মাধ্যমে প্রিমিয়াম গ্রাহকদের জন্য উচ্চমান এবং উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা প্রাপ্তির টেকসই বিকল্প তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি যেসব এলাকায় এখনো ফাইবার কিংবা দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা পৌঁছেনি, সেখানে কোম্পানিগুলো ব্যবসা সম্প্রসারণের সুযোগ পাবেন, এনজিও ফ্রিল্যান্সার এবং উদ্যোক্তারা বছরব্যাপী নিরবচ্ছিন্ন উচ্চগতির ইন্টারনেটের নিশ্চয়তা পাবেন।

বিষয়টি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।